নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় কবি, ক্যালিগ্রাফি শিল্পী এবং নন্দন-বেত্তা। জাপানের প্রেরণায় সূচনা করেছেন বাংলা ক্যালিগ্রাফির নতুন এক ধারার। শান্তিনিকেতনে তাঁর স্টুডিও ‘কোকোরো’ গড়ে উঠেছে এক জাপানি স্থপতির নকশায়। কর্মসূত্রে বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনের প্রাধিকারিক। আগ্রহ ও গবেষণার অন্যতম বিষয়, জাপান এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রাবন্ধিক, অধ্যাপক। আগ্রহের বিষয় রাজনীতি, অর্থনীতি এবং ভাষাতত্ত্ব। বাংলা ও ভারতের বিভিন্ন সংবাপত্রে অর্থনীতি, রাজনীতি ও বিজ্ঞান বিষয়ক একাধিক প্রবন্ধ লিখেছেন। এছাড়াও লিখেছেন একাধিক কল্পবিজ্ঞান ও রহস্যকাহিনি। তাঁর প্রকাশিত বইগুলি হল ‘বাইট বিলাস’, ‘ক্যুইজ্ঝটিকা’, ‘পরিচয়ের আড্ডায়’, ‘আবার ফেলুদা, আবার ব্যোমকেশ’, এবং ‘চার’।
ডাকবাংলা.কম এক বিশ্বমানের সাংস্কৃতিক পোর্টাল। ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১-এ তার আত্মপ্রকাশ। আপাতত দায়িত্ব একটাই, প্রতি সপ্তাহে হা-পিত্যেশ করে বসে থাকা সদস্যদের জন্য চমৎকার সব লেখা, vlog, সাক্ষাৎকার, কার্টুন ইত্যাদি নিয়ে এসে হাজির করা।
দেবশঙ্কর হালদার মঞ্চ অভিনেতা, নাট্যপরিচালক, নাট্যচিন্তক, লেখক। দীর্ঘকাল যুক্ত থেকেছেন নান্দিকার, শুদ্রক, গান্ধার এবং ব্রাত্যজনের মতো বিখ্যাত নাট্যদলের সঙ্গে। 'মহুলবনীর সেরেং', 'হার্বার্ট' এবং 'অ্যাক্সিডেন্ট'-এর মতো মূলধারার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
শ্রীজাত কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার। ২০০৪ সালে ‘উড়ন্ত সব জোকার’ কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার এবং কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০১৪-তে ‘কর্কটকান্তির দেশ’ কাব্যগ্রন্থের জন্য বাংলা আকাদেমি সম্মান। আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক লেখক কর্মশালায় আমন্ত্রিত হয়েছেন ২০০৬ সালে। ‘এবং সমুদ্র’, ‘ভাষানগর’ ও ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন বিভিন্ন সময়ে।
অরুণাভ সিনহা পুরস্কারপ্রাপ্ত অনুবাদক, শিক্ষক, ধ্রুপদী ও সমসাময়িক সাহিত্যের ক্ষেত্রে বাংলা-ইংরেজি অনুবাদের সেতুবন্ধনে পরিচিত নাম। জন্ম এবং পড়াশুনা কলকাতায়। বর্তমানে দিল্লির অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক।
উপল সেনগুপ্ত গায়ক, সুরকার। এছাড়া কার্টুনিস্ট হিসেবেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। ‘চন্দ্রবিন্দু’ গানের দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। অনেক ছবি আঁকেন, বিভিন্ন গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, নতুন প্রতিভা তুলে আনায় তাঁর জহুরির চোখ এবং বড়দা-সুলভ উদারতা তাঁকে অনন্য করেছে।
শুভময় মিত্র ফোটোগ্রাফার, চিত্রকর, গদ্যকার, ভ্রমণবিলাসী। কিন্তু তাঁর সর্বাধিক পারদর্শিতা যে কাজে, তা হল, চব্বিশ ঘণ্টা হো-হো করে হাসা ও কোনও কিছুকেই সিরিয়াসলি না নেওয়ার ভঙ্গি করা। খুব মন দিয়ে জীবনটাকে দেখা ও চাখা তাঁর নিত্যকর্ম, এবং সেই জন্যই বোধহয়, কেউ চাকরি, তকমা বা দায়িত্ব দিতে চাইলেই পিছলে বেরিয়ে যান।
অনুপম রায় গায়ক, সুরকার, গীতিকার। ২০১০ সালে ‘অটোগ্রাফ’ ছবিতে তাঁর গলায় গাওয়া গান ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’ এবং ‘বেঁচে থাকার গান’ তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। ২০১৫ সালে ‘পিকু’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনার মধ্যে দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ এবং ছবিটির আবহসঙ্গীতের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে ২০১৬ সালে পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সঙ্গীতচর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা ও ছোটগল্পও লেখেন।