ডাকবাংলা

এক ডাকে গোটা বিশ্ব

 
 
  

"For those who want to rediscover the sweetness of Bengali writing, Daakbangla.com is a homecoming. The range of articles is diverse, spanning European football on the one end and classical music on the other! There is curated content from some of the stalwarts of Bangla literature, but there is also content from other languages as well."

DaakBangla logo designed by Jogen Chowdhury

Website designed by Pinaki De

Icon illustrated by Partha Dasgupta

Footer illustration by Rupak Neogy

Mobile apps: Rebin Infotech

Web development: Pixel Poetics


This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.

© and ® by Daak Bangla, 2020-2024

 
 

ডাকবাংলায় আপনাকে স্বাগত

 
 
  • ফ্রানজ কাফকার পূর্বাপর


    শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য (July 6, 2024)
     

    ফ্রানজ কাফকা নিয়ে আলোচনায় একটা প্রধান সমস্যা হল, গড়পড়তা আলোচকেরা কাফকাকে ফেনোমেনন হিসেবে দেখেছেন, যিনি তৎকালীন ইউরোপীয় বাস্তবতার ভিড়ে স্বতন্ত্র এবং স্বয়ম্ভূ। তাঁর পূর্বাপর নেই। কাফকার আত্মপ্রকাশ চমকপ্রদ ছিল তো বটেই, এবং তাঁর অভিঘাতও দীর্ঘস্থায়ী। কিন্তু কাফকা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিলেন না, বরং তাঁর আলেখ্য গদ্যরীতির আধুনিকতায় অন্তর্ঘাতী প্রবাহের অংশীদার, যার ইতিহাস কাফকার বহু আগে থেকে শুরু হয়েছে। র‍্যাবলে যদি বাদও দিই, নিকোলাই গোগোল ও এডগার অ্যালান পো-কে অস্বীকার করা অসম্ভব; কাফকা নিজেও পো-র মগ্ন পাঠক ছিলেন। অ্যাবসার্ড অথবা প্যারাডক্স, যে-অভিধায় অভিহিত করা হোক না কেন, তার বয়নরীতি অতলান্তিকের দুই দিকের ভূখণ্ডেই অন্তঃশীলা ছিল― ফলত কাফকায়েস্ক (kafkaesque) যেরকম ডানা ছড়ানো বাস্তবতার ভূমিকা পরবর্তী সাহিত্যে রেখেছে, সেটা ব্যাখ্যাতীত নয়। কিন্তু কাফকাকে সংজ্ঞায়িত করার সমস্যা আছে অনেকগুলো, যে-কারণে ডান ও বাম উভয়পক্ষই তাঁকে নিয়ে অস্বস্তিতে ভুগেছে। নাৎসি জার্মানিতে যেমন কাফকা নিষিদ্ধ ছিলেন, তেমনই নিষিদ্ধ ছিলেন কিছু সময় পর্যন্ত কিউবা ও সোভিয়েত ইউনিয়নেও। তাঁর ‘দ্য ট্রায়াল’কে কেউ দেখেছে বুর্জোয়া রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিঘাত হিসেবে, কেউ আবার তার মধ্যে খুঁজে পেয়েছে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ব্যক্তি-নিষ্পেষণের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি। তবে কাফকার অভিঘাত বিষয়ে যেটা আলোচনার বাইরে থেকে গেছে, তা হল জঁর সাহিত্য। সায়েন্স ফিকশন, হরর, থ্রিলার― এগুলোর কাঠামোতে কাফকার প্রভাব বিষয়ে আজকাল কিছুটা উৎসাহ দেখা দিয়েছে, কিন্তু মূলধারার ঔদাসীন্যের তুলনায় নগণ্য তা। আমরা আজকাল ভুলে যাই যে, অনুরাগ কাশ্যপ তাঁর ‘নো স্মোকিং’ সিনেমার নায়কের নাম রেখেছিলেন ‘কে’। অথবা, পোলিশ কল্পবিজ্ঞান লেখক স্তানিসোয়াভ লেম একের পর এক উপন্যাসে সায়েন্স ফিকশনের আবরণে এমন কাফকায়েস্ক পরিবেশের অবতারণা করেছিলেন যে সেটা তৎকালীন সমাজতান্ত্রিক পোল্যান্ডের থমথমে সামাজিক অবস্থার প্রতিফলন হয়ে গিয়েছিল― লেম তো প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছিলেন কাফকার প্রতি তাঁর ঋণ। ফলত কাফকা যে দুই শিবিরেরই চক্ষুশূল হবেন এতে আশ্চর্যের ছিল না। এর মূল কারণ ছিল পাশ্চাত্য উপন্যাসের ঐতিহ্য থেকে কাফকার সজ্ঞান বিচ্যুতি— তাঁকে একটা সমান্তরাল বিকল্প প্রবাহের মুখ হিসেবে দেখা সম্ভব, এবং যে-ধারার তিনি প্রতিনিধিত্ব করেন, সেটাকেও।            

    কাফকার পূর্বাপর বিষয়ে আলোচনায় প্রথম নাম দস্তয়েভস্কি আসবেন— গোগোল বা পো-কে স্বীকার করেও বলতে হয় যে দস্তয়েভস্কি না থাকলে কাফকা হতেন না। কাফকা দস্তয়েভস্কিকে তাঁর রক্তসম্বন্ধীয় মনে করতেন, এতটাই প্রভাবিত ছিলেন! বস্তুত ভয় থমথমে, চাপা নিষ্পেষণের পরিবেশ হিসেবে কাফকায়েস্কের পূর্বসূরি দস্তয়েভস্কি প্রায় গথিক নির্মাণ করে গেছেন। ‘দ্য ব্রাদার্স কারামাজভ’ অথবা ‘ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট’ না লেখা হলে ‘দ্য ট্রায়াল’ লেখা হত না। কাকতালীয়ভাবে ‘দ্য ব্রাদার্স কারামাজভ’ ছিল ‘দ্য ট্রায়াল’-এর মতোই অসমাপ্ত— তৃতীয় পর্ব লেখার আগে দস্তয়েভস্কি মারা যান। পিতৃহত্যা, পাপ, তার প্রকরণে আদি খ্রিস্টীয় অনুষঙ্গ, এসব বাদ দিলেও, একটা অপরাধের কারণে প্রকৃত দোষীর শাস্তি বর্তাচ্ছে নিরপরাধের ওপর, এবং সেই নিরপরাধ সমস্ত জেনেবুঝে স্বেচ্ছায় সেই শাস্তি গ্রহণ করছে, এই গথিক অ্যাবসার্ড লেখা না হলে ‘জোসেফ কে’ সৃষ্টি হয় না, যে নিজের অপরাধ কী সেটা না জেনেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হচ্ছে। কিন্তু দস্তয়েভস্কির আরেক মহাসৃষ্টি, ‘দ্য ডেভিলস’ (অনেক অনুবাদে ডিমন্‌স), সেটার সঙ্গে কাফকাকে খুব একটা মিলিয়ে দেখা হয়নি। একটি বিপ্লবী সংগঠন ছেড়ে দেবার অপরাধে লোকটাকে খুন করল সংগঠনের বাকি সদস্যরা— কারণ সেই নিহতের রক্ত বাকিদের ঐক্যবদ্ধ করবে, তারা নিজেদের অপরাধের সামনে দাঁড়িয়ে এতই বিমূঢ় হবে যে সংগঠন ত্যাগ করার সাহস পাবে না। এটাও এক অর্থে অ্যাবসার্ড, এবং দস্তয়েভস্কি যে ভাবে নিহিলিস্ট বিপ্লবীদের এঁকেছিলেন, তা কখনও বাস্তবতার সীমা ভেঙে দেয়, পাঠকের ধৈর্যচ্যুতিও ঘটায়। এবার, কাফকার পরিবেশ, একটা দুর্গ যেখানে কেউ পৌঁছতে পারে না, এমনকী দুর্গের যে কর্মচারীদের সঙ্গেই জোসেফ কে-র দেখা হোক না কেন, তারা এতটা নিম্নস্তরের যে দুর্গের অধিপতিদের কাউকেই তারা দেখেনি— অথবা ‘দ্য ট্রায়াল’-এ বর্ণিত এক প্রহরীর গল্প যাকে কাফকা আলাদা করে ছোটগল্পেও স্থান দিয়েছেন, সেগুলোর অর্থহীনতা ‘দ্য ডেভিলস’-এর থেকে দূরে ছিল না। বিশেষত ‘দ্য ক্যাসল’, ‘দ্য ট্রায়াল’ বা ‘দ্য মেটামরফোসিস’-এর একটা বড় অনুষঙ্গ ছিল সমষ্টির সামনে ব্যক্তিসত্তার নিষ্পেষিত হওয়া, আর শাতভকে যখন তার সতীর্থরা খুন করেছিল, সেটা একটা সামান্য হত্যাকে ছাপিয়ে যায়— আগামী দিনে একটা তত্ত্ব অথবা একটা ব্যবস্থাকে ঠিক প্রমাণ করার জন্য খুন, সমষ্টির হাতে ব্যক্তির খুন অথবা আইডিয়ার হাতে, যে-নামে ডাকা হোক না কেন, সেটা কাফকার উত্থানের ভিত্তিপ্রস্তর নির্মাণ করেছিল। বলাই বাহুল্য, দস্তয়েভস্কিকে নিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নও স্বস্তিতে থাকেনি— ম্যাক্সিম গোর্কি কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছেন, চাননি দস্তয়েভস্কির বই প্রকাশিত হোক, যদিও স্বয়ং স্তালিন ‘দ্য ব্রাদার্স কারামাজভ’ বহুবার পড়েছিলেন। আবার কাফকার মতোই, দস্তয়েভস্কিকে গ্রহণ করেছিলেন আলব্যের কামুর মতো লেখক; আন্দ্রে ওয়াইদার মতো প্রগতিশীল চলচ্চিত্রকার। অপরাধের থেকেও শাস্তির চিন্তা তাঁদের আলোড়িত করেছিল বেশি, কাফকা নিজেও বার বার ডায়েরিতে যেটার উল্লেখ করেছিলেন।                 

    একে শুধুই ব্যক্তির সমস্যা ভাবলে ভুল হবে, বরং অবদমনমূলক সমাজের সংকটকে এঁরা নিজের ভেতর অনুভব করতে করতে প্যারানয়েড হয়ে গেছেন, যার প্রভাব তাঁদের উপন্যাসে পড়েছে।

    এ তো গেল পূর্বের কথা, আর পর হিসেবে যদি দেখি, তা হলে প্রথমেই উল্লেখ করতে হয় বাস্তবাতীত সাহিত্য, জঁর সাহিত্য-হরর, এমনকী ডিটেকটিভ উপন্যাসেরও। হরর সাহিত্যের অন্যতম প্রধান পুরুষ এইচ পি লাভক্র্যাফট কাফকা পড়েছিলেন কি না জানি না; লাভক্র্যাফট যখন মারা যাচ্ছেন কাফকা তখনও বহুলপঠিত হননি, কিন্তু দুজনের কল্পিত পৃথিবীর ভিতরে মিল দেখা যায়। মানুষের মনোজগতে ভীতির সাম্রাজ্য, বিভীষিকাময় পৃথিবী, নারকীয় অভিজ্ঞতা, এগুলো তৈরিতে বিস্ময়করভাবে লাভক্র্যাফট ও কাফকার সাদৃশ্য আছে। কাফকার বেশ কিছু ছোটগল্প, যেমন ‘দ্য জায়ান্ট মোল’ অথবা ‘ইন দ্য পিনাল কলোনি’ যত উদ্ভট, ততটাই গা ছমছমে, রহস্যময় ও ভীতিপূর্ণ জগতের আখ্যান শোনায়। তবে হোর্হে লুই বোর্হেসের ওপর কাফকার প্রভাব সুবিদিত। বোর্হেস নিজেও কাফকাকে নিয়ে একাধিক লেখা লিখেছেন, তাঁর কল্পিত কোনানড্রাম, ধাঁধা, প্যারাডক্সিকাল পৃথিবীতে কাফকায়েস্ক, এবং সেটা ছাড়িয়ে আরও কিছু বেশি— বোর্হেস সম্ভবত কাফকার বহিরঙ্গটুকু গ্রহণ করে তার ভেতর নিজস্ব আখ্যান পুরে দিলেন। তারপর স্তানিসোয়াভ লেম, বা তারও পরে টমাস লিগত্তি যিনি হরর সাহিত্যের বিপ্লবায়ন করেছেন বলা যায়, সরাসরি কাফকার প্রতি তাঁদের ঋণ স্বীকার করেছেন। বিশেষত লিগত্তি যে কসমিক হররের নির্মাণ করেন তাঁর আখ্যানে, সেটার সঙ্গে কাফকার জগতের তফাত একমাত্র সেমিওটিক্সে। যে-রাষ্ট্রব্যবস্থা বা আমলাতন্ত্র অথবা ক্যাথলিকতন্ত্র কাফকায় অ্যাবসার্ড, লিগত্তিতে সেটাই হয়ে দাঁড়ায় অজানা মহাবিশ্ব, অথবা মানবমনের নিহিত পাতালছায়া। প্রসঙ্গত, কাফকার ‘দ্য রিফিউজাল’ নামক গল্পে একটা শহরের বাসিন্দারা তাদের সমস্ত সিদ্ধান্তের জন্য ট্যাক্স কালেক্টরের ওপর নির্ভরশীল, আর রাজধানীর কাছে তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হবার একটাই শর্ত, সেই আবেদনকে সিরিয়াস হতে হবে, তার ভেতর সারবস্তু থাকতে হবে। এই ভয়াবহ প্যারাডক্সের সঙ্গে যুক্ত হয়, সেই শহরের বাসিন্দারা কীভাবে অবমানবে রূপান্তরিত হচ্ছে আর নিজেদের ভাষা ভুলে যাচ্ছে— লিগত্তির গ্রিমস্‌ক্রাইব বইয়ের একাধিক গল্পে এইরকম শহরের উল্লেখ মেলে; এবং শুধু সেটাই না, কাফকায়েস্কের সবথেকে বড় উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায় তাঁর কর্পোরেট হরর, ‘মাই ওয়ার্ক ইজ নট ইয়েট ডান’। একটা অফিসের জনৈক কর্মচারী যেভাবে ভয়ের পরিবেশে বাস করতে করতে নিজের কর্মক্ষেত্রে এক অর্থহীন নৈরাজ্যে ঢুকে পড়ে, তার ভয়াবহতা জন্মই নিত না যদি না একশো বছর আগে কাফকা ‘দ্য ট্রায়াল’ লিখে যেতেন।         

    উদাহরণ বাড়িয়ে লাভ নেই। মোদ্দা কথা, এতক্ষণ যেটা বলার চেষ্টা করছি, কাফকার এই পূর্বাপর একটা বিকল্প-আখ্যান সম্ভাবনা তৈরি করে। এডগার অ্যালান পো, দস্তয়েভস্কি, ব্রাম স্টোকার, কাফকা, লাভক্র্যাফট, টমাস লিগত্তি— উপন্যাস নামক শিল্পের ওপর ধনতান্ত্রিক সমাজের উদ্ভবের যে-বিবরণ আমরা পড়ে আসি, সেই ন্যারেটিভকে প্রত্যাখ্যানের এক বিকল্প তৈরি করে যান এই লেখকেরা। তাঁরাও তো উপন্যাস লিখেছেন (লাভক্র্যাফট বা বোর্হেসদের লেখাগুলোকে শর্ট ফিকশন বলা যায়), কিন্তু সেগুলো অস্তিত্বের অসহায় ভয়াবহতার বিরুদ্ধে যন্ত্রণাময় গোঙানি, আর সেটা করতে গিয়ে তাঁদের অক্ষরবিন্যাস ডায়নামাইটের মতো সম্ভাবনাময় হয়ে উঠেছে। হয়েছে অস্বস্তিকর ও অভিসন্ধিমূলক, যাদের প্রতিষ্ঠান অগ্রাহ্য করতে চেয়েও পারে না। ফলত কাফকাদের ক্লাসিফাই করা কঠিন হয়, সরল ও নিটোল সংজ্ঞার ছাঁচে তাঁরা পড়তে অস্বীকার করেন। শুধু কাফকা নয়, তাঁকে একটা বিকল্প প্রবাহের অংশ হিসেবে যদি আমরা দেখি, তা হলে উপন্যাসের উদ্ভব বিষয়ক চিরাচরিত ভাষ্য, বিশেষত যন্ত্রসভ্যতার প্রেরণা ও বৃহৎ পুঁজির জন্ম ইত্যাদি, সেটার একটা বিকল্প আখ্যান তৈরি হয়। লক্ষণীয়, ওপরে যে লেখকদের নাম করলাম, তাঁরা প্রায় সবাই ব্যক্তিগত জীবনে হতাশাগ্রস্ত, ভীতিপ্রবণ, অবসাদে আক্রান্ত, পুঁজিবাদের কঠোর সমালোচক (ডান ও বাম উভয় অবস্থান থেকেই, যেমন লাভক্র্যাফট ডান দিক থেকে এবং লিগত্তি বাম দিক থেকে), এমনকী প্যারানইয়ার শিকার। একে শুধুই ব্যক্তির সমস্যা ভাবলে ভুল হবে, বরং অবদমনমূলক সমাজের সংকটকে এঁরা নিজের ভেতর অনুভব করতে করতে প্যারানয়েড হয়ে গেছেন, যার প্রভাব তাঁদের উপন্যাসে পড়েছে। আলোচনা দীর্ঘ হয়ে যাবে, এটুকু বলে থামলাম যে জঁর সাহিত্যের উদ্ভব ও বিকাশের একটা সূত্র এখানে মিলতে পারে।  

    এই বছরটা কাফকার মৃত্যুর শতবর্ষ। প্রচুর বই তাঁকে নিয়ে বেরোচ্ছে, আরও বেরোবে। তবে সমাজ, রাজনীতির প্রেক্ষাপটে কাফকায়েস্ক নিয়ে যত আলোচনা হবে, তার সিকিভাগও হয়তো হবে না জঁর এবং পাল্‌প সাহিত্যের ওপর কাফকার প্রভাব নিয়ে। কারণ সাহিত্যের এই জায়গাগুলো মূলধারার কাছে অস্বস্তির, তাদের অন্তর্নিহিত সম্ভাবনাকে মূলধারা অস্বীকার করে। যদিও দস্তয়েভস্কি পরের পর ক্রাইম নভেলই লিখে গেলেন আর কাফকার লেখাগুলো হরর সাহিত্যের উত্তুঙ্গ স্পর্শ করেছিল, কিন্তু তাঁদের জোর করে সমাজবাস্তবতার চেনা বাক্সে বন্দি না করলে আমাদের ঘুম হবে না, কারণ আমরা দিনের শেষে স্বাস্থ্যকর ও রুচিবান কাফকা চেয়েছিলাম, ইনস্ট্যান্ট নুডল্‌স যেমন হয়।  

     
      পূর্ববর্তী লেখা পরবর্তী লেখা  
     

     

     




 

 

Rate us on Google Rate us on FaceBook