Puja সম্বন্ধে খুঁজে পাওয়া লেখাগুলি

দেবদত্ত গুপ্ত

ঘরের মেয়ের কতকথা

‘মাটি মাখার কাজ যাঁরা করতেন, তাঁরা আবার আরেকটা কর্মে নিজেদের দক্ষ করে তুললেন। আশ্চর্য সেই কাজের নাম। ‘মরা ধরা’। না মরা মানুষ ধরা তার কাজ নয় তার কাজ হল ভেজা মাটি মরে গিয়ে কোন মাপে মূর্তিকে নিয়ে আসে, তা নিখুঁত ভাবে হিসেব করা। সে জানে, যদি কোনও বাড়িতে দুর্গা কুড়ি হাত বানাতে হয় তাহলে একুশ বা বাইশ হাত পর্যন্ত মাটি গড়তে হবে।’

পিনাকী ভট্টাচার্য

সফরসঙ্গী

ক্লাস থ্রি-তে পড়াকালীন গোয়েন্দা রিপ আর অরণ্যদেবের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। কিছুদিনের মধ্যেই এগুলো পড়তে বেশি সময় লাগত না, আর তখন চোখ এদের কাছ থেকে স্লিপ

প্রচেত গুপ্ত

উল্টো পুজো

আমাদের একটু অন্যরকম ইচ্ছে ছিল। এখন ভাবলে হয়তো ছেলেমানুষিই মনে হয়। তখন ক্লাস টেন হবে, সে-বয়সে হয়তো এমন হয়। আমাদের ইচ্ছে ছিল, আমরা একটু উল্টোদিকে উৎসব কাটাব। এমন জায়গায় যাব, যেখানে পুজোর চিহ্নমাত্র নেই। সেটা কোথায়? গ্রাম? না, তা মোটেই নয়। গ্রামের পুজোও তো দ্রষ্টব্য। আমরা কলকাতার মধ্যেই এমন জায়গায় যাব, যেখানে পুজোর নামগন্ধ থাকবে না।

দেব রায়

ঘরে ফেরার গান

‘দেবীর কীসে আগমন আর কীসে গমন, তা মা পঞ্জিকা দেখে বলত। ফল শস্যপূর্ণবসুন্ধরা না ছত্রভঙ্গ। কিন্তু পুজো আসতে আসতেই ফিনিশ। এই কলাবউ স্নান-বোধন হল, সপ্তমীতে কুলকাঠের আগুন জ্বলল মণ্ডপের পাশে। তাই দিয়ে আমরা দেদার দোদমা আর চকলেট বোম ফাটিয়ে কোটা শেষ করে ফেললাম।’

অমিতাভ মালাকার

প্রতিযোগিতা চলছেই

‘সবাই শত্রুপক্ষ। ঢাকিটা পাড়ার প্যান্ডেলে মরার মতো ট্যাং ট্যাং করে চলেছে, হাত যেন চলেই না। অন্যান্য পাড়ার ঢাকিদের দেখো কেমন তেড়েফুঁড়ে গোল হয়ে ঘুরে নেচে-নেচে বাজাচ্ছে, ঢাকের পেছনে লাগানো পেখমের মতো ঝালর দুলিয়ে— মনে পড়েছে, পাখিটার নাম পিকক, কাত্তিকের বাহন!’

শুভ্রজিৎ দত্ত

যৌথ উৎসব

দুর্গাপুজোর আগে দুর্গানগরী হয়েছে পুজোর সর্বজনীন মাঠ। সর্বজনীন হয়ে ওঠার নির্মল আনন্দে মেতে গিয়েছি আমিও, বৃহত্তর পরিবারের সঙ্গে। মহালয়ার দিন মাইকে মহিষাসুরমর্দিনী শোনা থেকে শুরু করে— প্রতিমা উদ্বোধন, বোধন, কলাবউ স্নানে সঙ্গ দেওয়া।

রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত

পুজোর রঙ্গমঞ্চ

একটা বড় অংশ, যাঁরা থিয়েটারমোদী কিন্তু সারা বছর ব্যস্ততার কারণে সময় পান না, তাঁদের কাছে পৌঁছনোর জন্য একটা বড় সুযোগ পুজোর সময়ে থিয়েটার করা।
তখন আমরা উত্তর কলকাতার ‘রঙ্গনা’-য় থিয়েটার করতাম। রোববার-সহ অন্য ছুটির দিন— সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী থেকে একাদশী দুটো করে শো করতাম। শুধু বিজয়ার দিন আমরা কোনও শো রাখতাম না।