

কয়েকটি কবিতা
‘না-জানে তোমার মুখ, এমনই তো গান/প্রতিটি বিচ্ছেদ জেনো প্রেমের সমান/ছেড়ে যেতে ফের ঘুরে ডাকে,/আমাদের অবসাদে ফুটে থাকা ফুল/জাহাজের মৃতদেহ। জলের মাসুল।/
ছোঁব, তবু পাব না তোমাকে।’
‘না-জানে তোমার মুখ, এমনই তো গান/প্রতিটি বিচ্ছেদ জেনো প্রেমের সমান/ছেড়ে যেতে ফের ঘুরে ডাকে,/আমাদের অবসাদে ফুটে থাকা ফুল/জাহাজের মৃতদেহ। জলের মাসুল।/
ছোঁব, তবু পাব না তোমাকে।’
‘ছাই রঙের এক চোখজ্বালানিয়া ধোঁয়া আমাদের উঠোন পার করে চলে যেত দূর-দূরান্তে। কখনও সকালে, কখনও সন্ধের মুখে। তার সঙ্গে মিশে যেত দূর কোনও কারখানার সাইরেনের আওয়াজ বা পাশের বাড়ির শাঁখ।’
‘হিয়া টুপটাপ জিয়া নস্টাল’। পর্ব ৪৪…
‘সমর সেনের পরিমিতিবোধ কিংবদন্তিতুল্য। তাঁর লেখার পরিমাণ কৃপণের বাম মুঠি। কবিতা লিখেছেন ১৯৩৪ থেকে ১৯৪৬ পর্যন্ত। এক যুগের কবিতা প্রয়াস থেকে ১৯৪৬-এ স্বেচ্ছাবসর নেন।’ সমর সেনের মৃত্যুদিনে বিশেষ নিবন্ধ…
‘কবিতা আর ছবির মধ্যে চলতে থাকে পারস্পরিক আদান-প্রদান। ছবির কম্পোজিশনের সঙ্গে মিল খুঁজে পাই কবিতার ছন্দের। দুই ক্ষেত্রেই মাত্রাবোধ অন্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবার ছন্দ শিখে তারপর তাকে ভাঙতে শেখার মতোই কম্পোজিশনের নিয়ম ভাঙার মধ্যে দিয়েই কখনও তৈরি হয় সার্থক ছবি।’
‘রবীন্দ্র সদনের উলটোদিকে তখনকার মাঠে জমজমাটভাবে জরুরি অবস্থাকে যেন তুড়ি দিয়ে উড়িয়ে ১৯৭৬-এর ৫ মার্চ শুরু হয়েছিল গিল্ড আয়োজিত প্রথম কলিকাতা পুস্তকমেলা। গৌরকিশোর ঘোষ, বরুণ সেনগুপ্ত, জ্যোতির্ময় দত্ত তখনও ছিলেন জেলে।’
‘তরিবতের বিহনে মঞ্জরী/ বাগানে মন শুকিয়ে রাখে ভিজে…/ আমি তোমায় কথা-অবাক করি,/ তুমি আমার নিন্দে করোনি যে!/ শত্রু চায় ফুলের আমদানি/ পরাগ তার মাধুর্য বিকিয়ে/ শোধ করেছে বিষাদঋণখানি…/ সন্ধেবেলা কুহকে তার বিয়ে।’
‘জরুরি অবস্থা যখন এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে সমাজদেহে জাগছিল মুক্তিব্যাকুল উসখুস। বিশেষত ছটফট করছিল সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্পজগতের মানুষজন। নাটকের দলগুলি নড়াচড়া শুরু করে দিয়েছিল।’
‘ঢেউ ওঠে পাতা পাতা, বইয়ের দু’ধারে সাদা বালি/ তোমার কাগজ চেনে মৃদু বিষাদের কর্মখালি/ এদিকে যে-কোনও মর্মে যুগে যুগে ক্ষুব্ধ নেটিজেন।/ এরই মধ্যে, সে বালক, জানেমন, বহু রাস্তা পার/ সোনালি রাগের সুরে ঝলসে ওঠে ডুবন্ত সেতার!’
নবারুণ ওঁর লেখায়-কথায় বার বার ঘোষণা করে বলে গেছেন তিনি অতিবামপন্থী রাজনৈতিক বিশ্বাসে বিশ্বাসী এক অ্যাকটিভিস্ট। তাঁর লেখার মূল জোরের জায়গাই এই বিশ্বাসের জোর। মিথ্যে বিশ্বাস নয়, খাঁটি বিশ্বাস। বিশ্বাসের জোরেও কবিতা অনেক দূর উড়ে যেতে পারে।
‘ পশ্চিমবঙ্গে নকশালপন্থী আন্দোলন স্তিমিত হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু বিহারে ছড়িয়ে গিয়েছিল সে-ঢেউ। তৎকালে, উত্তর বিহারের ঢেউখেলানো ভূমির ওপর দিয়েই দুলতে-দুলতে গিয়েছিল আমাদের ওই টয়ট্রেন।’
‘বাংলা কবিতার ইতিহাসে পুরী আর সমুদ্রের এমন কেন্দ্রীয় স্থাপত্য খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সমুদ্র এই দু’টি বইয়ের আলোছায়া। ব্যক্তিগত এবং রমণীয়। তার সঙ্গে আরও কত প্রসঙ্গ ঢুকে পড়েছে। কখনও তারা সমুদ্রের স্পর্শক কখনও সমুদ্র তাদের।’
‘আজীবনকাল অ্যালেন তাঁর লক্ষাধিক কপি বিক্রি হওয়া কবিতার বইয়ের সিংহভাগ উপার্জনই ব্যয় করেছেন তাঁর বন্ধু, সহশিল্পী ও অনুরাগীদের জন্য। অ্যালেনের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, কবি-সাহিত্যিকদের প্রাপ্যের ভাগ হওয়া উচিত ন্যূনতম। এই ন্যূনতম ভোগবাদের জীবন অ্যালেন বজায় রেখেছেন শেষ পর্যন্ত; নেননি সরকারি সাহায্য, বা চাকরি।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.