ধারালি। গঙ্গোত্রী যাওয়ার মাত্র কুড়ি কিলোমিটার আগে গঙ্গোত্রী রুটের অন্যতম শেষ রেস্টিং পয়েন্ট, সিনিক, নদীমাতৃক, ধারালি। এক সময়ের শান্ত, তিরতিরে বওয়া ক্ষীরগঙ্গা, সময়ের ফেরে হয়ে উঠছে অন্যরকম; বদলাচ্ছে ট্রাজেক্টরি, ধারালিকে ক্রমশ খেয়ে নিচ্ছে চারধাম প্রোজেক্টের ঢক্কানিনাদ। নেই, সেই ধারালি আর নেই, ক্রমশ পাল্টাচ্ছে। সেই ক্রমবদলের পরিণতির ক্রনোলজিটা দেখে নিই? ১৯৭৮-এর জুনে ধারালি থেকে ৩৫ কিলোমিটার ডাউনস্ট্রিমে দাবরানি এলাকার বাঁধ বিপর্যয় ও ভাগীরথীর তান্ডব এবং ১৯৮৪-র জুলাইয়ে ধারালি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে গ্যানসু নালা এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টি— আটের দশকের এই দু’টি দুর্ঘটনা ছুঁয়ে গিয়ে পরবর্তী সহস্রাব্দের টাইমলুপে পরপর আসি।
আরও পড়ুন: মানুষও কি আদৌ ‘জীবশ্রেষ্ঠ’ তকমা পাওয়ার যোগ্য? লিখছেন কৌস্তুভ দালাল…
২০০৩-এর সেপ্টেম্বরে ধারালি থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বরুণাবতে এলাকার ইতিহাসে অন্যতম ভয়ঙ্কর ধস, ২০১০-এর আগস্টে একটানা ভারী বৃষ্টিতে গোটা ধারালি জলমগ্ন, ২০১২-র আগস্টে ধারালির আপার ক্যাচমেন্ট অঞ্চলের মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং সেই কাদামাখা জল ধারালি বাজারে এসে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়া, ২০১৫-র জুলাইয়ে অতিভারী বর্ষায় ক্ষীরগঙ্গা নদী ফুলেফেঁপে উঠে পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্লাবন এবং ২০১৮-র আগস্টে হড়পা বানে ধারালির দু’ডজন বাড়ি, হোটেল ধূলিসাৎ। আশ্চর্য এটাই, ১৯৭৮ পরবর্তী ওপরের একটি ঘটনাও ফ্যাটালিটি ডেকে আনেনি। চলে যেতে হয়নি একজনও সেনা বা পর্যটককে। ২০২৫-এর ৫ আগস্টে প্রথমে দুপুর একটা পঁয়তাল্লিশ মিনিটে ধারালিতে এবং সামান্য পরেই দুপুর তিনটেয় সুক্কি টপের কাছে হারসিল ও গংনানির মাঝে নামা দু’দুটি ফ্ল্যাশ ফ্লাড এই সবকিছুর ভেতরে ব্যতিক্রম। তার কারণে আসার আগে উত্তরকাশী অঞ্চলের ঘনঘন ধসের ভূতাত্ত্বিক কারণে একবার আসি। ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে কুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ডক্টর চারু পন্থ বলছেন, হিমালয়ের অন্যতম ক্রিটিকাল ফল্ট লাইন মেইন সেন্ট্রাল থ্রাস্ট জোনে থাকা গ্রেট হিমালয়ান গ্র্যানাইট পাথরের অবস্থান এলাকার জিওলজিকাল ইন্সটেবিলিটির জন্য দায়ী। উত্তরাখণ্ডে লেসার এবং গ্রেটার হিমালয় যেখানে মিশছে সেখানেই এই মেইন সেন্ট্রাল থ্রাস্ট জোনের অবস্থান, অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত এই জোনের সীমা-পরিসীমা যথেষ্ট বিপজ্জনক হয়ে আছে। ইন্ডিয়ান প্লেট ইউরেশিয়ান প্লেটের দিকে বছরে ৫৫ মিলিমিটার হারে ঢুকছে এবং এই অবস্থায় ২০-২৫ মিলিয়ন বছর আগে তৈরি হওয়া এই গ্র্যানাইট পাথর দুই টেকটোনিক প্লেটের ভেতরে বিশাল একটা ব্লক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দীর্ঘকালীন তাপ ও চাপের ফলে এই গ্র্যানাইট ব্লকের সামান্যতম ক্ষতি না হলেও, এনার্জি পরিবাহিত হয়ে চলে যাচ্ছে আগে থেকেই টেকটোনিক চলাচলে ভগ্নপ্রাপ্ত আশেপাশের পাথরগুলিতে, পরিণতিতে সেই সব পাথর ক্ষণভঙ্গুর হচ্ছে বছরের পর বছর। মেইন সেন্ট্রাল থ্রাস্ট জোনে গ্র্যানাইটের আশেপাশে থাকা এই ক্ষণভঙ্গুর পাহাড়ি পাথুরে অঞ্চলে, বিশেষ করে বৃষ্টির সময়, ধস, ভূমিক্ষয় ক্রমশ বাড়ছে, তৈরি হচ্ছে বিপজ্জনক ইকো-সেনসিটিভ জোন।

এইগুলি মেঘভাঙা বৃষ্টির চিরাচরিত অজুহাতের কথা। এবারে স্থানীয় হারসিলের আবহাওয়া দপ্তরের হিসেবে আসি। মেঘভাঙা বৃষ্টির সংজ্ঞা কী? ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১০ কিলোমিটার চওড়া এলাকায় এক ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে, তবেই তা মেঘভাঙা বৃষ্টি বা ক্লাউডবার্সটের পর্যায়ে আসবে। অথচ, বিপর্যয়ের আগের চব্বিশ ঘণ্টায় হারসিল, ভাটোয়ারি ও উত্তরকাশীতে বৃষ্টি হয়েছিল যথাক্রমে ৯, ১১ ও ২৭ মিলিমিটার, যা বিপজ্জনক সীমার যথেষ্ট নীচে। মৌসম ভবনের বাড়তি তথ্য বলছে, উত্তরকাশী সংলগ্ন এলাকায় বছরে ১,২৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়, জুলাইয়ে সর্বোচ্চ ৩১২ মিলিমিটার। এ-বছর কোনও ব্যতিক্রমী বছর নয়। তাহলে ট্রিগারিং ফ্যাক্টরটি কী? ঠিক এখানেই গ্র্যানাইট তত্ত্বকে সামনে এনে প্রশ্ন তুলেছেন ভাগীরথী ইকো-সেনসিটিভ এরিয়া মনিটরিং কমিটির সদস্য, পরিবেশবিদ মল্লিকা ভানোট। প্রসঙ্গত, এই ভাগীরথী ইকো-সেনসিটিভ জোন গোমুখ থেকে উত্তরকাশী পর্যন্ত বিস্তৃত ৪,১৭৯ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত। মল্লিকা বলছেন, ২০২১-এর রেইনি বিপর্যয়ের মতো এবারেও তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে এলাকার রক-অ্যাভালাঞ্চে গলে গিয়ে সোজা নেমে এসেছে ক্ষীরগঙ্গা নদীর ডান তীরে, তৈরি করছে গ্লেসিয়াল লেক আউটবারস্ট ফ্লাড বা সংক্ষেপে জি.এল.ও.এফ। ২০১২-তেই গোমুখ থেকে উত্তরকাশী পর্যন্ত ১৩৫ কিলোমিটার রাস্তা দেশের পরিবেশ মন্ত্রক থেকে ইকো-সেনসিটিভ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল, এবং এই অঞ্চলে যে-কোনও উন্নয়নমূলক কাজকে নিষিদ্ধ, প্রস্তাবিত এবং নিয়ন্ত্রিত এই তিনটি ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। নিয়ন্ত্রিত কাজের মধ্যে ছিল রাস্তা প্রশস্তকরণ, পাহাড় কাটা অবধি, যদিও যে-কোনও রকম বিরাটাকার পর্যটন ভাবনা, মাইনিং এবং জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ওপর ছিল সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা। ভানোট বলছেন, এই শ্রেণিবিভাগ পরবর্তীকালে আর মানা হয়নি। সংকটে চলে গেছে ওই ১৩৫ কিলোমিটার অঞ্চল।
কিন্তু ঠিক কেন এই হঠাৎ তাপমাত্রা বৃদ্ধি? অবশ্যই বৃক্ষচ্ছেদন। অতীত এবং বর্তমান। উত্তরাখণ্ড চারধাম অল-ওয়েদার রোড প্রোজেক্টে কাটা হচ্ছে প্রায় ৫৬,০০০ গাছ, যার মধ্যে ভাগীরথীর ইকো-সেনসিটিভ জোনের ভেতর কাটা পড়ছে ৬,০০০ গাছ, যার অধিকাংশই দেবদারু। হ্যাঁ, ঠিক দেখছেন, সংখ্যাটা ৬,০০০— যা ঠিক এই হিমবাহ অঞ্চলের নীচে। উষ্ণায়নের সরাসরি ট্রিগারিং এফেক্ট। পরিণতিতে ধারালি এক, দুই, তিন। ভাগীরথীর একশ মিটারের মধ্যে কোনওরকম নির্মাণ প্রকল্প হওয়াই বিপজ্জনক, সেখানে ক্ষীরগঙ্গা সহ ভাগীরথীর উপনদীগুলির ধারে মানা হচ্ছে না বিন্দুমাত্র পরিবেশ সতর্কতা এবং এখানেই ক্ষীরগঙ্গার বিবর্তনের কথা এসে পড়ে।
এনডিটিভি-র একটি রিপোর্টে দুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর ডিডি চুনিয়াল ভয়ংকর এক দিক ব্যক্ত করেছেন। ক্ষীরগঙ্গা তার স্বাভাবিক ডাউনস্ট্রিম গতিপথে বইত বহুকাল। ভাগীরথীতে যেখানে মিশত, ঠিক সেখানেই ছিল ধারালি গ্রাম। ক্রমশ কনস্ট্রাকশনের প্রকোপে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে নদী আপস্ট্রিম হয়ে যায়। ৫ আগস্ট রক অ্যাভালাঞ্চের তান্ডবে নদী তার পুরনো ডাউনস্ট্রিম গতিপথ দিয়ে ঢুকে পড়ে ধারালির ডান তীরে। ক্ষীরগঙ্গা নদীর নিরাপদ বাঁতীরে অবস্থান পুরনো ধারালি গ্রামের, এবং ডান তীরে রিসর্ট, বেলাগাম কনস্ট্রাকশন। এই ডান তীরেই ৫ আগস্টের হড়পা বান, নদীর গতিপথ পুরনো নিয়ম মেনে। পরিণতিতে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু, ৫০ জনের বেশি নিখোঁজের অংকের ভেতরে রয়েছেন অন্তত ১১ জন ভারতীয় সেনা এবং যথেষ্ট সংখ্যক পর্যটক। করুণতম আখ্যান ভাইরাল হয়ে ঘুরে বেড়ানো পুনের আওয়াসারি খর্দ থেকে আসা একই স্কুলের ২৪ জন বন্ধু, যাঁরা ৩৫ বছর পর রিইউনিয়নে মিলেছিলেন উত্তরকাশীতে, ৫ আগস্টের পর নিখোঁজ, ভবিষ্যৎবিহীন। নাকি আশ্চর্য সমাপতনে, পরিসমাপ্তিতে মিলে গেলেন ২৪ জন। উত্তর নেই।

উত্তরকাশী ধসের একটি সামগ্রিক ছবি। ইসরো-র তৈরি করা ল্যান্ডস্লাইড অ্যাটলাস অফ ইন্ডিয়া-র ২০২৩-এর একটি রিপোর্ট বলছে ভারত, পৃথিবীর চতুর্থ ভয়ংকর ধস-প্রবণ দেশ, প্রতিবছর প্রতি ১০০ বর্গ কিলোমিটারে ঘটে যাচ্ছে একটি করে ধস-জনিত মৃত্যু। পৃথিবীর বর্ষা-জনিত ধ্বসের ১৬ শতাংশের প্রেক্ষিত ভারত। এবং উত্তরাখন্ড। ২০২৩-এ ল্যান্ডস্লাইড অ্যাটলাসের একটি সমীক্ষায় দেশের ১৪৭টি ধস-প্রবণ জেলার ভেতরে উত্তরাখন্ডের অবস্থান বিপজ্জনক।
১৯৮৮ থেকে ২০২৩ অবধি রাজ্যের মোট ১২,৩১৯টি ধ্বসের ভেতরে ১,১০০টি হয়েছে ২০২৩-এই। রাজ্যের ল্যান্ডস্লাইড রিপোর্ট বলছে ২০২৪-এর জুনের পর থেকে মাত্র ১৭ দিনের মধ্যে প্রায় ১,৫২১টি ধসের ঘটনা ঘটেছে। ল্যান্ডস্লাইড ডেনসিটিতে প্রথম স্থানে থাকা রুদ্রপ্রয়াগ এই ১৪৭টি জেলার ভেতরে পপুলেশন এক্সপোজারেও প্রথম। ভয়ংকরতার শেষ নেই। তেহরি-গাড়োয়াল রুদ্রপ্রয়াগের ঠিক পরেই। প্রথম ২৫-এর অন্যতম চামোলি এবং পাউড়ি-গাড়োয়াল রয়েছে যথাক্রমে ১৯ ও ২৩ নম্বর স্থানে। এবং উত্তরকাশীর র্যাঙ্কে ২১। প্রসঙ্গত বলা ভাল, গোটা উত্তরাখন্ড জুড়েই উঁকি মারছে ছোট-বড় অন্তত ১২টি হাইড্রো-পাওয়ার প্রোজেক্ট, পাশাপাশি উন্নয়নের নামে আসলে নেমেসিস হয়ে আসা ১,২০০০ কোটির সেই চারধাম প্রোজেক্ট এবং ৯০০ কিলোমিটারের রাস্তা প্রশস্তকরণের মতো আত্মঘাত। চারধাম রুটের বদ্রীনাথ ন্যাশনাল হাইওয়ের ওপর অন্তত ১৩২টি ধস-প্রবণ স্পটের ভেতরে ৩৫টি স্পট একেবারে টাটকা এবং বিপজ্জনক সীমার কাছাকাছি।

মল্লিকা ভানোটের রিসার্চ টিম উত্তরকাশীর ঝালা গ্রামে একটি বিতর্কিত হেলিপ্যাড নির্মাণপ্রকল্পের বিরুদ্ধে নেমেছিলেন। চিহ্নিত করেছিলেন উত্তরকাশীর জামাক অঞ্চলের মানেরি গ্রাম এবং সেখানকার গঙ্গার পার্শ্ববর্তী একাধিক অবৈধ বহুতল রিসর্ট। মল্লিকারা দেখেছিলেন বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের নেতৃত্বে কীভাবে গঙ্গোত্রী স্ট্রেচের চারধাম সড়ক পরিবর্ধনের সময় মানা হচ্ছে না এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট বলে কোনও গালভরা শব্দগুচ্ছ। মিনিস্ট্রি অফ রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড হাইওয়েজ এবং বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের যৌথ দায়িত্বে থাকা ধারাসু-গঙ্গোত্রী স্ট্রেচের ভেতরে পড়ছে এই ধারালি, যার দক্ষিণে হিনা ও টিকা অঞ্চলের ভেতর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন একটি বিতর্কিত বাইপাস নির্মাণে একাধিক স্থানীয় দল বাধা দিয়ে এসেছেন। এমনকী ৬,০০০টি দেবদারু কাটার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটিকে চিঠির পর চিঠি দেওয়া হয়েছে। ধারাসু-গঙ্গোত্রী স্ট্রেচের ভেতরে পড়ছে বিপজ্জনকভাবে স্লোপিং ভাটওয়ারি ব্লক, পড়ছে হারসিলের সরু আগ্নেয় পাথুরে অঞ্চল – যার যে-কোনও একটি সড়ক পরিবর্ধনের পর তৈরি করতে পারে ভয়াবহ বিপর্যয়। তবু, কিছুই হয়নি। কিছুই হয় না। ‘সেইসব হাহাকার-রব’। এবং তাই পরিশেষ বলে হয়তো কিছু নেই। কারণ ওই যে, রাষ্ট্রীয় আত্মঘাতের কোনও সীমা নেই। এই কারণেই বাঁধকে নেহেরুর ‘টেমপ্লস অফ মডার্ন ইন্ডিয়া’ বলার দেশব্যাপী বিরাট ফ্যানফেয়ারের ভেতরে প্রায় ইচ্ছাকৃত চেপে দেওয়া হয়েছিল ১৯৫৮ সালে ‘সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইরিগেশন অ্যান্ড পাওয়ার’-এর বার্ষিক সম্মেলনে সেই নেহেরুরই আরেকটি অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য— ‘We have beginning to think that we are suffering from what we may call ‘disease of gigantism’. We want to show that we can build big dams and do big things… But the idea of having big undertakings and doing big tasks for the sake of showing that we can do big things is not a good outlook at all …’
তথ্যসূত্র
১. Azad, Shivani. Uttarkashi disaster: unchecked construcion, tourism push & human interference trggered flood havoc, says experts; rules flouted for profit. The Times of India. August 7, 2025.
২. Bose, Saikat Kumar. Old vs new development: expert explains what led To Uttarkashi destruction. NDTV. August 6, 2025.
৩. Dharali flood rekindles concerns over felling over 6K trees in eco zone. The Times of India. August 6, 2025.
৪. Ghanekar, Nikhil & Raj Aiswarya. Uttarkashi flash flood site in notified eco-sensitive zone, experts flagged floodplain violations over the past year. The Indian Expess. August 7, 2025.
৫. Himalayan havoc: Fragile ecosystem led to the brink. The Indian Express. August 8, 2025.
৬. Ice rock avalanche behind Uttakashi Dharali disaster: Expert warns against construction in eco-sensitive zones. ETV Bharat. August 7, 2025.
৭. Mishra, Avaneesh. Dharali cloudburst: Why Uttarakhand faces nature’s fury so frequently. India Today. August 7, 2025.
৮. Nandi, Jayashree. Devastation in Dharali spotlights climate change, indiscriminate construction. Hindustan Times. August 5, 2025.
৯. Singh, Kautilya. Uttarkashi mayhem: in Dharali, calendar is written in floods; here, clock icks to the road of Kheer Gad. The Times of India. August 6, 2025.
১০. Uttarkashi is only the latest warning: The reasons behind Uttarakhand’s vulnerability to disasters. The Economic Times. August 5, 2025.