‘পঞ্চায়েত’ ওয়েব সিরিজ ভারতীয় ওয়েব সিরিজের দুনিয়ায় এক মাইলফলক সৃষ্টি করেছে। এই ওয়েব সিরিজের সারল্য এবং হাস্যরস দর্শকরা চুটিয়ে উপভোগ করে এবং আগামীতেও করবে। ইতিমধ্যে চারটি সিজনই ব্যাপক ভাবে প্রশংসিত এবং বাণিজ্যিক ভাবে সফল। তবে সারল্য এবং হাস্যরসের আড়ালে এই সিরিজের ভিত্তি কিন্তু ক্ষমতা দখলের লড়াই। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে তৈরি এই ওয়েব সিরিজে গ্রামের সারল্য থাকলেও, দিন শেষে ফুলেরা গ্রাম পঞ্চায়েত আদতে, সাপ-লুডো খেলার বোর্ড। প্রত্যেকে কিছু না কিছুর জন্য স্বার্থের খেলা খেলছে। রাজনীতির গুটি চালছে, গুলি চলছে, প্রেম হচ্ছে, প্রচার, স্লোগান এবং সবশেষে জীবনের হিসেব নিকেশে মাতছে মৌতাত রাত।
জোনাকি জ্বলা রাতে, চার অসমবয়সী বন্ধু খুঁজে পাচ্ছে জীবনের শান্তি। বিয়ারের বোতলে চুমুক দিয়ে উত্তাল যৌবন কিংবা ভাঙা বার্ধক্যে বিকিকিনি হচ্ছে, ভাল থাকার কৌশল।
পঞ্চায়েতের যারা নির্মাতা, তাঁদের তৈরি বাকি কাজগুলিও ওয়েব সিরিজের জগতে যথেষ্ট সমৃদ্ধ এবং তাঁদেরকেই ভারতীয় ওয়েব সিরিজের পায়োনিয়র বলা হয়ে থাকে। পঞ্চায়েত শুরু থেকেই হিট। প্রতিটা সিজিন শেষে, দর্শকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে, কবে পরের সিজিনটা আসবে! এইটাই তো একটা ওয়েব সিরিজের সাফল্যের মাপকাঠি। কোনও ন্যাকামি নেই, ভনিতা নেই, যৌনতা নেই, ব্রেক ড্যান্স নেই, সিক্স প্যাক নেই; তবুও রমরমিয়ে চলছে পঞ্চায়েত। কিন্তু কেন? কারণ পঞ্চায়তের ভিত্তি— ক্ষমতা দখলের লড়াই। যে লড়াই আমরা সবাই ভালবাসি।

শুরু থেকে নির্মাতা, পঞ্চায়েতের ভেতর যে ক্ষমতা এবং সেই ক্ষমতার চারপাশের রাজনীতি এত সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন, যা দেখে আমরা আসল গল্প থেকে সরে শুধুমাত্র গ্রামের সারল্য এবং হাস্যরসে মেতে থাকি। এই প্রথা ভারতে প্রাচীন। ভারতের প্রতিটি পঞ্চায়েত স্তরের রাজনীতিটা এইভাবেই আবর্তিত হয়ে আসছে এবং আসবে। এটাই তো সিস্টেম চেন। ভারতের অনেক গ্রামে পঞ্চায়েত প্রধানের পদ সংরক্ষিত থাকে মহিলাদের জন্য। তবে বাস্তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্ষমতা থাকে প্রধানের স্বামীর হাতে। সমাজবিজ্ঞানীরা একে বলেন, ‘প্রধানপতি সংস্কৃতি’। পঞ্চায়েত সিরিজে এই বাস্তব ছবিটি খুব সুন্দরভাবে ধরা পড়েছে। ভারতের গ্রামীণ সমাজে স্থানীয় দলাদলি, গোষ্ঠীবদ্ধ রাজনীতি এবং অদৃশ্য জোট খুব স্বাভাবিক ঘটনা। ‘পঞ্চায়েত’ সিরিজেও এই রাজনীতির খেলা স্পষ্ট। ছোট কাজের মধ্যেও কীভাবে রাজনীতি ঢুকে যায়, সিরিজটি তার অসাধারণ উদাহরণ। ভারতের গ্রামে একটি শৌচালয় নির্মাণ, একটি স্ট্রিটলাইট বসানো বা গাছ কাটার মতো ছোট কাজের ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক প্রভাব থাকে। ‘পঞ্চায়েত’ সিরিজেও প্রতিটি ছোট কাজের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই ও ব্যক্তিগত স্বার্থ প্রবলভাবে কাজ করে। আসলে এটি ভারতের গ্রামীণ প্রশাসনে ‘মাইক্রো-লেভেল পলিটিক্স’-এর পরিচিত রূপ।
সিরিজের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে প্রধানের পদ। মঞ্জু দেবী নামে একজন মহিলার নামে পদটি থাকলেও, প্রকৃত ক্ষমতার অধিকারী তার স্বামী ব্রিজভূষণ দুবে। গ্রামাঞ্চলের প্রচলিত বাস্তবতায় এটি খুবই পরিচিত ঘটনা— পুরুষরা মেয়েদের নাম ব্যবহার করে, আসল ক্ষমতা নিজের হাতে রাখে। ব্রিজভূষণ দুবের মধ্যেও রয়েছে নিরাপত্তাহীনতার প্রবল ছায়া। সচিব অভিষেক ত্রিপাঠীর আধুনিক শিক্ষা, শহুরে মানসিকতা, এবং সরকারি ক্ষমতা দুবের মনে এক ধরনের ভয় তৈরি করে— এই মানুষটি একদিন তার কর্তৃত্বের জায়গা কেড়ে নিতে পারে। তাই দুবে সচিবকে কখনওই নিজের সমকক্ষ ভাবতে চায় না। তাকে সবসময় ‘নীচের’ মানুষ হিসেবেই রাখতে চায়। মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি হীনমন্যতা (Inferiority Complex)-এর প্রতিফলন। ব্রিজভূষণ দুবে জানে, সে প্রশাসনিক দিক থেকে দুর্বল, কিন্তু এই দুর্বলতা ঢাকতে সচিবকে সচেতনভাবে খাটো করে রাখে। এটি একপ্রকার অঞ্চল-সুরক্ষার প্রবৃত্তি (Territoriality Instinct)। নিজের এলাকা, নিজের ক্ষমতার গণ্ডি কেউ অতিক্রম করতে পারবে না, এই মনোভাব তার মধ্যে দৃঢ়ভাবে বাসা বাঁধে।

অন্যদিকে, সচিব অভিষেক ত্রিপাঠী শুরুতে নিজেকে এখানকার বাইরের মানুষ বলে ভাবলেও, ধীরে-ধীরে সে বুঝতে শেখে— গ্রামীণ রাজনৈতিক ক্ষমতাও একপ্রকার খেলা। সে বুঝতে পারে, এই খেলার নিয়ম জানলে, সেও ক্ষমতার কেন্দ্র হতে পারে। এখানে অভিষেকের মনস্তত্ত্বে কাজ করে অর্জিত নেতৃত্ব (Learned Leadership) প্রথমে অস্বস্তি, পরে নেতৃত্ব গ্রহণের তাগিদ। তার ভেতর ধীরে-ধীরে তৈরি হয়, নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারার প্রবল আকাঙ্ক্ষা। অথচ, তার মনোজগতে সবসময় চিন্তার দ্বন্দ্ব কাজ করে— সে এখান থেকে পালাতে চায়, আবার এখানেই ধীরে-ধীরে নিজের অবস্থান তৈরি করতে শুরু করে। প্রহ্লাদ ও বিকাশ দু’জনেই ব্রিজভূষণ দুবের ছায়ায় থাকলেও সচিবের আধুনিকতা আর সাহসিকতার প্রতি তারা ক্রমশ আকৃষ্ট হতে থাকে। তারা জানে, ক্ষমতার সঙ্গে থাকলে সুবিধা পাওয়া যায়। মনোবিজ্ঞানের ভাষায়, এরা অনুগামী মানসিকতার নিখুঁত উদাহরণ। যারা কখনও ক্ষমতার সামনে আসে না, কিন্তু সবসময় ক্ষমতার কাছাকাছি থেকে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করে।
মঞ্জু দেবীর চরিত্রটি আরও গভীর। প্রথম সিজনে সে প্রায় নীরব। দ্বিতীয় সিজনে তার মধ্যে নিজের পরিচয় খুঁজে পাওয়ার ইঙ্গিত দেখা যায়। তৃতীয় সিজনে সে স্পষ্টভাবে ক্ষমতার প্রয়োগ শুরু করে। নিজের ক্ষমতা বোঝার প্রক্রিয়া ধীরে-ধীরে গড়ে ওঠে। সে বুঝে ফেলে, ক্ষমতা নামের বিষয় নয়, ক্ষমতা প্রয়োগের বিষয়। পুরো পঞ্চায়েত গ্রামেই শূন্যতার অবস্থান ছিল। আসল ক্ষমতা কে চালাবে— এই নিয়ে অদৃশ্য লড়াই চলছিল। মনোবিজ্ঞান অনুযায়ী, ক্ষমতার জায়গা কখনও ফাঁকা থাকে না। কেউ না কেউ সেখানে প্রবেশ করে। সচিবের আগমন সেই শূন্যতায় নয়া শক্তি যোগ করে। গ্রামবাসীরা সচিবের দিকে ঝুঁকতে শুরু করে কারণ তারা বুঝে যায়, সচিবের সঙ্গে থাকলে সরকারী কাজ দ্রুত হয়। কিন্তু তারা প্রধানপতির সঙ্গেও সম্পর্ক রাখতে চায়। এই দ্বৈত নির্ভরতা মনোবিজ্ঞানে ক্ষমতার উপর নির্ভরশীলতা নামে পরিচিত।



‘পঞ্চায়েত’ সিরিজ আমাদের মনের অজান্তেই বলে দেয়— ক্ষমতার লড়াই কেবল বড় মঞ্চে হয় না, সেটা আমাদের চারপাশের ছোট-ছোট বৃত্তের মধ্যেও চলে। অফিস, পরিবার, বন্ধুবৃত্ত— সব জায়গায় এই নিঃশব্দ খেলা চলতে থাকে। এখানেই সিরিজের বিশাল সাফল্য। আমরা হাসির গল্প দেখতে গিয়েছিলাম, কিন্তু ভেতরে আমরা নিজেদের চেনা রাজনীতির প্রতিফলন খুঁজে পেলাম। পঞ্চায়েত আমাদের শেখায়— ক্ষমতার লড়াই কখনও সরাসরি হয় না, বরং প্রতিদিনের কথাবার্তা, ছোট-ছোট সিদ্ধান্ত, সম্পর্কের সূক্ষ্ম খেয়ালে ক্ষমতা বদলাতে থাকে। এটি ভারতের ক্ষুদ্রতম শাসনব্যবস্থার মধ্যেই সবচেয়ে নিখুঁত রাজনৈতিক খেলাটি দেখিয়ে দেয়। পঞ্চায়েত গ্রামের পুরোনো বলয় ছিল ব্রিজভূষণ দুবে, সচিব অভিষেক ত্রিপাঠী, বিকাশ এবং প্রহ্লাদের চারপাশে ঘোরাফেরা করা এক শক্তিশালী দল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে এই বলয়ে ফাটল ধরে। স্থানীয় বিরোধিতা, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত এবং ব্যক্তিগত অহঙ্কারের সংঘর্ষের ফাঁকে নতুন এক লবির জন্ম হয়— যার নেতৃত্বে ছিল ভূষণ, ক্রান্তি দেবী, মাধব ও বিনোদ। ভূষণ ছিল মূল চালক। সে খুব নিঃশব্দে কাজ করত, কিন্তু তার লক্ষ্য ছিল পরিষ্কার— পুরোনো বলয় ভেঙে নতুন শক্তি প্রতিষ্ঠা করা। ভূষণ জানত, গ্রামে ভোটারদের একটা বড় অংশ প্রশাসনের অনিয়মে এবং পুরোনো নেতাদের প্রতি বিরক্ত। সে এই অসন্তোষকে হাতিয়ার করল। সচিবের সাময়িক বদলি, প্রধানপতির প্রশাসনিক দুর্বলতা— সবই সে অত্যন্ত কৌশলে গ্রামবাসীর সামনে তুলে ধরল। সে বুঝেছিল, মানুষের মনে বিরোধিতার বীজ রোপণ করতে হলে, ছোট-ছোট অসন্তোষকেই বড় করে দেখাতে হয়।
আমরা সাধারণ মানুষ আসলে ক্ষমতা দখলের লড়াই ভালবাসি, কারণ সেই লড়াই আমাদের জীবনের গভীরে গাঁথা। আধুনিক সমাজ যতই সভ্য হোক, মানুষের মনের গভীরে আজও ক্ষমতার প্রতি এক গভীর আকর্ষণ রয়ে গিয়েছে।
ক্রান্তি দেবী এই লবির মুখ। সমাজে মহিলাদের এগিয়ে আনার নামে, সে নিজেকে গ্রামোন্নয়নের নতুন প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করল। কিন্তু প্রকৃত ক্ষমতার কেন্দ্রে ছিল ভূষণ। ক্রান্তি দেবী কেবল সামনের মানুষ, যার আড়ালে ভূষণ গ্রামে নিজের শক্তি বিস্তার করছিল। এটি ভারতের বহু পঞ্চায়েত নির্বাচনে পরিচিত কৌশল— সংরক্ষিত পদে মহিলা প্রার্থী দাঁড়ালেও প্রকৃত ক্ষমতা থাকে পুরুষ নেতার হাতে। মাধব ও বিনোদের ভূমিকা ছিল আরও বাস্তববাদী। অন্যদিকে রিঙ্কি এবং সচিব অভিষেক ত্রিপাঠীর প্রেম সিরিজে একদিকে যেমন সরল আবেগের গল্প, অন্যদিকে এটি সূক্ষ্মভাবে ক্ষমতার খেলার অঙ্গ। মনোবিজ্ঞান অনুযায়ী, মানুষ অবচেতনভাবে এমন সঙ্গী বেছে নিতে চায়, যার মাধ্যমে তার সামাজিক অবস্থান ও প্রভাব শক্তিশালী হতে পারে। মানুষের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পারস্পরিক লাভের ভিত্তিতে। সচিব প্রথমে বাইরের মানুষ হলেও, ধীরে-ধীরে গ্রামের ক্ষমতার বলয়ের কেন্দ্রে চলে আসে। প্রধান পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক তার সামাজিক পুঁজিকে আরও বিস্তার দেয়। অন্যদিকে, রিঙ্কির পক্ষেও সচিবের সঙ্গে সম্পর্ক ভবিষ্যতের নিরাপত্তা ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করে। এটি মনোবিজ্ঞানে প্রতীকী মিত্রতার উদাহরণ। প্রেমের আড়ালে এই সম্পর্কও একধরনের অদৃশ্য ক্ষমতার সংযোগ, যেখানে ব্যক্তিগত আবেগ ও সামাজিক শক্তি একে অপরকে সম্পূর্ণ করে।

আমরা সাধারণ মানুষ আসলে ক্ষমতা দখলের লড়াই ভালবাসি, কারণ সেই লড়াই আমাদের জীবনের গভীরে গাঁথা। আধুনিক সমাজ যতই সভ্য হোক, মানুষের মনের গভীরে আজও ক্ষমতার প্রতি এক গভীর আকর্ষণ রয়ে গিয়েছে। মনোবিজ্ঞানে বলা হয়, মানুষের এলাকা ও আধিপত্যের প্রবৃত্তি জন্মগত। আমরা অবচেতনেই নিজের মত, জায়গা, আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এই মনস্তত্ত্বের সঙ্গে সমাজের কাঠামো মিলেমিশে তৈরি করে এক ধরনের ক্ষমতার খেলা— যেখানে কে কার উপরে, কে কার থেকে প্রভাবশালী, এটাই প্রধান প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। পঞ্চায়েত সিরিজ এই মনস্তত্ত্বটিকে নিখুঁতভাবে ধরেছে। গ্রাম্য প্রশাসনের ছোট্ট ক্ষমতার কেন্দ্রে কীভাবে একাধিক চরিত্র জড়িয়ে পড়ে, কীভাবে প্রত্যেকেই নিজের মতো করে লড়াই চালিয়ে যায়, সেটা যেন আমাদের নিজের জীবনকেই মনে করিয়ে দেয়। আজকের সমাজে কর্মক্ষেত্রে, পরিবারে বা সম্পর্কেও আমরা ঠিক এই লড়াইটাই দেখি— আমরা হয় নিজে জয়ী হতে চাই, নয়তো জয়ী কারও সঙ্গে থাকতে চাই। তাই আমরা সচেতনভাবে না ভাবলেও, ক্ষমতার টানাপোড়েনের

গল্প দেখতে দেখতেই আমাদের বেশি আনন্দ হয়। সামাজিক মনোবিজ্ঞান বলছে, ক্ষমতার লড়াই দেখার সময়ে আমাদের মস্তিষ্কের ডোপামিন রিসেপটর সক্রিয় হয়, কারণ কে হারবে, কে জিতবে— এই প্রশ্ন আমাদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করে। এই উত্তেজনা আমাদের আনন্দ দেয়। তাই পঞ্চায়েতের মতো গল্প আমাদের ভাল লাগে, কারণ এটি দেখায়— ছোট পদ, ছোট গণ্ডিতেও কেমন করে মানুষ নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, কেমন করে একজন হারিয়ে যাওয়া সচিব ধীরে-ধীরে নিজের গুরুত্ব বুঝে ফেলে, কেমন করে ক্ষমতার জন্য মানুষ নিজের লোককেও দমিয়ে রাখতে চায়। আমরা নিজের অজান্তেই এই গল্পের সঙ্গে মিশে যাই। কারণ পঞ্চায়েত দেখিয়ে দেয়— ক্ষমতার লড়াই কেবল দিল্লির সংসদে বা বড় কর্পোরেট অফিসে হয় না, এটা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে, আমাদের চারপাশেই নিত্য চলছে। এই চেনা বাস্তবতাই আমাদের মুগ্ধ করে। আর এই কারণেই ক্ষমতার লড়াই আমাদের এত প্রিয়। আমরা জানি, এটাই আমাদের জীবন, এটাই আমাদের সমাজের সত্য।