

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ২৬
‘দেখা কি হবে কখনও, ওই অন্ধে ও কাছিমে?/ শুনবে তারা সমুদ্রের যত অভিজ্ঞতা?/ এই অপার দৃষ্টিহীন স্থবির ইতিহাসে/ সবই তো আছে। কেবল নেই মাঝির কোনও কথা।’ নতুন কবিতা।
‘দেখা কি হবে কখনও, ওই অন্ধে ও কাছিমে?/ শুনবে তারা সমুদ্রের যত অভিজ্ঞতা?/ এই অপার দৃষ্টিহীন স্থবির ইতিহাসে/ সবই তো আছে। কেবল নেই মাঝির কোনও কথা।’ নতুন কবিতা।
‘ব্রহ্ম ঠাকুর হঠাৎ এ রকম লাল রঙা চশমা পরবেন কেন? তাঁর মুখই বা অমন দয়ামায়াহীন ঠেকবে কেন? আশ্চর্যের হিসেব হঠাৎ গুলিয়ে গেল। সে মনেমনে ভাবল— লোকটার কথাই কি তবে ঠিক? এ বোধহয় সত্যিই ড: ব্রহ্ম ঠাকুর নয়। তাহলে রহস্যময় এই ব্যক্তিটি আসলে কে?’
‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারা এখনও শূন্য থেকে কোনও কিছু ‘সৃষ্টি’ করতে পারে না, যেটা মানবজাতি হাজার-হাজার বছর ধরে করে আসছে। চ্যাটজিপিটি আর মিডজার্নি শুধুমাত্র আন্তর্জালের বিভিন্ন এলিমেন্টকে নানাভাবে অনুকরণ বা রেপ্লিকেট করতেই শিখেছে।’ এআই-এর ক্ষমতা।
‘বুড়ো পাঁঠা চিবোতে গিয়ে চোয়াল খুলে যাওয়ার জোগাড়। আর বোঁটকা গন্ধ। তবু তা-ই বা দেয় কে? জুত করে আলু-ঝোল দিয়ে ভাত খাচ্ছিল সুবল। একটু মেটুলিও রেখেছিল শেষপাতে খাবে বলে। তিনকড়ির অবস্থা দেখে খাওয়া মাথায় উঠল।’ নতুন গল্প।
আর্দ্রতা এবং দার্ঢ্য যিনি একইসঙ্গে মিলিয়ে দিতে পেরেছিলেন তাঁর কবিতার মধ্যে, তিনি গীতা চট্টোপাধ্যায়। একদিকে চিরন্তন বাংলার নানা অনুষঙ্গ, অন্যদিকে সংলাপধর্মী স্বতন্ত্র বাচনভঙ্গি তাঁর কবিতাকে অনন্য করে তুলেছে।
‘সোজা কথায় প্রতিভাকেও এখন নির্মাণ করা যাচ্ছে, এতে কিছু মানুষের আঁতে লেগেছে ঠিকই। দুশ্চিন্তাও জেগেছে: যদি অ্যাপ এসে ভাল কবিতা লিখতে শুরু করে, তাহলে কবিদের কী হবে?’ এআই-ভীতি।
‘কোনও বিশাল কিছু আমাদের করার নেই। আমাদের ইলেকট্রিসিটিতে ভক্তি নেই, ব্যাটারিতে ভক্তি নেই, ফোটনে ভক্তি নেই, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং-এ ভক্তি নেই, আমরা মেশিনের জাত। চুপচাপ নিজের কাজ নিজে করি।’ ম্যাকির ভক্তির ধারণা।
‘আমার সৌভাগ্য যে আমার সঙ্গে সাহির লুধিয়ানভীর খুবই ভাল আলাপ ছিল। আমার সৌভাগ্য যে আমি ওঁর নিজের মুখে শুনেছি, ওঁর কবিতা, ওঁর বিশ্বাস এবং ওঁর গজলের নিখুঁত প্রকরণ সম্পর্কে কথাবার্তা।’ সাহির লুধিয়ানভীর শতবর্ষে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণ।
‘মাইক্রো জেরক্স টুকলিবাজদের অনেক হ্যাপা কমিয়ে দিল, বই-খাতারাও আকছার ছেঁড়াছেঁড়ির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেল। অন্যদিকে পরীক্ষার মরশুমে পাড়ায়-পাড়ায় জেরক্সের দোকান হয়ে উঠল মাইক্রো জেরক্সের মেগা-হাট।’ টোকাটুকির সাতসতেরো।
‘আমি তাকিয়ে থাকলাম কিছুক্ষণ, তারপর হাত রাখলাম অসংখ্য ছিদ্রে ভরা সেই সাদা পাতার উপর। এই তাহলে আমার কবিতা? কত-কত মানুষের কাছে আমার লেখার চেহারা তাহলে এই? অথচ তার শরীর স্পর্শ করেও তাকে আমি চিনতে পারছি না, বুঝতে পারছি না।’ কবিতার রহস্য।
কেরালায় এক যুবকের সমাধিফলকে একটি কিউআর কোড দেওয়া রয়েছে। সেটিকে স্ক্যান করলে একটি ওয়েবসাইটে যুবকের জীবন্ত মুহূর্তের অনেক কিছু রয়েছে। বিদেশে এখন সমাধিতে কিউআর কোডের চল শুরু হয়েছে। সময়ের সঙ্গে নতুন এবং পুরনোকে সংরক্ষণের প্রচেষ্টা।
‘অন্ধকার সিঁড়িগুলো অনেকটা নীচে নেমে এসে মাটির তলার একটা করিডোরে মিশেছে। এখন সেই করিডোর ধরে এগিয়ে চলেছেন দু’জন অন্ধকারের অভিযাত্রী। কিশিমোতোর হাতে ধরা টর্চের আলোটুকুই তাঁদের কাছে এখন অন্ধের যষ্ঠি।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.