

স্থাপত্যের অন্দরে
‘১৯৪৯-৫০ সালে চলচ্চিত্রে ধারণ করা বাংলার কয়েকটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য ও বর্তমান সময়ে সেগুলির চিহ্নিতকরণ— চলচ্চিত্র-নির্মাণের প্রেক্ষিতে তো বটেই, আঞ্চলিক ইতিহাসের উপাদানের পট-পরিবর্তন বিশ্লেষণেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।’
‘১৯৪৯-৫০ সালে চলচ্চিত্রে ধারণ করা বাংলার কয়েকটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য ও বর্তমান সময়ে সেগুলির চিহ্নিতকরণ— চলচ্চিত্র-নির্মাণের প্রেক্ষিতে তো বটেই, আঞ্চলিক ইতিহাসের উপাদানের পট-পরিবর্তন বিশ্লেষণেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।’
‘আর কিছু পারে না নিজেকে এক্সপ্রেস করার জন্য? জামা খুলে খুলে নিজেকে এক্সপ্রেস করতে হবে? একজন ব্যক্তির যদি অর্থ ছাড়া আর কিছুই না থাকে নিজেকে এক্সপ্রেস করার, সে তো অবশ্যই গরীব।’
‘নীলা-নীলাব্জ’। পর্ব ১৮…
‘জানা গেল মাটির তলা দিয়ে ট্রেন যাবে, তারই প্রস্তুতি শুরু হবে। বলে কী! আমার ছোট্ট ব্রেনে নানারকম প্রশ্ন উদিত হতে থাকল। দিব্যি মাটির ওপর দিয়ে লোকজন যাচ্ছে, বাস-ট্রাম দৌড়চ্ছে, বাবা অফিস যাচ্ছে সেইসব চড়ে, তা হলে খামখা মাটির তলা দিয়ে ট্রেন যাবে কেন? কী করেই-বা?’
‘…শুনলাম, কোন ম্যাজিকে বালির ওপর দাঁড়িয়ে আছে এত উঁচু বাড়ি। অনেকটা নীচে কংক্রিট পাইল করে, ওপরের জমিতে পাথর আর কংক্রিট দিয়ে বেঁধে তবে দাঁড় করাতে হয়েছে স্থাপত্যের এই বিস্ময়কে। শুনে নতুন করে আর অবাক হলাম না যে, এই হোটেলে আছে আন্ডারওয়াটার রেস্তরা।’
‘ডেটলাইন’ পর্ব ৩১…
“পঞ্চাশ বছরেরও বেশি হল সৈয়দ মুজতবা আলী আর আমাদের মধ্যে নেই। এই বহুভাষাবিদ, প্রাবন্ধিক, গল্পকার-ঔপন্যাসিক, অনুবাদক, ভ্রামণিক মানুষটিকে আমরা শুধু মনে রাখলাম তাঁর রসিকতাগুলোকে, আর কিছুটা মনে রাখলাম তাঁর তৈরি ‘যাবনিক’ শব্দ মেশানো নিজস্ব এক ভাষাভঙ্গিকে।”
‘যাঁরা তাঁর বিরোধী, যাঁরা তাঁর স্বপক্ষে— সকলেই জানেন যে, গোদার প্রতিভা না চালাকি এই প্রশ্ন আজ অবান্তর। পৌত্তলিক ও নাস্তিক, উভয় পক্ষই মেনে নিয়েছেন গোদার আর নেহাত চলচ্চিত্র-স্রষ্টা নন, বরং বিশ শতকের ইতিহাসে একটি সাংস্কৃতিক গ্রাফিত্তি।’
গোদারের মৃত্যুবার্ষিকীতে বিশেষ নিবন্ধ…
‘এখন সে-আইন উঠে গেছে বটে, কিন্তু আজও বৃহত্তর সমাজে যৌনসংখ্যালঘু মানুষেরা ঘৃণার শিকার নন কি? যাঁদের জীবন এমনিতেই নরক করে রাখার চেষ্টা করে সমাজ ও রাষ্ট্র, তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য, তাঁদের অনটন আর তাঁদের আত্মহনন নিয়ে সেই সমাজ আর রাষ্ট্র আদৌ চিন্তিত হবে কি?’
বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসে বিশেষ নিবন্ধ…
‘যার পারকিনসনস আছে, যে সেরিব্রাল পালসি, যে অটিস্টিক, তার বুঝি যোগ্যতা নেই স্টেজে ওঠার? একান্ত যাপনের দর্শন দিয়ে তাকে আরও কোণঠাসা করার খেলা খেলছি না কি আমরা? পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার বাঁশির দমবন্ধ স্বর তাঁর সম্পর্কে যত-না, আমাদের সম্ভ্রমহীন অহেতুক বাচালতা সম্পর্কে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়ে গেল আরও বেশি।’
‘এমনিতে ছবির ভঙ্গিটা কেজো, যেন, যা হচ্ছে তা দেখাচ্ছি, ওরা কথা না বললে আমি তো আর সংলাপ তৈরি করে দিতে পারি না। চরিত্র দু-জনকে দেখানো হয় কোনও একটা দোকানে ঢুকে খাবার কিনছে, ফুটপাথ দিয়ে হাঁটছে, কোনও খেলার দোকানে ঢুকে স্ক্রিনে একবার কাটাকুটি খেলল, ভারী সুটকেসটা স্টেশনের সিঁড়ি দিয়ে টানতে টানতে তুলছে, টিকিট নেই বলে মেট্রো রেলের গেটের তলা দিয়ে গলে বেরিয়ে গেল। কিন্তু ছোট ছোট আঁচড়ে বহু কথা বলা হয়।’
আরও অজস্র সম্ভারের মধ্যে উত্তমকুমারের জন্মকুণ্ডলী যেমন আছে, তেমনই গৌরীদেবীকে লেখা (কোন সময়ের, তা স্পষ্ট নয়) একরাশ চিঠিতে ক্ষমাপ্রার্থনা ও প্রেমের সে আশ্চর্য এক মিশেল! কোনও চিঠি আবার প্রোডাকশন হাউজের লেটারহেডে লেখা। ‘নায়ক’-এর পর সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে বার্লিনে গিয়ে বলছেন, ‘আর ভালো লাগছে না। সারাদিন খালি ছবি দেখা, পার্টীতে যাওয়া, মদ খাওয়া। আর ভালো লাগছে না! সত্যিই!’
‘প্রথমে অবশ্য তলস্তয় ভেবেছিলেন, তিনি সমাজসেবা করবেন। ইশকুল বানিয়ে বিনে পয়সায় চাষির ছেলেদের পড়াবেন। রুশোর লেখা পড়েই তলস্তয় এসব ভেবেছিলেন। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হল। বাবুদের কৃপণ অনুগ্রহে গতর-খাটানো মজুর ভুলবে কেন? একদিনে নয়, কিন্তু ধীরে-ধীরে তলস্তয় বুঝলেন, হিতসাধনেরও অধিকার অর্জন করতে হয়।’
‘‘হয়তো আমি না, ওই সময় আমাকে দিয়ে বলিয়ে নিল, ‘না মৌলবিছাব, আপনের লগে গেলে মুসলমানেরা আমারে কাইট্যা ফালাইব।’ মৌলবিসাব স্তব্ধ, সমস্ত ক্লাসও স্তব্ধ। কয়েক সেকেন্ড পরে মৌলবিসাব দু-চোখ বিস্ফারিত করে বললেন, ‘তুই আমারে এত বড় একটা কথা কইলি বাবা!’’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.