

স্বাধীনতা হীনতায়…
‘ফ্রান্স তার বিপ্লবের ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করতেই পারে। কিন্তু ফ্রংকোফোন আফ্রিকা বা ফরাসিভাষী আফ্রিকার অধিকাংশ মানুষের চোখে এখন তার কোনও মূল্য নেই। প্রাক্তন এই উপনিবেশগুলো খাতায়-কলমেই স্বাধীন। আজও তারা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পায়নি।’
‘ফ্রান্স তার বিপ্লবের ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করতেই পারে। কিন্তু ফ্রংকোফোন আফ্রিকা বা ফরাসিভাষী আফ্রিকার অধিকাংশ মানুষের চোখে এখন তার কোনও মূল্য নেই। প্রাক্তন এই উপনিবেশগুলো খাতায়-কলমেই স্বাধীন। আজও তারা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পায়নি।’
“জল আমাদের ব্যথা বোঝে, কিন্তু স্থল? নিজেকে প্রশ্ন করি, সামতাবেড়ে আলাপ হওয়া হরিদাস পাড়ুইয়ের মতো আমি কি কোনওদিন অত সহজে কাউকে বলে উঠতে পারব, ‘খাড়ায়েন কত্তা, মোরা ময়দানের খেলোয়াড়, যাব আর আইব’? জানি, পারব না।”
‘জরুরি অবস্থা যখন এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে সমাজদেহে জাগছিল মুক্তিব্যাকুল উসখুস। বিশেষত ছটফট করছিল সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্পজগতের মানুষজন। নাটকের দলগুলি নড়াচড়া শুরু করে দিয়েছিল।’
‘ছেচল্লিশ বছরে এমন অনেক দিন গেছে, অনেক সন্ধে গেছে, যখন কেবল আড্ডাই মেরেছি। প্রসেনিয়াম থিয়েটার দলগুলোর মতো আমাদের টার্গেট পয়েন্ট ছিল না। আড্ডা দিতে-দিতে, ইচ্ছেখুশির পাল তুলে দিয়ে খেয়ালখুশির ভেলায় চড়ে আমরা কাটিয়ে দিলাম এতগুলো বছর!’
‘এদিকে ফোনে চার্জ কমতে-কমতে প্রায় শূন্য আবিষ্কারের দোরগোড়ায়। বাস যাবে আরও পঁয়তাল্লিশ মিনিট। তারপর হয়তো আরও দশ মিনিট হাঁটতে হবে। এই সময়টা বাড়ির ফোন আসবে না ভেবে আপনি নিশ্চিন্ত হবেন, না কি, যাকে বলে ‘প্যানিক’, তা গ্রাস করবে আপনাকে?’
‘চিকিৎসকের সেই শিরশিরে অস্বস্তি, সেই উৎকণ্ঠা… প্রতিটি শব্দ নিক্তিতে মেপে উচ্চারণ করা, অথচ শব্দগুলো এমনভাবে বলতে হয় যেন একেবারেই স্বতঃস্ফূর্ত! মৃত্যুপথযাত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে রোজ এই একই অভিনয় চালিয়ে যাওয়া, এ-ও কি একপ্রকার ‘জরুরি অবস্থা’ নয়?’
আমাদের প্রতিদিনের আচার-আচরণ, জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাসর ইচ্ছা এবং লোভ— এক বৈশ্বিক হুমকি (global threat) অবচেতন ভাবে আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এখানে তথাকথিত শিক্ষা, অর্থ, সংস্কৃতি সবই গুরুত্বহীন।
হারিয়ে যাচ্ছে মূল সংগীত, থেকে যাচ্ছে ভাইরাল অংশটুকু। সংগীত এবং তার উৎস এককালে ছিল গানের জগতের মূল বিষয়। কিন্তু বর্তমান সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হারিয়ে
‘গত পঞ্চাশ বছরে এমারজেন্সির আলোচনা থেকে দলিত এবং সমস্ত নিম্নবর্ণের মানুষকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, সংবাদ সংস্থাগুলির অধিকার খর্ব করা হয়েছে, যা-খুশি করতে দেওয়া হয়নি।’
‘‘এমারজেন্সি তুলে নেওয়ার পর কারাঞ্জিয়া নিজেই ‘ফিল্মফেয়ার’-এ লেখেন যে, চলচ্চিত্র বাণিজ্যের এতটাই ক্ষতি হয়ে গিয়েছে যে, তার মেরামত প্রায় অসম্ভব। এই সময়েই বলিউডে ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’-এর আবির্ভাব, যা অনেকটাই ‘জরুরি অবস্থা’-র ফসল।’’
‘পত্রিকাটির মোট আশিটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল। সেই সব ক’টি সংখ্যাকে প্রতিলিপি সংস্করণের (Facsimile Edition) মাধ্যমে তিনটি খণ্ডে বিন্যস্ত করে প্রকাশ করা হয়েছে, যা বাংলা সংবাদ-সাময়িকপত্র সংকলনের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত ব্যতিক্রমী ও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রইল।’
‘‘বিষাদকে সিনেমায় মহৎ করে তোলেন গুরু দত্ত। ‘পেয়াসা’ বা ‘কাগজ কে ফুল’ হয়তো সমসময়ে সেই মাপের স্বীকৃতি পায়নি, কাল্ট হয়ে উঠেছে পরে, ধীরে ধীরে, কিন্তু কেবল ভারতীয় নয়, বিশ্ব সিনেমার ইতিহাসেও, এই দুটো ছবি আর্কাইভে থেকে যাবে।’’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.