পত্রিকা

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ জিয়া নস্টাল : পর্ব ৩৮

‘দূর-দূর সব পাড়া থেকে অসুখ-করা মানুষজন ডাক্তারবাবুকে দেখাতে আসতেন। আর একবার আসা মানেই সারাজীবন আসা। তাঁর ওষুধে এমনই কাজ হত যে, হরেক রকম অসুখে তাঁরই কাছে আসতে বাধ্য হতেন সকলে।’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ৩৮

‘তবে ডাক্তার ডাকতেই হল। নিধিকাকা নিজে গিয়ে নিয়ে এল, পাড়ার সেই নাড়ি-টেপা ভূধর ডাক্তারকে। দাগ-দেওয়া বোতলে লাল-মিক্সচার দিয়ে ডাক্তার বলে গেলেন, রক্তপরীক্ষা করাতে; তাতেই ধরা পড়ল যে, টাইফয়েড হয়েছে সুপ্রভার।’

শান্তনু চক্রবর্তী

পরিমিতির শৈলী

‘গত বছরেই ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা-র রেপার্টরি ‘তমস’ নিয়ে নাট্যপ্রযোজনার কথা ভেবেছিল; তখনও হিন্দুত্ববাদীদের তরফে সেই পুরনো অভিযোগ উঠেছিল— সাহনি বামপন্থী, সুতরাং নিরপেক্ষ নন। তাই তাঁর সাহিত্য থেকে কোনও প্রযোজনা করা চলবে না, করা যায়ওনি।’

তপশ্রী গুপ্ত

ডেটলাইন : পর্ব ৪

‘কিছুটা গিয়েই মনে হল, নির্জন সৈকতে পিছু-পিছু কেউ আসছে। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি চেনা মুখ। তিন বছরেও ভুলিনি। সে অবশ্য আমাকে চিনতে পারেনি। লোকটার চেহারাটাও বিচিত্র, চোয়াড়ে মার্কা, পাক্কা দালাল বোঝাই যায়। বিদেশিরাই ওর টার্গেট, তাই চোস্ত ইংরেজি বলে।’

অনুপম রায়

সং স্টোরি শর্ট : পর্ব ১৭

অল্পবিস্তর বদলেই বদলে যেতে পারে একটা গানের অভিমুখ, অভিপ্রায়। ২০০৬ সালে লেখা প্রেমের গান ‘বাড়িয়ে দাও তোমার হাত’ পরিণতি পায় ২০১১-তে, ‘চলো পাল্টাই’ চলচ্চিত্রে পিতা-পুত্রের সম্পর্কের টানাপোড়েনের ব্যাকড্রপে। এই পর্বে সেই গানের গল্প।

সুজান মুখার্জি

শিল্পীর মন, সংগ্রহের বাতিক

‘পাহাড়ি শিল্পীদের থেকে অবনীন্দ্রনাথ সংগ্রহ করেন মিনিয়েচার ছবি আঁকার কায়দা। তাইকান, হিশিদা বা কাতসুতার মতন জাপানি শিল্পী-বন্ধুদের সংস্পর্শে এসে তিনি তুলি চালানোর নতুন শৈলী আবিষ্কার করেন এবং অজন্তা গুহাসমূহের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ফিরে যান এক দেশজ ক্লাসিসিজ্‌ম-এর দিকে।’ শিল্প-সংগ্রাহক মন।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং : পর্ব ৫৯

‘কিছু ভেজাল ঢুকে পড়েছে বলে একটা তীব্র গনগনে আন্দোলন ভ্রষ্ট হয়ে যায় না, তার আবেদন ও অবদান এতটুকু কমে না। কিন্তু এই সত্যটা না-ভোলা দরকার, এই আন্দোলনে অনেক লোক আছে, যারা শুধু খার ও প্রতিহিংসা বমন করছে।’

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

নীল কেটলি : পর্ব ২

‘আমার কাছে তখন ময়মনসিংহের মতো এমন রূপকথার রাজ্য আর কোথাও নেই।… ব্রহ্মপুত্রের ও-পারে ছিল বিস্তীর্ণ তৃণভূমি, শরৎকালে জায়গাটা কাশফুলে ভরে যেত। আর শীতকালে ব্রহ্মপুত্রে বড়-বড় চর পড়ত।’ শৈশবের আনন্দময় স্মৃতি।

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ৩৭

‘খাতির দেখে তরুলতারও আর বুঝতে বাকি রইল না যে, কতখানি পদোন্নতি হয়েছে তার স্বামীর। গাড়ি স্টার্ট দিয়ে গোপের পথ ধরতেই, সকলের চোখ এড়িয়ে তরঙ্গনাথকে প্রণাম করল তরুলতা; আড়ষ্ট তরঙ্গনাথ গভীর দৃষ্টিপাতে কিছুক্ষণ চেয়ে রইলেন তরুলতার দিকে।’

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা : পর্ব ৪১

এই অস্থির সময়ে যখন এক ঘন কালো মেঘ জড়িয়ে রয়েছে, তখন ত্রাণ হয়ে আমাদের পাশে দাঁড়ায় মায়া এঞ্জেলোর কবিতা। আমরা সবাই জানি, তিনি কালো মেয়েদের পক্ষে, তাদের অধিকারের পক্ষে লিখে গেছেন। কিন্তু এটুকুই কি সব?

সপ্তর্ষি রায় বর্ধন

চা বাগানের গান

‘১৮৩৪ সালে লর্ড বেন্টিঙ্ক তৈরি করেন কমিটি অন টি কালচার এবং সেই কমিটির সুপারিশে আসামের জলা-জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ি ঢাল এবং পতিত জমি তখন থেকে ক্রমশ ঢাকা পড়ে চা বাগিচার সবুজ গালিচায়। তার চার বছর বাদে ‘ক্যালকাটা’ জাহাজে চেপে প্রথম চা রপ্তানি হয় ব্রিটেনে।’

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক : পর্ব ৬৮

নির্ভয়া কাণ্ডের পর বারো বছর কেটে গেলেও ভারতের মেয়েরা কোনও ক্ষেত্রেই নিরাপত্তা পায়নি। পিতৃতন্ত্রের ধ্বজা সমাজে এমন পোঁতা রয়েছে যে মেয়েরাই হয়ে উঠেছে তার মূল ধারক-বাহক। এই মানসিকতা বদলাতে না পারলে, ঘরে-বাইরে কোথাও মেয়েরা নিরাপত্তা পাবে না।