

রবীন্দ্রনাথের প্রিয় সম্পাদক
রবীন্দ্রনাথ যে আমৃত্যু সবুজের অভিযানেই ভরসা করতেন বেশি— তার এক আশ্চর্য প্রকাশ হয়ে আছে
প্রিয় সম্পাদক কিশোরীমোহন সাঁতরাকে লেখা তাঁর চিঠিগুলি। বইমেলার আবহে লেখক-সম্পাদক সম্পর্ক নিয়ে বিশেষ নিবন্ধ।
রবীন্দ্রনাথ যে আমৃত্যু সবুজের অভিযানেই ভরসা করতেন বেশি— তার এক আশ্চর্য প্রকাশ হয়ে আছে
প্রিয় সম্পাদক কিশোরীমোহন সাঁতরাকে লেখা তাঁর চিঠিগুলি। বইমেলার আবহে লেখক-সম্পাদক সম্পর্ক নিয়ে বিশেষ নিবন্ধ।
‘সাগরপাড়েই রয়েছে কলম্বাস পার্ক ওপেন এয়ার মিউজিয়াম। এখানে সাজানো ওই নোঙরটা কি সত্যিই কলম্বাসের? ভাবলাম, কলকাতার জাদুঘরে যদি মিশরের মমি থাকতে পারে, তাহলে ডিসকভারি বে-তে কলম্বাসের নোঙর তো অবিশ্বাস্য কিছু নয়!’
‘রীতিমাফিক সেদিনও সেই ছাত্রীরা ফার্স্ট বেঞ্চার। মৃতদেহের ঠিক পাশেই ওরা রয়েছে। চার-পাঁচটা সারি পিছিয়ে আমরা দাঁড়িয়ে। ফলে, গন্ধের আক্রমণটা মূলত ওদের ওপরেই হল। আর ওরাও, প্রায় পটাপট অজ্ঞান হতে শুরু করল।’
‘গত দুশো বছর ধরে পৃথিবীর হেন জায়গা নেই, যেখানে তিনি যাননি, হেন ঘটনা ঘটেনি, যার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। সেই ঘনাদার গল্প। গল্প না গুল্প, সেটা বিচার করার কোনও তাগিদ নেই আমাদের।’
‘প্রতিদিন সকালবেলা মাইতি, ঘোষ বা চ্যাটার্জিদা-রা পড়ি-কী-মরি করে ট্রেন ধরেন দত্তপুকুর বা পায়রাডাঙা থেকে, ট্রেনে তাঁদের ফোন বেজে উঠলে তাঁরা জানেন, এইবার হিন্দি ভাষায় তাঁদের নির্দেশিকা অথবা গালি শুনতে হবে ওপরমহল-এর কাছ থেকে।’
‘পাঠক-দর্শকরা মাঠ থেকে বেরনোর জন্য আর স্টল মালিকরা যথাসম্ভব বাইরে ছুড়ে ফেলে বই বাঁচানোর চেষ্টায় পাগলপারা। একেবারে অরাজকতার চূড়ান্ত।’
‘সরস্বতী পুজো, আকবর প্রবর্তিত নতুন শিক্ষাব্যবস্থা এবং রঘুনন্দনের বিধান— এই তিনের মধ্যে একটি আন্তঃসম্পর্ক রয়েছে, হতেই পারে সে সম্পর্ক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ।’
‘খুশবন্তের জীবনে রং। এবং তাঁর লেখাতেও রং। একটা সহজ জ্যান্তভাব উথলে উঠছে তাঁর প্রাত্যহিক জীবনে, তাঁর সহজ লেখায়।’
‘যদি কারও মনে হয়, এই আড্ডা শুধুই নেশার চক্কর— তাহলে একেবারে ভুল হবে। লেখা, মানে কবিতা প্রায় রোজই পড়া হত। সোমকের মুচমুচে, পার্থর অসামান্য গদ্য শুনেছি।’
‘প্রতি ক্ষেত্রেই গল্প, কখনও বা গাথা, হয়ে ওঠা কথনসমূহের মধ্যে ঢুকে পড়েছে আশপাশের আরও অনেক উপকথা বা উপকাহিনি। মৌখিক কথার বিশেষত্ব নদীর মতো বেড়ে উঠতে থাকার এই স্বাধীনতা।’
‘ভাই সাট্টা তো লো ক্লাসের খেলা। তুমি খেলবা ক্যান? তোমরা উচ্চ বংশ। ব্রিজ খেলো। বুদ্ধি থাকলে জিতবা। আমি যে নো ক্লাসে বিলং করি, তা তাকে কী করে বোঝাই? তিনি কিছুতেই খেলা শেখালেন না, শুধু বললেন, তোমাদের ক্লাসের লোকের নম্বর আইব না।’
‘রোগীর ছেলে আমার হাতে একশো টাকার নোট গুঁজে দিয়ে বলল, ‘বহোত শুকরিয়া সাব।’ মনে আছে, খুব রেগে গিয়েছিলাম। ছেলেটিকে ধমক দিয়ে বলেছিলাম, ‘ডাক্তারি করার জন্য সরকার থেকে আমাকে মাইনে দেয়। তুমি টাকা দেওয়ার কে হে?’’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.