সময় এখন দীর্ঘদিন ধরে মেঘের মধ্যে আটকে আছে। দীর্ঘ বর্ষাকাল, বিলম্বিত লয়ের গানের মতোই, ঢিমে তালে এগিয়ে চলেছে। এই শহরে এমন একটাও দিন যাচ্ছে না, যেদিন আকাশ কালো করে বৃষ্টি নেই! সেই কারণেই উঠে এল বর্ষার অনুষঙ্গে লেখা সেইসব কবিতার কথা, যাদের গায়ে আজও মেঘের মায়া জড়ানো!
‘দুপুরে একটু গড়িয়ে নেওয়া দত্তবাবুর বহু দিনের অভ্যাস। ঘুমটা হঠাৎ ভেঙে গেল, কোথা থেকে একটা গানের সুর ভেসে আসছে না? তাঁর বাড়িতে গান! টিভির আওয়াজ ছাড়া কিছু শোনা যায় না তাদের বাড়িতে, সেখানে গজল! গানটা ভেসে আসছে গিন্নির বন্ধ ঘর থেকেই।’ নতুন গল্প।
আনলক-পর্বে যখন কোনও রকম চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা নেই, বা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, বারবার প্রেক্ষাগৃহ সেখানে শেষ স্থানে কেন? যদি ভাইরাস-সংক্রমণের চিন্তা থাকে, তাহলে রাজনৈতিক রোড-শো,
বা মিছিলে নিয়মের উল্লঙ্ঘন কেন?
আনলক-পর্বে উপেক্ষিত সিনেমা হল
‘… যে যে দেশ নজরদারি রাখতে চায় বিরোধী রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক এমনকী সাধারণ মানুষের ওপর, তাদের প্রায় সবাই নাম লিখিয়েছে শালেভের খাতায়। আর পাঁচটা সফটওয়্যার কোম্পানির মতন শালেভের হয়ে সাধারণ কোডাররা কাজ করছেন না, সে-দায়িত্বে রয়েছেন ইজরায়েলের সিক্রেট সার্ভিস এজেন্সির এলিট হ্যাকাররা।’ স্পাইওয়্যার ও গোপনীয়তার গণ্ডি।
‘…শিল্পের থেকে তার রাজনীতিটুকু কেড়ে নিলে পড়ে থাকে কেবল পৃষ্ঠপোষকের জন্য নিছক বিনোদন (যেমন স্বর্গে ইন্দ্রের জন্য অপ্সরাদের নাচ)। তখন শিল্পমন এবং আত্মাকে উচ্চস্তরে নিয়ে যাওয়ার তার যে মূল লক্ষ্য, তাতে বিফল হয় (যেমন দেবদারু বনে ঋষিদের সামনে শিবের নাচ)। শিল্পের রূপকগুলো তখন হয়ে ওঠে বেশী কল্পধর্মী, কম বাস্তবধর্মী।’ শিল্প ও রাজনীতি।
‘ঈদের পরদিন কিছু ঝকমকে বইয়ের দোকান ছাড়া পুরনো বইয়ের বাজার সব বন্ধ। ফলে, আমি রিকশা বদল করি। বন্ধ বাংলাবাজারে যেতে হলে ভিন্ন রিকশা নিতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাবাজারের উদ্দেশ্যে রিকশায় উঠে পড়ি। পুরনো ঢাকার অলিগলিগুলো চিরকাল মোহনীয়।’ ঢাকায় ঘোরাঘুরি।
‘…আর একজন যে শান্তি দিতে পারত গুরুকে, সে হল ওয়াহিদা রেহমান। যে মেয়েটিকে সে হায়দ্রাবাদের নির্জন নিরিবিলি থেকে একেবারে খ্যাতির শিখরে পৌঁছিয়ে দিয়েছিল। তারও একটু কৃতজ্ঞতা ছিল গুরুর ওপর। গুরু না হলে কে তাকে শিখিয়ে-পড়িয়ে এমন করে বিখ্যাত করে তুলত। কিন্তু… গুরুর জীবন থেকে সে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়েছিল।’ শান্তি-অশান্তির সংসার।
কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।
‘… In the 19th and 20th century, after systematically destroying the ‘devadasi’ culture, by equating them with prostitution, dance and music was claimed by the elite society in South India, as a tool to keep alive India’s classical tradition, adequately sanitised of all carnal underpinnings, to convey stories of gods and goddesses aesthetically, on stage.’ The politics in spiritual art.
তিনি সত্যজিৎ রায়ের নায়িকা। অভিনয় করেছেন ‘চারুলতা’, ‘মহানগর’ এবং ‘কাপুরুষ’ ছবিতে। কেমন ছিল তাঁর মানিকদার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা? সত্যজিতের সিনেমাকে আজ কীভাবেই বা দেখছেন তিনি? এই আলাপচারিতায় উঠে এসেছে সেসব প্রসঙ্গ। কথোপকথনে সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়।
পাড়ায় মাস্কহীন জমায়েত দেখলে বলি বে-আক্কেল, ইউরো কাপের মাস্কহীন জমায়েত দেখে মুগ্ধ। মা-মাসি সিরিয়ালে মজে থাকলে বলি গাঁইয়া, নিজেরা ওয়েব-সিরিজ (যা সিরিয়ালই) দেখে ভাবি, স্মার্ট। প্রেম-পাগলিনি রাধাকে পুজো করি, কিন্তু বাঙালি রাজনীতিক প্রেমের জন্য় সর্বস্ব ছাড়লে মিম বানাই।
‘…শেষমেশ কিন্তু দেখা যেত, সকলের রথ-সাজানোই হরেগড়ে প্রায় একরকম হয়েছে। আর হবে না-ই বা কেন! সকলেই মধ্যবিত্ত, সকলেই পাড়ার একই দোকান থেকে একটু কাগজ আর টুকিটাকি কিনেছে, আর রথও সকলের তিনফুটিয়া। এর মধ্যে কত আর আলাদা হবে কেউ?’ রথের কথা।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.
