পত্রিকা

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এ বছর কী কী ঘটবে

‘উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের গাদা-গাদা ব্রণ গজাবে মাস্কে, এবং এই মানবেতিহাসে প্রথম, কান থেকে সুতো ছিঁড়ে একটি জিনিস টান মেরে ফেলে দিলেই গুচ্ছের ব্রণদাগ নিমেষে হাপিস। আবার উল্টোও হবে, ছেলে কলেজ যাওয়ার কালে হাঁকবে, মা! আমার ব্রণভরা মাস্কটা ফেলে দিয়েছ না কি!’ আগামীতে যা ঘটবে।

সৈকত ভট্টাচার্য

অবতারের অবতারণা

‘শুধু এই শখের বাবুয়ানির জন্যই মেটাভার্সের দুনিয়ার ইকোনমিক্স বা মেটানমিক্স এত লোভনীয় নয়। মাইক্রোসফ্‌ট, ফেসবুক, গুগলের মতো টেক-দৈত্যরা আরও সম্ভাবনা দেখছে। করোনা-উত্তর সমাজ যে আগের মতো সুস্থ স্বাভাবিক থাকবে না, তার আঁচ আমরা পেতে শুরু করেছি।’ বাস্তব-অবাস্তব পেরিয়ে এক নতুন দুনিয়া।

প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

গণতন্ত্রে ধনতন্ত্র শেষ?

‘যে-নিলাজ ধনতন্ত্রকে অর্থনীতিবিদ মিলটন ফ্রিডম্যান পূজ্যবেদিতে বসিয়েছিলেন, যে-ধনতন্ত্রকে রোনাল্ড রেগন আর মার্গারেট থ্যাচার গোটা পৃথিবীর বুকে একটা জগদ্দল পাথরের মতন চাপাতে চেয়েছিলেন, তার দিন গেছে। ২০০৮-এর বিশ্বজোড়া আর্থিক বিপর্যয়ের সময়েই ওহেন ধনতন্ত্রের মৃত্যুঘণ্টা বেজেছিল।’ ধনতন্ত্রের বিপর্যয়।

শ্রীজাত

আলোকিত ছায়াপথের শেষে

‘যিশুখ্রিস্ট সাহেবদের দেবতা, সেই খোদ সাহেবদের দেশেও এমন বাঁধনহারা উদযাপন হয় না বড়দিনে। হ্যাঁ, মানুষজন ঘরবাড়ি সাজায়, নতুন কেনাকাটা করে, বাড়িতে-বাড়িতে ভোজ বসে ঠিকই। কিন্তু এই যে শহরের রাজপথে লাখো মানুষের ভিড় বইয়ে দেবার পাগলামি, সে এমনকী তাঁদের ফর্সা দেশেও নেই।’ বাঙালির যিশুপ্রীতি।

সুদেষ্ণা রায়

আমার ছোটদিনের বড়দিন

‘দুর্গা পুজোর ঢাক ও জাঁকজমক যেমন পছন্দ ছিল, ক্রিসমাস ইভের নৈঃশব্দ্যের মধ্যে গান ততটাই টানত। ধীরে-ধীরে অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সম্প্রদায় চলে যেতে থাকে দেশ ছেড়ে। আমার টিনেজের বন্ধু— জেনিংস, লোবো, সোয়ারেস পরিবার-সহ হয়ে গেল দেশছাড়া। আমি আর ক্যারল গাই না। বাড়ি-বাড়ি আর আজকাল কেউ ক্যারল গাইতে আসে না।’ হারিয়ে ফেলা ক্রিসমাস।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৪৪

‘গুরু উঠে নিজের ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ল, আর আমি আমার নিজের ঘরে। বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবছিলাম কেন এ-মানুষটা এমন করে নিজের জীবনটা নষ্ট করে ফেলছে? কিসের অভিমানে? অভিমান না হয়ে যদি রাগ হয় তো কার ওপর রাগ?’ ঘুমহীন রাত।

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৪৫

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

ক্রিসমাস ক্যারলের অসাধারণ ঐতিহ্য

‘ভাবছেন বোধহয়, আপনার সবচেয়ে প্রিয় ‘জিঙ্গল বেল্‌স’ (Jingle Bells) নিয়ে কোনও কথা এখনও বলা হল না কেন? এই অতিকথাটা এবার ভাঙার সময় হয়ে এসেছে। ‘জিঙ্গল বেল্‌স’ ক্রিসমাস ক্যারল নয়, যদিও ক্রিসমাস উপলক্ষে গাওয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে এটা হামেশাই গাওয়া হয়ে থাকে।’ ক্যারল গানের ঐতিহ্য।

অপরাজিত সূর্য থেকে যিশু খ্রিস্ট

‘ক্রিসমাসের শেকড়ে যে এমন কত প্রাক্‌-খ্রিস্টীয় উপকথা লুকিয়ে আছে, তা বলতে গেলে রাত কাবার হয়ে যায়। ধর্মপ্রাণ হিন্দু ভারতীয়রা যে যিশুকে এমন আপন করে নিয়েছেন, তার একটি কারণ হয়তো কৃষ্ণের সাথে যিশুর এত মিল খুঁজে পাওয়া।’ ইতিহাসে ক্রিসমাস।

পৃথ্বী বসু

রেখো, মা, দাসেরে মনে

‘যেই দুজন শিশু চলে এল একটা চুম্বনদৃশ্যে, অমনি একলাফে ছবিটার অন্য এক অর্থ আমাদের মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকল। তাহলে কি দাস চুম্বনের সারল্যকে প্রত্যক্ষ করাতে চাইছেন? চুম্বনরত মানব-মানবীর মনের প্রতীক হয়ে যেন ওই দুজন শিশু উঠে এল হরেন দাসের ছবিতে।’ ছবির ব্যঞ্জনা।

সর্বজিৎ মিত্র

ছবির ভেতরে ছবি

‘সত্যজিৎ আউটডোরে পাড়ি দেওয়ার ঠিক আগে, ১৯৭৭-এর ৪ এপ্রিল ভিক্টোরিয়াতে শুটিং করেন। উনি মূলত চলচ্চিত্রে ব্যবহারের জন্যে বেশ কয়েকটা চিত্রের ছবি তুলেছিলেন ভিক্টোরিয়াতে। শেষপর্যন্ত অবশ্য চলচ্চিত্রে দুটো ছবি দেখানো হয়েছিল। এই ছবিগুলো দেখানো হয়েছিল চলচ্চিত্রের একদম গোড়াতে।’ ‘শতরঞ্জ কে খিলাড়ি’ ও কয়েকটা ছবি।

কারো পৌষমাস, কারো ক্রিসমাস

‘কলকাতার ক্রিসমাসের খাবারটা একটু গতানুগতিক হয়ে পড়েছে, জনমানসে ক্রিসমাস ব্যাপারটাই এখন যেন ‘নিউ মার্কেট উৎসব’। আমাদের ছেলেবেলায় নাহুমের কেক যে প্রচুর খেয়েছি, তা মনে পড়ে না— যদিও কেক খাওয়া হত প্রচুর।’ নতুন স্বাদের ক্রিসমাস।