শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১১

টুকরো লেখা

১.
তোমার কবিতা থেকে ডাল ভেঙে বানাই কলম
পুঁতে রাখি, জল দিই, রোজ এসে দাঁড়াই একবার 
হাতে গ্রিলে কাটা রোদ, মিনারের জাফরি যেরকম, 
পাতায় মরার ইচ্ছে। সাধ ছিল বাগান করার। 

২. 
অসুখ এসেছে কাছে। যেরকম বেড়ালেরা আসে।
মিহি থাবা চাটে আর আদুরে দুধের বাটি চায়। 
হোক সে দূরের স্নেহ। গৃহস্থ নিকট ভালবাসে। 
বুকে ক’রে বসে থাকে। ভালবাসা, শরীর সহায়। 

৩. 
তুমি টিকিটের মন না-বুঝে নেমেছ মাঝপথে। 
সে ছিল সমুদ্রগামী, সে ছিল বালির দেশে ঘড়ি। 
বদলে বাজারে তুমি নেমে পড়লে কী অনর্থ ঘটে… 
টিকিটের মন আর কখনও পাবে না, সহচরী! 

৪.
যতক্ষণ খাদ আর নদী থাকে, ততক্ষণই সেতু। 
তারপর আবার রাস্তা আঁকাবাঁকা, তার আগেও পথ। 
তার কাজ কেবল এই দূরত্বকে মেটানো যেহেতু, 
কখনও, নিঃসঙ্গ ব্রিজ, দেখে না শহুরে যানজট। 

৫.
হতে যে নিকট চাই, সে তুমি দূরের থেকে বোঝো। 
গলার রুশতী মালা খুলে রাখো হাটের বন্দরে
এখানে পণ্যের দাম বাতাসিয়া। বিরহ সহজও। 
কলমগাছের নীচে চিঠি লেখানোর কথা ঝরে… 

৬.
হোটেলের ঘরগুলি ফিরে আসে স্বপ্নের ভিতরে। 
তোয়ালে চোখের নীচে উড়ে পড়ে, এমন বাতাস। 
আমি বাজারের পথে দর করছি, তুমি স্নানঘরে… 
দ্যাখো, আজও পায়ে লেগে দুটো একটা ঘুমরঙা ঘাস! 

৭. 
ভালবেসে খুন হওয়া ভ্রমর তোমার ডাকনাম। 
তাকে কোনও সন্দেহের আয়নায় জীবাশ্ম হতে দেখে 
আমিও গোয়েন্দা সাজি। রোদের আতসকাচ দাম…
কখনও তোমার নীল ডানা ছুঁয়ে দেখেছিল কে কে… 

৮. 
যে তুমি আমার থেকে কয়েক স্মরণসভা দূরে
সাদা ফুল হাতে নিয়ে স্মৃতির অপেক্ষা করছ একা, 
তোমার শহর মৃত, পুরাতন ঘোড়াটি চাকুরে
এ দৃশ্য অথচ যেন অন্যের স্বপ্নের মধ্যে দেখা… 

ছবি এঁকেছেন শুভময় মিত্র