শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৯

টুকরো লেখা 

১.
তোমার তুরস্কপ্রাণ আছে জানি মিনারে মশগুল 
যেখানে গম্বুজ থেকে ঝাঁক বেঁধে উড়ে যাচ্ছে টিয়া 
সকালের রোদ থেকে মেলে রাখা প্রার্থনার চুল
আসলে তোমার মুখ। লোকে বলে হাজিয়া সোফিয়া।

২.
এখানে বেড়াতে এসে দেখেছি কফির রং ম্লান। 
তোমার রুমাল বুঝি ফেলে গেছ, ক্যাফেটেরিয়ায়?
বকেয়া মেটাতে গিয়ে অপলক বালকের গান 
যে-কোনও পথের খোঁজে গ্রামের বিহনে ছুটে যায়…  

৩.
নিয়েছে তোমার পিছু অবলোকনের সারমেয়
তাকে কিছু চাহনির টুকরো দাও, সে মানে না পোষ।
এ-শহরে পর্যটক ভালবাসা। হারানোই শ্রেয়। 
যেমন দুঃখীর মন। যেরকম কিশোরী সাহস। 

৪.
তবে তো বিরহ থেকে ছুটি নিল বিকেলের ট্রেন।
যেখানে নরম প্যাটি বিক্রি করে রোদের ব্যাপারী, 
পুরনো প্রবাদ চলে, আজই বুঝি রাত্রি আসছেন… 
অসহ দিনের গ্রাম। তুমি তার অবসাদচারী। 

৫.
রুটির দোকান থেকে যতদূর খিদের ধারণা 
তোমাকে তো তারও দূরে ছেড়ে দিয়ে এসেছি কবেই। 
এখন বাজারে সন্ধে, কিশোরীর পথগান শোনা… 
প্রার্থনার চেয়ে আর বড় কোনও অপরাধ নেই। 

৬.
অতিপ্রিয় জটিলতা, সে তোমার সৈকতপোশাক। 
বুননে বালির গন্ধ, উপমায় ট্যুরিস্টের ঘ্রাণ…
এখন গোলাপ থেকে কী রেশম সুগন্ধের ঝাঁক 
সমুদ্রে হারাতে গেছে। ফিরে আসছে অতীতের গান। 

৭.
একটি সরু রবিবার পরেছিলে হাতের শাখায়। 
তাতে রোদফুল এল ধীরে ধীরে। বেলা দ্বিপ্রহরে 
খুলে রেখে দিলে দূরে। যেভাবে সহিস ফিরে যায়। 
এখনও সে-সপ্তাহটি মহাকাশে ছুটিহীন ঘোরে… 

৮.
রোদের পাথর ভাল। গলে গেলে সন্ধে হয়ে আসে। 
পাহাড়ি উপমা যত শহরের মেয়ে হয়ে যায়… 
দোকানেরা ভেসে ওঠে রকমারি পসরাবিলাসে 
এমন স্বপ্নের নীচে আমার ঘুমেরা ভাঙে প্রায়।

ছবি এঁকেছেন শুভময় মিত্র