অল লাইভস ম্যাটার
‘সব সখীরে পার করিতে নিব আনা আনা
তোমার বেলায় নিব সখি তোমার কানের সোনা’
সেই কবে ঢাকার বুড়িগঙ্গায় ট্রাভেলগ শুটিংয়ের সময়ে মাঝিভাইয়ের গলায় শোনা। মরে আসা বিকেলে উতল হাওয়ায় দাঁড়ের ছলাৎ-ছলাৎ শব্দের সঙ্গে মিশে সেই সুর এমন ঢেউ তোলে বুকের মাঝে, বলতে ইচ্ছে করে— ‘টুকরো করে কাছি, আমি ডুবতে রাজি আছি।’ এই ভরদুপুরে নিউ ইয়র্কের হাডসন নদীর ওপর ঝকঝকে মোটরবোটের যান্ত্রিক শব্দে কেন যে মনে পড়ে গেল পুরনো কথা কে জানে!
সূর্যমুখী ফুলের মতো উজ্জ্বল হলুদ রঙের লিবার্টি ফেরিতে চেপে আমরা চলেছি সেই দ্বীপে, যেখানে হাতে মশাল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন স্বাধীনতার দেবী লিবার্টাস। গত ১৩৯ বছর ধরে। ওঁর মুখোমুখি হয়ে জানাব বাকি বিস্তারিত তথ্য। আপাতত জলযাত্রার কথা বলি। আমার আবার একজায়গায় বেশিক্ষণ বসে থাকা পোষায় না। মাত্র আধঘণ্টার সফর হলে কী হবে, একটু পরেই উঠে উপরের ডেকে এসে বসেছি। ফেরির ছাদে বসার মজাই আলাদা। চনমনে রোদ আর হু হু হাওয়া, যার যেটা ভাল লাগে আর কী! চালকের কাচঢাকা ঘরটা পেছনেই। দেখলাম, কো-পাইলট আছেন দু’তিনজন। এর মধ্যে একজন আমাকে দেখে কাছে এসে আলাপ জমালেন। গুনগুন করছি শুনে প্রশ্ন, ‘কী গান?’ এই রে, গাইতে বলবে না তো! হেঁড়ে গলায় গান ধরলে তরী ডোবাও বিচিত্র নয়! বেঙ্গলি ফোকসং শুনে তাঁর উৎসাহ আরও বাড়ল। জানা গেল, তিনি নাকি ব্যান্ডে গান। এবার ঘোর বিপদ, সাহেবকে অনুবাদ করে বোঝাতে হবে গানের কথা। তাও করলাম। শুনে ভুরু কুঁচকে মন্তব্য, ‘দিস ইজ নট ফেয়ার। কেন একজনের থেকে এত বেশি নেবে? আবার বলছ সে প্রসপেকটিভ গার্লফ্রেন্ড!’ কী আর বলব, ঘাড় নাড়লাম, সত্যিই অন্যায়! বলি কী করে, পরদেশী ছোকরাকে দেহতত্ব বোঝানো আমার কম্ম নয়!
আমেরিকায় দালালের পাল্লায় পড়ে ভেস্তে গিয়েছিল স্ট্যাচু অফ লিবার্টি দেখা! পড়ুন: ডেটলাইন পর্ব ৩৬
‘বডি অফ আয়রন, সোল অফ ফায়ার।’ স্ট্যাচু অফ লিবার্টি নিয়ে সরকারি তথ্যচিত্রের নাম। বিপ্লবের আঁতুড়ঘর ফ্রান্সের উপহার এই মূর্তিমতি স্বাধীনতাকে নিয়ে আমেরিকানদের সেন্টিমেন্ট প্রবল। অথচ একসময়ে মূর্তি তৈরি বা বসানোর জন্য চাঁদা তুলতে কালঘাম ছুটেছিল দুই দেশেই। আমেরিকার স্বাধীনতার শতবর্ষে ফ্রান্স বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে এই অসাধারণ উপহারের কথা ভেবেছিল। দফায়-দফায় চাঁদা তুলে মূর্তি তৈরি তো হল, ১৮৮৪ সালে প্যারিসে সেটি তুলেও দেওয়া হল মার্কিন প্রতিনিধির হাতে। কিন্তু মূর্তির বেদী তৈরি হয়নি তখনও, ফান্ডও নেই। রীতিমতো ক্রাউডফান্ডিং করে টাকা তোলা হল। ১৮৮৬-র ২৮ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট ক্লিভল্যান্ড জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করলেন স্ট্যাচু অফ লিবার্টি। সেই থেকে লেডি লিবার্টি আকাশে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছেন, এক হাতে স্বাধীনতার মশাল, অন্য হাতে ট্যাবলেট, তাতে রোমানে খোদাই করা স্বাধীনতা ঘোষণার দিনটি ৪ জুলাই, ১৭৭৬। ১৫১ ফুট উঁচু মূর্তিটি বেদীসমেত ৩০৫ ফুট।
রট আয়রন আর স্টিলের ওপর মোটা তামার পাত দিয়ে মোড়া মূর্তিটির গায়ে সবজে আভা দেখে কারণ জানতে চাইলাম। এক প্রবাসিনী বাঙালি তুরন্ত জবাব দিলেন, ‘নোনা হাওয়ায় ছ্যাতলা পড়েছে।’ তখন কথাটাকে ঠাট্টার ছলে নিলেও পরে নেট ঘেঁটে দেখেছি, সত্যিই নাকি বাতাসের জলীয় বাষ্প আর দূষণের ফলে স্ট্যাচুর আসল রঙে সবজে-নীল আস্তরণ পড়েছে। এমনকী, সদ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে স্ট্যাচুর ছবি দিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে পরিস্কারের দাবিতে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘এই আস্তরণ সরানো ঠিক না, কারণ এটা আসলে তামার পাতকে ক্ষয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করছে।’ তাই সম্ভবত আর কোনওদিনই আগেকার চকচকে রঙে ফিরবেন না দেবী। স্যুভেনির শপে সাজানো ছোট-বড় স্ট্যাচু অফ লিবার্টি সবুজ রঙেরই।
লিবার্টি আইল্যান্ডের পাশেই এলিস দ্বীপে নাকি আছে অভিবাসন কেন্দ্র। তাই একসময়ে বলা হত, স্ট্যাচু অফ লিবার্টি শুধু আমেরিকানদের নয়, ভিনদেশ থেকে আসা অভিবাসীদেরও স্বাধীনতার প্রতীক। আজকের ট্রাম্প-জমানায় ভাবাই যায় না, একদা প্রেসিডেন্ট জনসন এই মূর্তির পদতলে বসে অভিবাসন আইন সই করেছিলেন। এখন অভিবাসীদের তাড়ানোর নিত্যনতুন আইন আসছে মার্কিন মুলুকে। যে-কোনও কসমোপলিটন শহরের মতোই নিউইয়র্কে ঘুরলেও সাদা, কালো, বাদামি সবরঙের চামড়ার, সব দেশের, সব ধর্মের, সব অর্থনৈতিক অবস্থার মানুষ দেখবেন। সারা পৃথিবী থেকে লোক এসেছে পেটের টানে। শহরের কেন্দ্রবিন্দু ম্যানহাটানে যত স্যুভেনির শপ, যত স্ট্রিটফুডের স্টল আছে, তার ৭০ শতাংশ এশিয়ানদের দখলে, আরও ভালভাবে বলতে গেলে এরও ৫০ শতাংশ বাংলাদেশিদের। ট্যাক্সি-ড্রাইভার হয় পাকিস্তানি নয় আফ্রিকান। একদম মোড়ের মাথায় ছোট্ট চাকালাগানো স্টলে দেখলাম, ফ্রায়েডরাইস আর চিকেনকারি বিক্রি করে কূল পাচ্ছে না ফাহাদ, বাংলাদেশের রোগাসোগা তরুণটির বয়স হবে মেরেকেটে পঁচিশ। অফিসবাবু থেকে আশেপাশের হোটেলের ট্যুরিস্টরা ভিড় জমিয়েছে ‘সস্তায় পুষ্টিকর’ লাঞ্চের লোভে। খেতে-খেতেই জিজ্ঞেস করলাম, ‘কতদিন হল এখানে? এরকম জায়গায় স্টল ম্যানেজ করলে কীভাবে?’ হাসিমুখে জবাব দিল, ‘এই তো সবে আসলাম বৎসর খানেক অইবো। চাচার দোকান সামলাই। বেশিদিন বসতে দেয় না এক জায়গায়। সরতে অইবো শিগগির।’ পুলিশ বা মাস্তানদের তোলাবাজি মার্কিন মুলুকে নেই ঠিকই, কিন্তু রোজকার জীবনে যা লুকিয়ে আছে দগদগে ঘায়ের মতো, তা হল বর্ণবিদ্বেষ। ট্যুরিস্ট হয়ে দু’দিনের জন্য এসে হয়তো টের পাবেন না তেমন, কিন্তু সাদা চামড়ার রক্তে মজ্জায় এমন ঢুকে গেছে ঘৃণার বিষ যে— ঘটনা-দুর্ঘটনায় প্রকাশ পেয়ে যায়।
আজকের ট্রাম্প-জমানায় ভাবাই যায় না, একদা প্রেসিডেন্ট জনসন এই মূর্তির পদতলে বসে অভিবাসন আইন সই করেছিলেন। এখন অভিবাসীদের তাড়ানোর নিত্যনতুন আইন আসছে মার্কিন মুলুকে। যে-কোনও কসমোপলিটন শহরের মতোই নিউইয়র্কে ঘুরলেও সাদা, কালো, বাদামি সবরঙের চামড়ার, সব দেশের, সব ধর্মের, সব অর্থনৈতিক অবস্থার মানুষ দেখবেন। সারা পৃথিবী থেকে লোক এসেছে পেটের টানে।
আমাদের এ-ব্যাপারে অত্যন্ত তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে লস এঞ্জেলস শহরে, যা বলব পরে। সেই বিদ্বেষ থেকেই এই ছোট ব্যবসায়ীদের হেনস্থার সূত্রপাত। সেসব অবশ্য ওঁদের অভ্যেস হয়ে গেছে। ছেঁড়া কাঁথা সরিয়ে বড়লোকের দেশে আসা অনেক স্বপ্ন নিয়ে। লড়াই তো করতেই হবে। একসময়ে লটারি করে বাংলাদেশ থেকে লোক আনা হত আমেরিকায়। ডাইভারসিটি ভিসা প্রোগ্রাম, মুখে-মুখে যার নাম হয়ে গিয়েছিল গ্রিনকার্ড লটারি। শুধু বাংলাদেশ নয়, এরকম ব্যবস্থা ছিল আরও কয়েকটা দেশের জন্য, যেখানকার লোক খুব বেশি সংখ্যায় ছিল ছিল না আমেরিকায়। ঘটনা যা দাঁড়ায়, পরিবারের একজন লটারির ভিসা পেয়ে মার্কিন মুলুকে হাজির হয়ে আস্তে-আস্তে বাকিদের নিয়ে চলে আসে। এর ফলে এত বেশি বাংলাদেশি আসে যে— বেশ কিছু বছর আগে বন্ধ করে দেওয়া হয় এই ভিসা। এদের বড় অংশই অদক্ষ শ্রমিক, হয় খাবারের দোকান দিয়েছে, নয়তো কফিশপে ওয়েটার। এদের ওপর দেখেছি খুব রাগ চাকরিজীবী মধ্যবিত্ত আমেরিকান, এমনকী হোয়াইট কলার জব করা ভারতীয়দেরও। সেটাকে অবশ্য ঠিক বর্ণবিদ্বেষ বলা যায় না, জাতিবিদ্বেষ বললে মনে হয় ঠিক। বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে তুলকালাম দেখেছিল বিশ্ব ২০২০ সালে। মিনিয়াপোলিসের শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার ডেরেক শভিনের বুটের নীচে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ডের পর পৃথিবী জুড়ে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের ঝড় ওঠে। তার বছর চারেক আগে ম্যানহাটানের রাস্তায় সাদা ও কালো চামড়ার দুই পুলিশের মাঝখানে দাঁড়িয়ে বাদামি চামড়ার আমি, নেহাত মজা করে তোলা ছবিটার তখন অন্য মানে খুঁজে পেলাম। ফেসবুকে তুলে ক্যাপশন দিয়েছিলাম, ‘অল লাইভস ম্যাটার।’ কবে যে মানুষ এই সহজ সত্যিটা বুঝবে!

‘ফলো দ্য শাড়িস’। শুনে ব্যস্ততম রাজপথের মাঝমধ্যিখানে হেসে গড়িয়ে পড়ল সুন্দরীর দল। ঐতিহাসিক ম্যাডিসন স্কোয়্যার গার্ডেনে সে-বছর বঙ্গ সম্মেলন। বব ডিলান থেকে জাকির খান, রিহানার শো থেকে গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড, কী না হয়েছে এখানে। বাইশ হাজার লোক ধরে। তবে নর্থ আমেরিকান বেঙ্গলি কনফারেন্সে হাজার সাতেকের বেশি ডেলিগেট নেই। তাও কী কম! শয়ে-শয়ে শাড়ি-গয়নায় ঝলমলে সতেরো থেকে সত্তর নিউইয়র্কের হৃদয়ের মধ্যিখানে তুমুল নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে আর কী! এপারের হোটেল থেকে বেরিয়ে ওপারের ভ্যেনুতে পৌঁছতেই এই ধুন্ধুমার কাণ্ড। পুলিশ নাজেহাল। তাও কেউ হলটা কোনদিকে জানতে চাইলেই হাসিমুখে জবাব দিচ্ছে, ‘ফলো দ্য শাড়িস।’
ম্যাডিসন স্কোয়্যার গার্ডেনের বিশালত্বে নয়, আমার কিন্তু এর সামনে দাঁড়িয়ে শিহরণ জাগল অন্য কারণে। এপথে হেঁটেছেন স্বামী বিবেকানন্দ। তখন সবে তৈরি হচ্ছে পেনসিলভানিয়া স্টেশন। সেটা ১৮৯৪ সাল। এক প্রবাসী প্রবীণ বাঙালি বললেন, ‘স্বামীজীর মনে বিস্ময় জেগেছিল সেই বিশাল কর্মকাণ্ড দেখে। থমকে দাঁড়িয়েছিলেন। কৌতূহলী হয়ে প্রশ্ন করেছিলেন।’ গায়ে কাঁটা দিল শুনে। তবে এই তথ্যের সত্যতা আমি যাচাই করার সুযোগ পাইনি। এটুকু জানি, বিবেকানন্দ তাঁর আমেরিকা সফরের অনেকটাই করেছিলেন রেলপথে। পেনসিলভানিয়া রেলরোড ব্যবহার করেছিলেন নিউ ইয়র্ক থেকে বাল্টিমোর যাওয়ার জন্য।

১৯১০ সালে তৈরি স্টেশন পরবর্তীকালে মাটির ওপর থেকে নীচে নামিয়ে আনা হয়েছে। তবু অনেকটাই খুব পুরনো চেহারায় রয়ে গেছে। দেওয়ালে টুকরো-টুকরো রঙিন পাথরের মোজেইক আর মলিন বেঞ্চে মাথা ঝুঁকিয়ে বসে থাকা নেশাগ্রস্ত হোমলেস যুবক যেন গত শতাব্দীর ছবি। যার সঙ্গে কোনও মিলই নেই সিঁড়ি দিয়ে উঠেই ঝকঝকে সেভেন্থ অ্যাভিনিউর, কয়েকশো মিটার দূরের উচ্ছ্বসিত টাইমস স্কোয়্যারের। নিউ ইয়র্কের বৈভবের কোলের কাছে যেখানে সেখানে ফুটপাথে শুয়ে-বসে থাকা হোমলেস যুবক যুবতীদের দেখে আপনার মন খারাপ হয়ে যাবে। আমাদের হোটেলের সামনে গাড়িবারান্দার থামে হেলান দিয়ে বসে থাকতে দেখতাম এক সোনালি চুলের নীলনয়নাকে। ড্রাগের নেশায় সারাদিন ঝিমোত। সামনে পিচবোর্ডে লাল কালিতে লিখে রেখেছে, ‘প্লিজ হেল্প দ্য অ্যাঞ্জেল।’ তার শরীর বলে দেয়, সে মা হতে চলেছে। এই দেবদূতীর ভবিষ্যৎ কী? আর টাইমস স্কোয়্যারে ঘুরে বেড়ানো যুবকটি তো সাক্ষাৎ যীশুখ্রিষ্ট। সে বুকে প্ল্যাকার্ড লাগিয়েছে- ‘প্লিজ হেল্প মি টু বাই উইড।’ খোলাখুলি আর্জি গাঁজা কেনার পয়সা দাও। এদের পাশ দিয়েই হাতে হাত ধরে হেঁটে চলে যাচ্ছে প্রেমিক যুগল, ল্যাপটপের ব্যাকপ্যাক কাঁধে রাস্তা পার হল ব্যস্ত চাকুরে, প্যাম ঠেলে চলেছে তরুণী মা। ঐ তো বুরিটোর স্টলে ভিড় জমিয়েছে একঝাঁক ছেলেমেয়ে, সস্তায় পুষ্টিকর আর একটা খাবার, পাতলা রুটির মোড়কে মাংস-ভাত। আমরা ভিনদেশি ট্যুরিস্টরা হাঁ করে তাকিয়ে আছি ব্র্যান্ডেড পোশাক বিপণির শো-উইন্ডোর দিকে। নিউইয়র্ক টাইমস-এর বিশাল বিলবোর্ডে ভেসেই চলেছে সারা দুনিয়ার নিউজ হেডলাইন। এমনকী ঐ একটু দূরে একটা পুলিশ কিয়স্কে সুদর্শন ইউনিফর্মধারী সতর্ক চোখে তাকাচ্ছে, কোথাও এতটুকু আইন ভাঙার আভাস পেলেই ছুটে যাবে। দুনিয়া শাসন করে যে দেশ, যার ডলারের আস্ফালনে পদানত গোটা বিশ্ব, অস্ত্রের ঝনঝনানিতে যারা কাঁপিয়ে দেয় পৃথিবী, তাদের কি মানায় এই চোখ ফিরিয়ে থাকা?



