ডেটলাইন: পর্ব ৩৮

Representative Image

অধিকার, বিলাস, সাম্য

সেবার নিউ ইয়র্কে পা রেখেই রামধনু দেখলাম। আকাশে নয়, মাটিতে। ২০১৮ সালের জুন মাসের শেষ রবিবার। শহর জুড়ে প্রাইড মার্চ। নিউ ইয়র্কের প্রাণকেন্দ্র ম্যানহাটানে সবচেয়ে বড় মিছিল। হোটেলে ঢোকার মুখে ফুটপাথে দাঁড়িয়ে রইলাম অনেকক্ষণ। সাতরঙা পোশাকে ঝলমলে মানুষজন, কারও পিঠে পরীর মত ডানা লাগানো, কারও-বা নিম্নাঙ্গে শুধুই অন্তর্বাস, সঙ্গে চোখধাঁধানো মোজায় স্টাইল স্টেটমেন্ট।

‘এল জি বি টি কিউ আই এ+’ (লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার, কুইয়ার, ইন্টারসেক্স এবং অ্যাসেক্সুয়াল, প্লাস) গোষ্ঠীর নীতি, লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে যেভাবে পারো নজর কাড়ো। যদিও বহু বছর হল, খাতায় কলমে নিউ ইয়র্কে সমকামিতা আইনি। এমনকী সমলিঙ্গের বিয়েও বৈধ, তবু এঁদের আজও নানারকম বাধা ঠেলে চলতে হয়। আমাদের দেশের অবস্থা তো সাংঘাতিক, কত ভুল ধারণা, সমাজের রক্তচক্ষু, এমনকী কুসংস্কার এই একান্ত স্বাভাবিক বিষয়টা নিয়ে। কত ছেলেমেয়ে এই ট্যাবুর কারণে বাড়ি ছাড়ে, স্কুল-কলেজে যাওয়া বন্ধ করে, আত্মহত্যা করতে পর্যন্ত বাধ্য হয়।

অত্যাধিক ভিড়ে রাস্তা চেনাতে, আমেরিকার পুলিশ বলেছিল, ‘ফলো দ্য শাড়িস’ পড়ুন: ‘ডেটলাইন’ পর্ব ৩৭

আমেরিকার সব শহরে গোটা জুন মাস জুড়ে গর্বের উৎসব, ‘এল জি বি টি কিউ আই এ +’ সম্প্রদায়ের কর্মকাণ্ডের সমর্থনে, যোগ দেন সব শ্রেণির মানুষ। ১৯৬৯ সালের ২৮ জুন নিউ ইয়র্কের ‘গে বার’— ‘স্টোনওয়াল ইন’-এ হানা দেয় পুলিশ। রীতিমতো লড়াই চলে কয়েকদিন ধরে। এটাই কিন্তু সমকামী আন্দোলনের টার্নিং পয়েন্ট। তারপর থেকে প্রতি বছর পৃথিবী জুড়ে জুন মাসে প্রাইড ফেস্টিভ্যাল হয়। মিছিল, কনসার্ট, সেমিনার, নানা আয়োজন। সরকারি, বেসরকারি অফিসগুলোতে এই একমাস সগর্বে ওড়ে রেনবো ফ্ল্যাগ। আমাদের কলকাতাতেও, কসবায় সিমেনস অফিসে দেখেছি জুন মাসে বিশাল রামধনু পতাকা নামে ছাদ থেকে নীচের তলা পর্যন্ত।

নিউ ইয়র্কের প্রাইড মার্চ

ম্যানহাটানে বেশ কিছু পুরনো হোটেল আছে। আমরা যেটাতে আছি, ‘দ্য স্টুয়ার্ট’। (আগে নাম ছিল ‘দ্য অ্যাফিনিয়া’, তারও আগে ‘গভর্নর ক্লিন্টন হোটেল’) ১৯২৯ সালের। ম্যাডিসন স্কোয়্যার গার্ডেনের প্রায় উলটোদিকে। এর কাছেই পেনসিলভানিয়া হোটেল আরও পুরনো, একসময়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হোটেল হিসেবে বিখ্যাত ছিল। ২০২০ সালে বন্ধ হয়ে যায়, ভাঙা পড়ে। এই হোটেলগুলোর মজা হল, ঘরগুলো বড় বড়, পুরনো নকশায় নির্মিত জানালা খোলা যায়, কোথাও আবার ঘরের লাগোয়া ছোট্ট কিচেন, তাতে ইলেকট্রিক ওভেন, বাসনপত্র সাজানো।

মুশকিল হল, বনেদিয়ানা থাকলেও সব হোটেল ঠিকঠাক রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। ভাবলাম, রেকর্ডধারী বলে কথা, পেনসিলভানিয়া হোটেলটা দেখে আসি একবার। নিউ জার্সির বিখ্যাত ডাক্তার নূপুর লাহিড়ি। দিদি বলে ডাকি। সে-সময়ে ছিলেন ঐ হোটেলে। হোটেল হিসেবে খুব কম আলো, বিশাল করিডরে ঢুকলেই ড্যাম্পের সোঁদা ভাব টের পাওয়া যায়। ঘরগুলো রাজকীয়ভাবে সাজানো, কিন্তু কেমন যেন ধুলোর গন্ধ। নূপুরদিকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘এই এলাকাতে এত ভাল-ভাল হোটেল থাকতে তুমি এই হোটেলে উঠলে কেন?’ নূপুরদির জবাব, ‘এই ওল্ড চার্মটা এনজয় করতে চাই।’ কিন্তু সবাই যে নূপুরদির মতো ‘রোম্যান্টিক’ নয়, তার প্রমাণ, ভুরি-ভুরি অভিযোগের তাড়নায় শেষ পর্যন্ত মালিককে হোটেল বন্ধ করে দিতে হল, ভাঙা পড়ল বাড়িটাই।

পুরনো আমেজ নিতে চাইলে বরং নিউ ইয়র্কের থিয়েটার পাড়া ব্রডওয়েতে যান। যদিও প্রাচীন বাড়িগুলোর খুব বেশি আর অবশিষ্ট নেই, তবু ইতিহাসের নানা চিহ্ন রয়ে গেছে। সেই ১৭ শতকে ডাচরা এসেছিল এখানে, রাস্তা চওড়া করে নাম দিয়েছিল হাই স্ট্রিট। পরে ব্রিটিশরা এসে নাম দিল ব্রডওয়ে স্ট্রিট, এখন অবশ্য শুধুই ব্রডওয়ে। একসময়ে যেমন কলকাতার শ্যামবাজার ছিল বাণিজ্যিক নাটকের পাড়া, তেমন নিউ ইয়র্কের ব্রডওয়ে কমার্শিয়াল থিয়েটারের হাব। তফাৎ একটাই, শ্যামবাজার তার গৌরব ধরে রাখতে পারেনি, কিন্তু ব্রডওয়ে পেরেছে। বিনোদিনী বা গিরিশ ঘোষের আমল ছেড়েই দিন, পাঁচ-ছয়-সাতের দশকেও ‘বারবধূ’ বা ‘শ্যামলী’ সহস্র রজনী পার করে রেকর্ড গড়ত যখন, বাঙালি গর্ব করে বলত, নাটকের শহর কলকাতা। সেই সাজানো বাগান শুকিয়ে গেছে কবেই! ব্রডওয়েতে বছরের পর বছর ধরে একটানা চলছে ‘ফ্যান্টম অফ দ্য অপেরা’, ’শিকাগো’, ‘আলাদিন’।

ব্রডওয়ে সেগুলোই, যেখানে ৫০০ বা তার বেশি আসন আছে। এর কম হলে বলা হয়— ‘অফ ব্রডওয়ে’। মিউজিক্যাল হলে অপেরা আর অন্যগুলো থিয়েটার। ব্রডওয়ে অঞ্চলটা অত্যন্ত অভিজাত, এখন আর রেসিডেন্সিয়াল বলা যায় না আদৌ, অফিস, ব্যাঙ্ক, ডিজাইনার স্টোরে ভর্তি। মনে আছে, আমরা একবার গভীর রাতে দল বেঁধে হেঁটে ফিরছিলাম ব্রডওয়ে থেকে টাইমস স্কোয়্যার। দোকান বন্ধ হয়ে গেলেও এরা আলো নেভায় না। বিশাল কাচের শো-উইন্ডো দিয়ে ভেতরে তাকালে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। থরে-থরে সাজানো মহার্ঘ্য জামা-জুতো-গয়না-প্রসাধনী। পৃথিবী বিখ্যাত ডিজাইনারদের সৃষ্টি।

শুনশান রাস্তা। আমাদের মতো দু’একটা দল মাঝেসাঝে দেখছি, হৈ-হল্লা করতে-করতে হেঁটে যাচ্ছে। ‘ফুটপাত বদল হয় মধ্যরাতে’র কোনও চান্স নেই, পুলিশ বড় কড়া।

রাত দেড়টা নাগাদ হঠাৎ চোখে পড়ল, রাস্তার ধারে ছোট্ট একটা স্টল, ব্রডওয়ের পক্ষে বড্ড বেমানান। টুকিটাকি জিনিস সাজিয়ে বসে আছে দোকানি। আর ঝুলছে এককাঁদি জাম্বো সাইজের সিঙ্গাপুরী কলা। আমি তো দেখামাত্র ঝাঁপিয়ে পড়ে দর করলাম। দেড় ডলারে দুটো। কলকাতার জন্য আঁতকে ওঠার মতো হলেও, (তখন সম্ভবত ৬৭ টাকা ছিল এক ডলার), চট করে হিসেব করলাম, আমাদের হোটেলের নীচে ‘ডানকিন ডোনাটস’-এ একটা কলা এক ডলার। তাহলে সস্তা হল না? তার ওপর ওই রাতে আমি অন্যদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে বাঙালি-কায়দায় দরাদরি চালিয়ে যখন দেড় ডলারে তিনটে পেলাম, আমার মুখে এভারেস্ট জয়ের হাসি। সবাই বাকরহিত, আমার মেয়ে শুধু হতাশ মুখে বলল, ‘কারোকে বোলো না। ব্রডওয়ের এলিট ব্যাপারটাই তুমি শেষ করে দিলে!’

‘এলিট’ কাকে বলে, টের পেয়েছিলাম এই ব্রডওয়েরই কাছে লিটল ইটালিতে গিয়ে। লোয়ার ম্যানহাটানে এই ছোট্ট অঞ্চলটায় এখন হয়তো হাতে গোনা ইটালিয়ান বাস করেন। ১৮৮০ সালে ইতালি থেকে দারিদ্রের তাড়নায় বহু লোক, বিশেষ করে ভূমিহীন কৃষকেরা দলে-দলে এসে নিউ ইয়র্কের এই পাড়ায় ডেরা বেঁধেছিল। তখনই এর নাম হয় লিটল ইটালি। আর ইতালির সঙ্গে মাফিয়া-যোগ সবার জানা। এখানেও একসময়ে রাজ করত কুখ্যাত ডনেরা, কী সব নাম তাদের, ‘দ্য উলফ’, ‘ম্যাটি দ্য হর্স’। কলকাতার আমহার্সট স্ট্রিটের ফাটাকেষ্ট বা গৌরীবাড়ির হেমেন মন্ডলের মতো তারাও বিদায় নিয়েছে কালের নিয়মে। পরবর্তীকালে সব দেশেই ডনগিরি ব্যক্তিনির্ভরতা ছাড়িয়ে সিস্টেমে আশ্রয় নিয়েছে। সবচেয়ে আগ্রহব্যঞ্জক ব্যাপার হল, হলিউড কাঁপানো অস্কারজয়ী অভিনেতা-পরিচালক-প্রযোজক রবার্ট ডি নিরো বড় হয়েছেন লিটল ইটালিতে। ‘দ্য গডফাদার’ উপন্যাস আর পরে তাই নিয়ে ব্লকবাস্টার সিনেমার করলিওন পরিবারের বাস এখানেই। এখন অবশ্য সেই জমানা আর নেই। বিখ্যাত ইটালিয়ান রেস্তোরাঁগুলোর অর্ধেকই ঝাঁপ ফেলেছে। তার একটাতেই ডিনারে গিয়েছিলাম আমরা ক’জন। কোন সাহসে অধুনা প্রায় ভুতুড়ে, সমাজবিরোধীদের আস্তানা, নিউ ইয়র্কের ‘ভদ্রলোকদের’ ভুলে যাওয়া এই এলাকায় পা রাখলাম দু’দিনের ট্যুরিস্ট আমরা, সেটাও একটা গল্প।

ভূমিহীন কৃষকেরা দলে-দলে এসে নিউ ইয়র্কের এই পাড়ায় ডেরা বেঁধেছিল। তখনই এর নাম হয় লিটল ইটালি। আর ইতালির সঙ্গে মাফিয়া-যোগ সবার জানা। এখানেও একসময়ে রাজ করত কুখ্যাত ডনেরা, কী সব নাম তাদের, ‘দ্য উলফ’, ‘ম্যাটি দ্য হর্স’। কলকাতার আমহার্সট স্ট্রিটের ফাটাকেষ্ট বা গৌরীবাড়ির হেমেন মন্ডলের মতো তারাও বিদায় নিয়েছে কালের নিয়মে।

আমাদের এক বন্ধুর পরিচিত, দীর্ঘদিন আমেরিকা প্রবাসী বাঙালি, আলাপ হওয়ার পর নেমন্তন্ন করলেন। সত্যি বলছি, বিদেশে বাঙালি কেউ বাড়িতে হোক কী রেস্তোরাঁয়, আন্তরিকভাবে খেতে ডাকলে একটা অন্যরকম আনন্দ হয়। একে তো ‘বাঙালি-স্পিরিট’ তুঙ্গে থাকে তখন, তার ওপর একটা মিলের টাকা বেঁচে যাওয়ার খুশিও আছে। তাছাড়া ভাবলাম, লিটল ইটালি নামটার মধ্যে কেমন আল পাচিনোর ছোঁয়া আছে (আমি ওঁর ডাইহার্ড ফ্যান)! হোস্ট ভদ্রলোক মনে হল পঞ্চাশ ছোঁননি এখনও। প্রথম আলাপাই খুব অন্যরকম লাগল। নামকরা কয়েকটা বনেদি পরিবার ছাড়া এত সুদর্শন, অভিজাত চেহারা আমি কম দেখেছি। সোয়েড আর লেদার কম্বিনেশনের যে-কোট উনি পরেছিলেন, সেটার কাটই বলে দেয় অভিজাত্য। একদম নীচুগলায় কথা বলেন। তবে আশ্চর্য বিষণ্ণ তাঁর মুখ, আমার কেন যেন তুলনা করতে ইচ্ছে করল বিসর্জন দেওয়া প্রতিমার সঙ্গে।

ডিনারে যাওয়ার আগে মিনিমাম হোমওয়ার্ক করার তাগিদে আমি ওঁর পরিচিত বন্ধুটিকে জিজ্ঞেস করলাম। সে বলল, একসময়ে নাকি উনি বিলিয়নিয়ার ছিলেন। নিউ ইয়র্কে বিশাল ব্যবসা ছিল। পরে কোনও দুর্বিপাকে ওঁর ব্যবসা নষ্ট হয়ে যায়। কলকাতার ট্যাংরার ছেলে, বাবা বাঙালি, মা চীনা। নিউ ইয়র্কের চায়না টাউন লিটল ইটালির লাগোয়া বলে ওঁর এত চেনাশুনো এই অঞ্চলে। কাজকর্ম সেরে বেশ রাতে আমরা বেরোলাম। যে-রেস্তরাটায় উনি নিয়ে গেলেন, সেটা প্রায় অন্ধকার। খাবার টেবিলের ওপরও তেমন আলো নেই। কিন্তু আবছা হলেও, বোঝা যাচ্ছে চমৎকার সাজানো, ওয়েটাররাও খুব কেতাদুরস্ত। এখানকার আবহই বলে দেয়, দামি জায়গা। ঢিমে আলোয় মেনু-কার্ড দেখা সম্ভব নয়, দেখে কিছু বুঝতামও না অবশ্য, অথেন্টিক ইটালিয়ান খাবারের ক’টা নামই-বা জানি! ভদ্রলোকই অর্ডার করলেন। প্রথমে অত্যন্ত দামি ওয়াইন। তারপর যে-খাবারটা এল, সেটায় প্রচুর চিজ ছাড়া আর কোনও কিছুর স্বাদ বুঝিনি। অনেক সবুজ পাতা দিয়ে সাজানো। একটু আধটুই মুখে তোলা সম্ভব বাঙালির পক্ষে। আড়চোখে দেখেছি, শেষ পর্যন্ত সবার পাত আলো করে পড়ে আছে ঐ বিচিত্র ডেলিকেসি। ভাগ্যিস আলো-আঁধারিতে মালুম হচ্ছে না খাবার নষ্টের বহর! হোটেলে ফিরে চানাচুর খেতে-খেতে আমার বন্ধু বলেছিল, ’কী যে করে! এত দামী জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কী দরকার ছিল? ওটা তো ভীষণ পশ রেস্তোরাঁ।’ আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবলাম, জলসাঘরের ছবি বিশ্বাসেরা আজও আছে!

মাঝে-মাঝে লোভ হয়, লিখি সেন্ট্রাল পার্কের সাহেব রিক্সাওয়ালার কথা; যে হঠাৎ গ্রীষ্মের সোনাঝরা বিকেলে ‘তুঝে দেখা তো এ জানা সনম’ গেয়ে চমকে দিয়েছিল কিংবা লিফটে একমিনিটেরও কম সময়ে, ‘এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং’-এর ৮৬ তলায় অবজারভেটরি ডেকে পৌঁছে কেমন মনে হয়েছিল, বুকের ভেতরটা একেবারে শূন্য হয়ে গেল। কিন্তু তারপর ভাবি, এই চেনাশোনা, ট্যুরিস্ট নজরের বাইরে যে-দেশটা পড়ে থাকে, কাজের সূত্রে যখন সেটা দেখার সুযোগ হয়েছে, তার কথা বলাই ভাল। ম্যানহাটান, টাইমস স্কোয়্যার, ব্রডওয়ের বৈভবের আড়ালে বয়ে চলা অন্য নিউ ইয়র্কের পাঁচালি।কুইনস বা ব্রংস কিন্তু নিউ ইয়র্কের পাঁচটা বরোর মধ্যেই পড়ে। ঝাঁ চকচকে ম্যানহাটানে যেমন থেকেছি, তেমন কুইনসের হোটেলেও আস্তানা গেড়েছি। ঘুরেছি জ্যাকসন হাইটসের পথে, যাকে বলা হয় লিটল বাংলাদেশ। ব্রংস একটু দূরে, কৃষ্ণাঙ্গদের ঘেটো হিসেবে কুখ্যাত। সর্বহারার সহায় মাদার টেরিজা মিশনারিজ অফ চ্যারিটির শাখা খুলেছিলেন ব্রংস-এ। এসব এলাকার মানুষ থেকে পরিবেশ, সবটাই আলাদা। কখনও-সখনও বিপজ্জনকও। সেই অন্য নিউ ইয়র্কের গল্প আগামী পর্বে।