

শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম: পর্ব ১১
‘ঠিক যেমনটি সে ছকে রেখেছিল, তেমন করেই রাতের অন্ধকার এবং বাড়ির ফটকে মোতায়েন দুজন প্রহরী-পুলিশের মধ্যে একজনের নৈশাহারে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে লোকটা নিঃশব্দে পেরিয়ে এল দুটো ছাদ।’
‘ঠিক যেমনটি সে ছকে রেখেছিল, তেমন করেই রাতের অন্ধকার এবং বাড়ির ফটকে মোতায়েন দুজন প্রহরী-পুলিশের মধ্যে একজনের নৈশাহারে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে লোকটা নিঃশব্দে পেরিয়ে এল দুটো ছাদ।’
‘বাপির মনে হয় এরকম কোথাও প্রতি সন্ধ্যায় চলে যেতে পারলে বেশ হয়। খাটিয়া কাঁধে হেঁটে হেঁটে যাবে, তারপর বেঞ্চিতে বসা ছেলেটার থেকে ঝাঁটা নিয়ে জল ছিটিয়ে সাফ করবে অনেকখানি জায়গা। প্রয়োজনের থেকে অনেকটা বেশিই সাফ করবে সে। তারপর অসম্ভব বড় দড়ি বের করে টাঙাবে একটা সরু মশারি।’ নতুন গল্প
‘আজকাল রোজ রাতে ঘটছে গামা-বেড়ালের হানা। মাঝে মাঝেই ওর ‘আঁও আঁও’ তর্জন প্রমাণ করে, ব্যাটা জান লড়াচ্ছে কোনো অনিবার্য সংঘর্ষে।’
‘বুড়ির চেয়েও সারণ্যের ওপর যেন বেশি বিরক্ত হয়ে মায়া যেটা বলল, তার অর্থ মোষের সামনে বাঁশি বাজানো বৃথা এটা তার এতদিনে বোঝা উচিত ছিল। ‘
‘চৌকাঠের সামনে পাপোশ করে রাখা চটের বস্তাটা বাঁ-হাতে নিয়েই ঝাঁপিয়েছিল। ডান হাত দিয়ে চেপে ধরেছে ওটার ঘাড়। প্রাণীটা এবার মানিপেনিকে ছেড়ে থাবা চালিয়েছে পদ্মকে।’
‘আর প্রতিবাদ করার সাহস হল না। আমি মুগ্ধ হয়ে ভদ্রমহিলার কথা শুনতে লাগলাম। তিনি অমায়িক হেসে আবার শুরু করলেন, ‘হ্যাঁরে প্যালা, তোর মায়ের বাতের ব্যথাটা কি একটু কমেছে?’
‘বারুইপুর স্টেশনে দেখতে পাওয়া লোকটা কে ছিল? সেই জিঘাংসায় অনেক রাত বিনিদ্র কেটেছে। অথচ অশিক্ষিত-রূপসী বুগলি দিনকে দিন নিজের জেল্লা বাড়িয়েছে।’
‘তাঁবুর মধ্যে এক পা রাখতেই ঘাড়ের বাঁদিকে একটা ধাতব শীতল স্পর্শ অনুভব করলেন কিশিমোতো। বুঝলেন একটা রিভলভারের নলের ডগা তাঁর ঘাড়ে ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
‘দু-হাত দিয়ে কপালে পড়া চুলগুলো সরাচ্ছে আর অচেনা সৌরভে ভরে যাচ্ছে চারপাশ। ফ্ল্যাট দেখানোর সময় এরকম মহিলা প্রচুর দেখেছে, কিন্তু এভাবে শুধু চোখ দিয়ে হাসতে কি কাউকে দেখেছে তপন? অনেক ভেবেও মনে করতে পারে না।’ নতুন গল্প।
‘আশ্চর্য ঠোঁট কামড়াল। আজ সারাদিন ড: ব্রহ্ম ঠাকুরের বাড়ির ওদিকটায় যাওয়া হয়নি। ব্রহ্মদা তাকে একটা দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। তিনি এবং এরিক দত্ত জরুরি মিশনে আন্দামান গেছেন। তাঁর অবর্তমানে বাড়িটার দিকে অন্তত একদিন অন্তর নজর রাখতে হবে।’
‘কিছুক্ষণ পর সুদীপ হাঁপিয়ে যায়। গোটা শরীর কাঁপতে থাকে। রক্তচাপ বাড়ে। শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুতগামী হয়। মাথার শিরা ফুলে ওঠে। কিন্তু এত দৌড়ঝাঁপ করেও প্রজাপতির নাগাল সে পায় না। তখন সে বিছানার ওপর ধপ করে বসে।’ বিফল চেষ্টা।
‘লতিকাদেবীর হাতে ধরা আলোকচিত্রের উপর দৃষ্টিনিবদ্ধ উপস্থিত সবার। বেশ পুরনো একটা সাদা কালো ফটোগ্রাফ। ছবিতে দেখা যাচ্ছে— তিনকোণা উলটো ত্রিভুজের মতো গাছের ডালে বাঁধা তিনজোড়া ডাবের অদ্ভুত এক ফর্মেশন।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.