গল্প / কবিতা

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ১৪

‘এ-এক নতুন জগৎ আমার কাছে। বিরাট একটা হলঘরের মতো জায়গা। ভেতরে লোকজনের ভিড়। একটা চেয়ারে আমাকে বসতে বললে। আমি বসলাম। সুবিনয়বাবুর বাড়ির দৃশ্য তোলা হচ্ছে। বৃদ্ধ সুবিনয়বাবু আছেন, ভূতনাথ আছে, ব্রজরাখাল আছে, আর আছে জবা।’ সিনেমার শুটিং।

রাস্‌কিন বন্ড (Ruskin Bond)

দেওয়ালে ও কার ছায়া?

‘একটা স্বপ্নে প্রায় ডুবে যাচ্ছিলাম, এই সময়ে কাঁধে ঠিক সেই নরম হাতের ছোঁয়া পেলাম। এর পর, তার অন্য হাতটাও আমাকে ছুঁল। ভয়ে এবং তার উপস্থিতির উত্তেজনায় আমি কেঁপে উঠলাম। দুটো হাতই আমার বুকের উপর এবং আমার হাতের উপর ঘোরাফেরা করল।’ নতুন গল্প।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ১৩

‘একদিন গুরুকেও জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনার ‘গৌরী’ ছবিটা অর্ধেক তুলে বন্ধ করে দিলেন কেন? অনেক টাকাও তো লোকসান গেল আপনার? সত্যিই অনেক টাকা লোকসান গেছিল গুরুর। এক লাখ টাকা যখন খরচ হয়ে গেছে, তখন একদিন গুরু বললে— ছবি বন্ধ থাক।’ গুরু দত্তর অসমাপ্ত ছবি।

নীল কেটলি: পর্ব ৪

‘চাকরি নিয়ে বাবা কলকাতায় চলে যাওয়ার বেশ কিছুদিন পরে আমরা, অর্থাৎ মা, দিদি আর আমি কলকাতায় যাই। তার আগে অবশ্য বিস্তর কান্নাকাটি, হা-হুতাশের ব্যাপার ছিল। বিশেষ করে আমার জন্য দাদুর হাহাকার। আর আমার ব্যক্তিগত বিরহ ছিল ময়মনসিংহের জন্য।’ ময়মনসিংহ থেকে কলকাতা।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ১২

‘১৯৬১ সালের ১ জানুয়ারি বোম্বেতে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী উৎসবের উদ্বোধন করার জন্য আমার কাছে আমন্ত্রণ এল সরকারের তরফ থেকে। সেই ভেবে একটা ফোন করে জানিয়ে দিলাম গুরুকে যে আমি আবার বোম্বে যাচ্ছি, আপনার সঙ্গে দেখা হবে।’ লেখকের মুম্বই যাত্রা।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ১১

‘গুরুর কলকাতা সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা সেখান থেকেই। কলকাতার সমস্ত অলি-গলি তার মুখস্থ। সেখানেই প্রথম নাচ শেখবার আগ্রহ হয়। তখন কলকাতায় সংস্কৃতি বলতে উদয়শঙ্করের নাচ, মোহনবাগান ক্লাবের ফুটবল খেলা আর নিউ থিয়েটার্সের সিনেমা।’ গুরু দত্ত আর কলকাতা।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ১০

‘সেই সন্ধেবেলা সেই ফাঁকা মাঠের মধ্যে ছোট একটা বাংলো বাড়ির ঘরের ভেতরে আমি গুরুর আর এক রূপ দেখলাম। পায়ে রবারের চটি, পরনে চেক লুঙ্গি, গায়ে হাত-কাটা গেঞ্জি। একমনে কাঠের জাফ্‌রির ওপর বুরুশ চালিয়ে যাচ্ছে।’ অন্য গুরু দত্ত।

চিরন্তন দাসগুপ্ত

আকাশের লম্বা সাদা ফালি

‘বেড়াতে সকলে যাচ্ছে সাকেত বা ধলভূমগড়/ বিবাহের পরবর্তী বিছানা বদল অভিযানে,/ আমি পিভটের পাশে, লক্ষ্য ভবিষ্যৎ স্বয়ম্বর/আপাতত সঙ্গোপনে হাত দিচ্ছি অস্থানে কুস্থানে।’ নতুন একগুচ্ছ কবিতা।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৯

‘সেদিন ওরা চলে যাবার পর অনেকক্ষণ ধরে এটাই ভাবছিলাম। বোম্বাইতে এসে পর্যন্ত শুনে আসছি ওয়াহিদার কথা আর গুরুর কথা। সিনেমার জগতে যতরকম গুজবের সৃষ্টি হয়, সাহিত্যের জগতে সে গুজবের শতাংশের একাংশও হয় না।’ সম্পর্কের গুজব।

নীল কেটলি: পর্ব ৩

‘অনেক গাছপালা ছিল, নদী ছিল, সুড়কির রাস্তা ছিল, ধুলো ছিল, রেলব্রিজ ছিল, দিগন্ত ছিল। কিন্তু সুইৎজারল্যান্ড তো আর নয়। তবু আমার কাছে কেন যে আজও সেই ময়মনসিংহের অফুরান রূপ মায়াঞ্জনের মতো লেগে আছে!’ ময়মনসিংহের কথা।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৮

‘অনেক সময় গুরুকে দেখেছি জন্তু-জানোয়ার নিয়ে মাসের পর মাস মেতে থাকত। হঠাৎ, কোথাও কিছু নেই, একদিন গুরু বাড়িতে একটা কুকুর কোলে করে এসে হাজির। গীতাও অবাক, বাড়ির চাকর-ঝি দারোয়ানও অবাক।’ গুরু দত্তের খেয়াল।

গুলজার

কোভিড কবিতা

‘আমাদের আগে-পরে তখনও এক খুনে সময় ছিল/ জাত-ধর্ম জিজ্ঞেস করত/ আমাদের পিছনে এক খুনে সময় এখন ধাওয়া করছে/ যা জাত-ধর্ম জিজ্ঞেস করে না,/ একেবারে খুন করে দেয়/ ভগবান জানে, এই ভাগাভাগি বেশি ভয়ের, না কি সেই ভাগাভাগি!’ করোনাকালে লেখা কবিতা।