গল্প / কবিতা

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ১২

‘১৯৬১ সালের ১ জানুয়ারি বোম্বেতে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী উৎসবের উদ্বোধন করার জন্য আমার কাছে আমন্ত্রণ এল সরকারের তরফ থেকে। সেই ভেবে একটা ফোন করে জানিয়ে দিলাম গুরুকে যে আমি আবার বোম্বে যাচ্ছি, আপনার সঙ্গে দেখা হবে।’ লেখকের মুম্বই যাত্রা।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ১১

‘গুরুর কলকাতা সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা সেখান থেকেই। কলকাতার সমস্ত অলি-গলি তার মুখস্থ। সেখানেই প্রথম নাচ শেখবার আগ্রহ হয়। তখন কলকাতায় সংস্কৃতি বলতে উদয়শঙ্করের নাচ, মোহনবাগান ক্লাবের ফুটবল খেলা আর নিউ থিয়েটার্সের সিনেমা।’ গুরু দত্ত আর কলকাতা।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ১০

‘সেই সন্ধেবেলা সেই ফাঁকা মাঠের মধ্যে ছোট একটা বাংলো বাড়ির ঘরের ভেতরে আমি গুরুর আর এক রূপ দেখলাম। পায়ে রবারের চটি, পরনে চেক লুঙ্গি, গায়ে হাত-কাটা গেঞ্জি। একমনে কাঠের জাফ্‌রির ওপর বুরুশ চালিয়ে যাচ্ছে।’ অন্য গুরু দত্ত।

চিরন্তন দাসগুপ্ত

আকাশের লম্বা সাদা ফালি

‘বেড়াতে সকলে যাচ্ছে সাকেত বা ধলভূমগড়/ বিবাহের পরবর্তী বিছানা বদল অভিযানে,/ আমি পিভটের পাশে, লক্ষ্য ভবিষ্যৎ স্বয়ম্বর/আপাতত সঙ্গোপনে হাত দিচ্ছি অস্থানে কুস্থানে।’ নতুন একগুচ্ছ কবিতা।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৯

‘সেদিন ওরা চলে যাবার পর অনেকক্ষণ ধরে এটাই ভাবছিলাম। বোম্বাইতে এসে পর্যন্ত শুনে আসছি ওয়াহিদার কথা আর গুরুর কথা। সিনেমার জগতে যতরকম গুজবের সৃষ্টি হয়, সাহিত্যের জগতে সে গুজবের শতাংশের একাংশও হয় না।’ সম্পর্কের গুজব।

নীল কেটলি: পর্ব ৩

‘অনেক গাছপালা ছিল, নদী ছিল, সুড়কির রাস্তা ছিল, ধুলো ছিল, রেলব্রিজ ছিল, দিগন্ত ছিল। কিন্তু সুইৎজারল্যান্ড তো আর নয়। তবু আমার কাছে কেন যে আজও সেই ময়মনসিংহের অফুরান রূপ মায়াঞ্জনের মতো লেগে আছে!’ ময়মনসিংহের কথা।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৮

‘অনেক সময় গুরুকে দেখেছি জন্তু-জানোয়ার নিয়ে মাসের পর মাস মেতে থাকত। হঠাৎ, কোথাও কিছু নেই, একদিন গুরু বাড়িতে একটা কুকুর কোলে করে এসে হাজির। গীতাও অবাক, বাড়ির চাকর-ঝি দারোয়ানও অবাক।’ গুরু দত্তের খেয়াল।

গুলজার

কোভিড কবিতা

‘আমাদের আগে-পরে তখনও এক খুনে সময় ছিল/ জাত-ধর্ম জিজ্ঞেস করত/ আমাদের পিছনে এক খুনে সময় এখন ধাওয়া করছে/ যা জাত-ধর্ম জিজ্ঞেস করে না,/ একেবারে খুন করে দেয়/ ভগবান জানে, এই ভাগাভাগি বেশি ভয়ের, না কি সেই ভাগাভাগি!’ করোনাকালে লেখা কবিতা।

পম্পা বিশ্বাস

ব্যূহ

‘কুকুরটার স্থান ও ডিউটি নির্দিষ্ট। মেজোভাই কালীপদদার বাঁজা বউ যখন জামাকাপড় শুকোতে দিতে বা তুলতে ছাদে ওঠে, তখন ঘেউ ঘেউ করতে হবে। কিন্তু দুবলা ভুলুর ডাকটা শুনতে লাগে ‘খেউউ, খেউউ’।’ নতুন গল্প।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৭

‘মনে আছে তখন দুপুরবেলা। দুটো কি তিনটে বেজেছে। হঠাৎ বড়-বড় করে আওয়াজ হল। বাইরে চেয়ে দেখি বৃষ্টি পড়ছে। গুরুও চেয়ে দেখল, হ্যাঁ বৃষ্টি পড়ছে। গুরুর চোখে মুখে ছেলেমানুষের মতো আনন্দ ফুটে উঠল।’ গুরু দত্তের ছেলেমানুষি।

দেবারতি মিত্র

কয়েকটি কবিতা

‘ও আমাকে বললে—/ নীল পাথরের মালা পরে থাকো কেন?/ আকাশ কি নীল, শুধুই নীল, / আকাশ আর নীলাকাশে আমাদের এখন কী দরকার?/ বর্ণ গন্ধ দৃশ্য হাসি ও অশ্রু সবই তো আমরা/ দুজন দুজনের মধ্যে খুঁজে পাই।/ তবে আকুল হবার কষ্ট কেন করবে?’ নতুন কবিতা।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৬

‘হয়তো কোনো ছুটির দিন সেটা। স্টুডিওতে কেউ নেই। ফাঁকা সব। কিন্তু আমরা দুজনে গিয়ে বসতাম সেই ঘরে। চারদিকে অসংখ্য বই আর ম্যাগাজিন। তখন গুরু আর আমি একাকার হয়ে যেতাম গল্পের জগতের মধ্যে!’ বন্ধুত্বের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত।