নিবন্ধ

সৌভদ্র চট্টোপাধ্যায়

এক ধাক্কায় বদলাল সাংবাদিকতা

হিসেব বলে, মার্কিন টিভিগুলি ৯/১১ টানা ৯৩ ঘণ্টা সরাসরি কভার করেছিল। স্যাটেলাইট টিভির অকল্পনীয় মহা-ম্যারাথন! টিভির ইতিহাসে এত বড় ঘটনা এবং তার নিরবচ্ছিন্ন প্রচার এর আগে হয়নি। ৯/১১ বুঝিয়ে দিল টিভি সাংবাদিকতার অপার মহিমা।

ডাকবাংলা.কম

৯/১১: প্রবাসী বাঙালিদের চোখে

প্রথমে কেউই বিশ্বাস করতে চাননি ঘটনাটা। কিন্তু ক্রমশ আতঙ্কের কালো মেঘ ছেয়ে ফেলেছিল তাঁদের চারপাশ। ভয় আর রাগে তাঁরা হয়ে পড়েছিলেন স্তব্ধ, হতবাক। ৯/১১-র সে বীভৎস মুহূর্তের স্মৃতি, আজ বছর কুড়ি পরে উঠে এল তিনজন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে।

শুভময় মিত্র

আমি বুদ্ধদেবকে দেখেছি

‘কোনও কথা বলার আগে, ‘এই নাও’ বলে একটা খাম ধরিয়ে দিলেন। সস্নেহে অনেক কথা বললেন, আমরা পালাতে পারলে বাঁচি, খামে কী আছে কে জানে, ‘কেমন লাগল বোলো কিন্তু, ইচ্ছে হলেই চলে আসবে’, দুদ্দাড় করে বেরিয়ে এসে আলিয়াতে ঢুকে খাম খুললাম। লেখা। বুদ্ধদেব গুহর লেখা।’ বুদ্ধদেব গুহর স্মৃতিচারণ।

প্রতীক দত্ত

অ্যাবসার্ড নাটক

‘অ্যাবসার্ড নাটক কোনও পরিকল্পিত বা সচেতন সাহিত্য আন্দোলন বা বিপ্লব একেবারেই নয়। কাছাকাছি সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ভৌগোলিক অবস্থানের কয়েকজন মানুষ, যাঁদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা তো দূর, পরিচয়ও নেই, তাঁরা এমন নাটক লিখছেন, যা নাট্য-রচনার যাবতীয় সনাতন শৈলীকে কচুকাটা করছে।’ নাটকের নতুন ধারা।

গণেশ হালুই

যে পথ ধরে

‘…অবনীন্দ্রনাথ হলেন বেঙ্গল স্কুল অব আর্ট-এর জনক। পরে যাঁরা এসেছেন, বা আমরা যারা এসেছি, তাঁরা সবাই এক অর্থে তাঁর সন্তান। সন্তানদের মধ্যে পিতার অনেক ছাপ থাকে। হাবভাব-ব্যবহারে মিল থাকে। কিন্তু ভাবনাচিন্তার ধরন ও তা প্রকাশের ভঙ্গি অন্যরকম হয়।’ প্রাসঙ্গিক অবনীন্দ্রনাথ।

জয়ন্ত সেনগুপ্ত

আমার অবন

‘…ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের নিজস্ব সংগ্রহে রয়েছে তরুণ অবনীন্দ্রনাথের – সতেরো-আঠারো থেকে শুরু করে তেইশ-চব্বিশ বছর বয়স অবধি – আঁকা পঞ্চাশটির বেশি ছবি, আর সেখানে সংরক্ষিত রবীন্দ্রভারতী সোসাইটির সংগ্রহে এক পরিব্যাপ্ত সম্ভার, অর্থাৎ প্রায় সাড়ে পাঁচশো ছবি, যার সৃষ্টিকাল ১৮৯০ থেকে শুরু করে প্রায় তার পর অর্ধশতাব্দী জুড়ে।’ শিল্প সংগ্রহে অবনীন্দ্রনাথ।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

জলে ধোওয়া সময়ের স্মৃতি

‘অবনীন্দ্রনাথের ব্যবহৃত সরঞ্জামের ভিতর জাপানি তুলি দেখে ধারণা হয়, তিনি জাপানের তুলি ব্যবহার করতেন। ১৯২০ সালের মাঝামাঝি অবনীন্দ্রনাথের আঁকা গাছের ডালে বসা পাখি আর চাঁদের ছবি একেবারে জাপানি ছবি বলে ভুল হতে পারে।’ অবনীন্দ্রনাথের ছবিতে জাপানি প্রভাব।

অমিতাভ পুরকায়স্থ

জননায়ক কালকেতু

‘…অবনীন্দ্রনাথ যে চণ্ডীমঙ্গলকে বিষয় হিসেবে বেছে নেন, তার আরেকটি কারণ ধরা পড়ে সে সময়ের জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপট থেকে। তখন জাতীয় রাজনীতিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অংশীদারি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছিল।’ মঙ্গলকাব্যে অবনীন্দ্রনাথ।

সুকন্যা দাশ (Sukanya Das)

সেলাইমেশিনে জোড়া দেশ

‘…চারপাশের উল্লাসধ্বনির মধ্যেও শামলুর মনে আছে, উল্লাসের সুর কীভাবে ধীরে ধীরে গম্ভীর ও অন্ধকার হয়ে এসেছিল। এই বদলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাঁর চোখে পড়েছিল শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে একে একে পাক খেয়ে উঠে আসা কালো ধোঁয়া।’ দেশভাগের স্মৃতি।

অনিতা অগ্নিহোত্রী

দিনের আলোর গভীরে রাতের তারা

‘আমাদের দেশের সাহিত্যকারদের একটি বড় চ্যালেঞ্জ, নিজেকে অতিক্রম করে সমাজের সঙ্গে মানুষের অন্বয়কে অনুসন্ধান করা। আমরা যদি ইতিহাসের আঞ্চলিকতায় বিশ্বাস না করি, তা পু্নর্লিখনের জন্য উদ্যোগী না হই, একটি স্বাধীন দেশের ইতিবৃত্ত সম্পূর্ণ হবে না।’ স্বাধীন রাষ্ট্রে লেখকের দায়।

প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

নজরদারি পুঁজিবাদ: পেগাসাস

‘… যে যে দেশ নজরদারি রাখতে চায় বিরোধী রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক এমনকী সাধারণ মানুষের ওপর, তাদের প্রায় সবাই নাম লিখিয়েছে শালেভের খাতায়। আর পাঁচটা সফটওয়্যার কোম্পানির মতন শালেভের হয়ে সাধারণ কোডাররা কাজ করছেন না, সে-দায়িত্বে রয়েছেন ইজরায়েলের সিক্রেট সার্ভিস এজেন্সির এলিট হ্যাকাররা।’ স্পাইওয়্যার ও গোপনীয়তার গণ্ডি।

সুজান মুখার্জি

মূর্তি ভাঙার অর্থ কী?

‘…মনে রাখতে হবে যে, যখন কোন স্ট্যাচুকে আক্রমণ করা হয়, সেটা শুধুমাত্র ইতিহাসকে লক্ষ্য করে তা নয়। তার মধ্যে লুকিয়ে আছে সেই শহরের অধিকারের ওপর বিক্ষিপ্ত মানুষদের দাবি।’ মূর্তি গড়া-ভাঙার সেকাল-একাল।