নিবন্ধ

শঙ্খদীপ ভট্টাচার্য

খুঁজে বেড়াই সুপারহিরো

‘…অন্নদাতা কৃষক, কারখানার শ্রমিক থেকে শুরু করে আজকের সফ্‌টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বা আমাজন-সুইগি-জোমাটোর ডেলিভারি বয় ইত্যাদি মেহনতি মানুষেরা নয়, ইতিহাসের চালিকাশক্তি হল অতিমানবীয় ব্যক্তি-কাল্ট।’

দোয়েলপাখি দাশগুপ্ত

বৈচিত্র্যময় তাঁত, সরকারের হাত

‘পাওয়ার লুমের সঙ্গে যুদ্ধে জিততে হলে দেশজ তাঁতের দামকে এভাবে আকাশছোঁয়া করলে নতুন-নতুন মুনাফার পকেট শুরু হবে ফের, কারণ প্যান্ডেমিক দেখিয়ে দিয়েছে ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা এখন কত দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া যায়।’

একরাম আলি

ঈশ্বরচন্দ্রের দ্বিতীয় ভুবন

‘যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির বাস, যেখানে বিধবাবিবাহের বা নারীশিক্ষার বা বহুবিবাহ বন্ধের দায় ছিল না, সেই সংখ্যাগরিষ্ঠ নমঃশূদ্র আর আদিবাসী আর মুসলমান সমাজের মাঝে দেখতে পাব অন্য এক ঈশ্বরচন্দ্রকে।’

সারস্বত সেন

ফুরিয়ে যাচ্ছে চান করবার দিন

‘সত্যিই তো আমাদের দেশে কত মেয়ে পড়াশোনায় ইতি টানে, শুধুমাত্র স্কুলে পরিচ্ছন্ন শৌচালয়ের অভাবে— জলের অভাব যার প্রধান কারণ। প্রভাব পড়ে কৃষিতেও। তবে অবস্থার পরিবর্তন হয় না। শুধু কিছু দিন খবরের শিরোনামে থাকে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া কৃষকের পরিবার।’

সুস্নাত চৌধুরী

আবার এসেছি ফিরে

‘একটি ফরাসি কাগজের শিরোনাম হয়, ‘Le marchand de la mort est mort’— মৃত্যুর ব্যবসায়ী মৃত! ভুল খবরটি দেখে নাকি গভীর আঘাত পান নোবেল। মানুষ কি তাহলে তাঁকে বিধ্বংসী ডিনামাইটের আবিষ্কর্তা হিসাবেই মনে রাখবে? এই ভ্রান্তিবিলাস তাঁর চোখ খুলে দেয়।’

আবীর কর

সাবান ও সুন্দরী

‘সাবানের সঙ্গে সিনে-সুন্দরীদের সোহাগের সম্পর্ক স্থাপনের শুরুটা হয়েছিল লাক্স টয়লেট সাবান গায়ে মেখে। সময়কাল ১৯২৯, লাক্স সাবানের প্রথম তারকা-সুন্দরী লীলা চিতনিস। তখন লাক্স সাবানের দাম দু’আনা। যদিও লাক্সের পথ চলা তারও তিন দশক আগে।’

শান্তনু চক্রবর্তী

ছোটলোকের বিটি লো!

‘‘দহাড়’ বা ‘কাঠাল’-এর অঞ্জলি বা মহিমা কোনও আগমার্কা ‘অ্যাক্টিভিস্ট’ বা সমাজ-সংস্কারক নয়। ‘ভিড়’-এর সুজয় সিং টিকাস-ও নয়। কিন্তু এরা সবাই মিলে একটা অন্য রকম ‘পুলিশের গপ্পো’ (যাকে ‘কপ-স্টোরি’ বললে একটু ছকে পড়ে যেতে হবে!) বলছে।’

সুস্নাত চৌধুরী

দার্জিলিঙের বুকে স্কটিশ পর্বত

‘‘লকনাগার’ বা নামান্তরে ‘Lochnagar’ হল স্কটল্যান্ডের অ্যাবার্ডিনশায়ারের একটি বিখ্যাত পর্বত। প্রথম জীবনের কিছুটা সময় এখানেই কাটিয়েছিলেন বায়রন। স্কটল্যান্ডের ওই পাহাড়ের নামই কি তবে দার্জিলিঙে এসে ‘লোচনগর’ হয়ে গিয়েছে?’ অজানা ইতিহাস।

ড. দোলনচাঁপা দাশগুপ্ত

বিপ্লবের নাম মাধবীলতা

তাঁর প্রায় প্রত্যেকটি চরিত্রই জ্যান্ত হয়ে মিশে গিয়েছে পাঠকের আত্মায়, পাঠকের চিন্তায়। তিনি রাজনৈতিক উপন্যাস লিখে গিয়ে মানুষের চিন্তাকে গোড়া ধরে নাড়া দিতে চেয়েছিলেন। তুলে ধরেছিলেন সমাজের আয়না। সাহিত্যের কালপুরুষ ছিলেন সমরেশ মজুমদার।

প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

শূন্য শুধু শূন্য নয়

‘ব্রহ্মগুপ্তরা শূন্য বোঝাতে অনন্ত বা অন্তরীক্ষ-জাতীয় শব্দ ব্যবহার করেছিলেন। ব্রহ্মগুপ্তদের কাল গেছে, আধুনিক গণিতশাস্ত্র বলছে ইনফিনিটিকে ইনফিনিটি দিয়ে ভাগ করলে থাকে ইনফিনিটি কিন্তু শূন্যকে শূন্য দিয়ে ভাগ করলে কী হয় কেউ জানে না।’ বিমূর্ত ধারণা।

শ্রীজাত

ফোনে রং, মনে রাইট

‘একখানা একাকী গরমের ছুটিতে ব্যাপারটা শুরু হয়। ‘হ্যালো, পিন্টু বলছ?’ নামের একটি ফোনকল ঠিক বেলা তিনটে নাগাদ পাপনদের ফোনে আসতে থাকে। এখানে বলে নেওয়া দরকার, কণ্ঠটি সুমধুর এবং সুনিশ্চিতভাবেই কোনো মরমী কিশোরীর।’ রং নম্বর।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

পথের প্রান্তে ওই বাসের গায়ে

‘পরের প্রেমে যখন পড়লাম, মেয়েটির বাড়ি যেতাম 47/1-এ চড়ে। ৪৭ আমাদের কাছে স্বাধীনতা, কিন্তু তার ভাই-সংখ্যায় ভেসে দিব্যি স্নিগ্ধ পরাধীনতার দিকে ধেয়ে যেতাম, ঝর্না যেমন বাহিরে ধায়, খুব ভাল করে জানে সে কাহারে চায়।’ বাসের নম্বর।