

মৃত্যু থেকে ফেরা
‘মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখার সেই অভিজ্ঞতা কোনওদিন ভুলব না। আমার প্রতিদ্বন্দ্বীই তো প্রকৃতি, তার কাছে তো নতজানুই হতে হয়। এখানে হাততালি কুড়োনোর কোনও জায়গা নেই।’
‘মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখার সেই অভিজ্ঞতা কোনওদিন ভুলব না। আমার প্রতিদ্বন্দ্বীই তো প্রকৃতি, তার কাছে তো নতজানুই হতে হয়। এখানে হাততালি কুড়োনোর কোনও জায়গা নেই।’
‘ইটভাটায় থাকলে তবু তো শুধু হাতে ব্যথা হয়। বাড়িতে থাকলে রাতবিরেতে মার খেয়ে সর্বাঙ্গে ব্যথা হয়। ব্যথা উপশমে ‘দবাই’ কেনা তাই অপচয়। মালিকের ঋণ শোধ করা ছাড়া বাকি সবই আসলে তাই।’
‘চ্যালেঞ্জিং মানে কি সবসময় যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে রিপোর্টিং? তা তো নয়। শুনতে নিরীহ মনে হলেও এক-একটা অ্যাসাইনমেন্ট ঘাম ঝরিয়ে দেয়।’
‘মেয়ে অফিসারের কাজ তখন কঠিন হয়ে যায়। উর্দি গায়ে থাকলে সে সহজেই চিহ্নিত হয়ে যাবে, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাখি উড়ে যাবে।’
‘কলকাতার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে-মোড়ে, গলিতে, ফুটপাথে খেয়াল করলে ‘কলকাতা ফটাফট’-এর খোঁজ পাওয়া যায়। অনেক অনলাইন সাইটে এই খেলার খবর, উপায়, টিপস্, রেজাল্ট খুব সহজেই মেলে।’
‘ভারতে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনগুলির একদম প্রথম অবস্থায় মন্ত্র ছিল, ‘একটি গাছ, একটি প্রাণ’। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সুড়ঙ্গে, নর্দমায় কাজ করা মানুষগুলি একটি প্রাণ হবার মর্যাদা কবে পাবে, সেই প্রতিশ্রুতি ক্রমশ ধূসর হয়ে যাচ্ছে।’
‘বিভিন্ন অভিজ্ঞতা, রং চড়ানো গল্প, সত্যি ঘটনা ও কিংবদন্তি মিলিয়ে তৈরি হয়েছে কুব্রিক নামক এক অনন্য শিল্পীর ধারণা, যার ৪৭ বছরের চলচ্চিত্র জীবনে ছবির সংখ্যা ১৩।’
‘গার্সিয়া মার্কেসের লেখায় বারবার বিষয় হিসেবে এসেছে, নিঃসঙ্গতা। লাতিন আমেরিকার অন্য বহু লেখকের মতোই, তিনিও একটি কাল্পনিক ভূখণ্ড সৃষ্টি করেছিলেন, যার নাম দিয়েছিলেন, মাকোন্দো।’
‘কোভিডের সময় কত মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা যে হয়েছে। মানুষ কীভাবে মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়— সেসময় দেখেছিলাম। এমনও হয়েছে, রোগী বাড়ি যেতে চাইছেন, বাড়ির লোক তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী নন।’
‘যেন এক বৃত্ত সম্পূর্ণ করে, ‘চার অধ্যায়’-এর এলা, ‘মহানগর’-এর আরতি থেকে পৌঁছে যায় ‘মায়ানগর’-এর এলায়। এই যাত্রা, পৃথিবী নামক এক গ্রহের, কলকাতা নামক একদা আলোকপ্রাপ্ত কোনও এক শহরের ধংসের ইতিহাসের কথা বলে আসলে।’
‘রণেনকাকা আর আমি গল্প করছি বসে, কথা উঠল ‘কাবুলিওয়ালা’ সিনেমার পোস্টার নিয়ে। উনি প্রথমে জিজ্ঞাসা করলেন, আমি পোস্টারটা দেখেছি কি না! আমি ‘হ্যাঁ’ বলতেই আলোচনা অন্যদিকে মোড় নেয়…’
‘তুলসী চক্রবর্তী এমন একজন অভিনেতা, যিনি স্বয়ম্ভূ, তাঁর কোনও পরিচালক লাগে না। সত্যজিৎ রায় বাঙালি জাতির হয়ে তাঁকে কৃতজ্ঞতা নিবেদন করেছেন, এইমাত্র। বাঙালি মধ্যবিত্তর আর্কেটাইপ তুলসীচরণ। স্বপ্ন আর স্বপ্নহীনতার অন্তর্বর্তী স্তরে একটু থতমত খেয়ে যেন চিত্রার্পিত।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.