
সুরা-রোপিত
‘ফের শুরু করে মদন, ‘হিসেবটা কিন্তু বুঝতে হবে। দ্যাখো চোলাই বন্ধ হয়ে গেছে, ইংলিশের দোকানেই বাংলা বিক্রি হচ্ছে; তাহলে যারা চোলাই খেত, তারাও এখন ইংলিশের দোকান থেকেই বাংলা কিনছে।’

‘ফের শুরু করে মদন, ‘হিসেবটা কিন্তু বুঝতে হবে। দ্যাখো চোলাই বন্ধ হয়ে গেছে, ইংলিশের দোকানেই বাংলা বিক্রি হচ্ছে; তাহলে যারা চোলাই খেত, তারাও এখন ইংলিশের দোকান থেকেই বাংলা কিনছে।’

‘এই মুহূর্তে যে সেলিব্রিটি ভূত ভাইরাসটি ভাইরাল হয়েছেন, তার নাম হল হিউম্যান মেটা নিউমো ভাইরাস। ডাকনাম— এইচএমপিভি। নামে ক্যাসেট কোম্পানির মতো শুনতে হলেও, এই এইচএমপিভি ভাইরাসটি কিন্তু কোভিডের মতো নবাগত (নভেল) নন।‘

‘একমাত্র ঋত্বিক ঘটকের ছবিতেই আমরা এমন একজন অভিনেত্রীকে পাই, যার শরীরী ভাষা চ্যালেঞ্জ জানায় ‘হিরোইন’-কে দেখার চিরাচরিত দৃষ্টিকোণকে। সুপ্রিয়া রীতিমতো গ্রিক-হিরোদের মতো রোবাস্ট, সটান, কুণ্ঠাহীন।’

‘ভারতবর্ষ এমনই এক বৈচিত্রময় দেশ ছিল, যেখানে আজ থেকে এক দশক আগেও হয়তো শত ফুল বিকশিত হতে পারত, আমাদের দেশ আর সেই দেশ নেই। ফলত আমাদের দেশ এখন এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে ইরফান খানের না থাকাই ভাল।’

‘বেশ বড় আকৃতির একটা বাক্সের মধ্যে ফিল্মের রোল পুরে সেটাকে একটানা চালিয়ে করে ছবিকে চলমান করে তোলার কায়দা আবিষ্কার করেছিলেন ডিক্সন-এডিসন।’

‘ফোটো-সাংবাদিকতার তথ্যনিষ্ঠতার সঙ্গে এক নান্দনিক বহুমাত্রিকতাকে জুড়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল ‘লাইফ’। এর নেপথ্যে যেমন ছিল ফোটোগ্রাফির মান, তেমনই ছিল ছিমছাম, কিন্তু অনন্য পৃষ্ঠাসজ্জা।’

‘যখন ২০২৪-এর এপ্রিলে আবার দাঁড়ালাম রাজপ্রাসাদের গেটে, বুঝলাম এতটুকু ফিকে হয়নি ডায়না-ম্যানিয়া। হঠাৎ ভিড়ের মধ্যে গুঞ্জন, ক্যামিলা (‘কুইন’ কথাটা কিন্তু বলল না কেউ) আসছেন।’

‘দিলীপ জন্মেইছিলেন তাঁর রক্তে সুর ও সংগীত নিয়ে। তিনি নিজে জানিয়েছেন তাঁর ‘স্মৃতিচারণ’ গ্রন্থে, হিন্দুস্থানী গানে তাঁর প্রথম অনুরাগ হয় সুরেন্দ্রনাথ মজুমদারের অপরূপ খেয়াল শুনে।’

‘যাঁরা পি সি সরকারের ম্যাজিক নিয়ে একেবারেই শ্রদ্ধাশীল নন, তাঁরাও বহুবার মানতে বাধ্য হয়েছেন, পাবলিসিটিতে ভদ্রলোকের ধারে-কাছে সেযুগের কেউ ছিল না। তিনি মঞ্চের নিগড় থেকে ম্যাজিককে বের করে একেবারে সাধরণের আয়ত্তে নিয়ে এলেন।’

‘একজায়গায় বারবার বাজিমাত করেছেন হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়।… তাঁর স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা ছিল সাবেক বুর্জোয়ার আধুনিক রূপ, যার বসতি বাগবাজার নয়, বালিগঞ্জ; যার বাহন জুড়িগাড়ি নয়, বরং সেলফ ড্রিভেন মরিস মাইনর।‘

‘বারীন হয়তো জানতেন না ইতিহাস বড় নির্মম, যত যত্নে সে লিখে রাখে কীর্তি, তার চেয়েও ফলাও করে লেখে ভ্রান্তির গাথা।প্রায় দেড়শো বছর পরেও, তার জন্মদিনের শুভক্ষণে কেউ যা পড়তে বা বলতে দ্বিধা বোধ করবে না একরত্তি।’

‘অমিত্রাক্ষরে মধুসূদন ‘মেঘনাদবধ’-এর আগেই ‘তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য’ (১৮৬১) লিখলেও, একই বছর, আজকের দিনে প্রকাশিত ‘মেঘনাদবধ কাব্য’-ই সম্ভবত আজও মধুসূদনের প্রধান কাব্যগ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত।‘
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.