প্রবন্ধ

শ্রীজাত

ফোনে রং, মনে রাইট

‘একখানা একাকী গরমের ছুটিতে ব্যাপারটা শুরু হয়। ‘হ্যালো, পিন্টু বলছ?’ নামের একটি ফোনকল ঠিক বেলা তিনটে নাগাদ পাপনদের ফোনে আসতে থাকে। এখানে বলে নেওয়া দরকার, কণ্ঠটি সুমধুর এবং সুনিশ্চিতভাবেই কোনো মরমী কিশোরীর।’ রং নম্বর।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

পথের প্রান্তে ওই বাসের গায়ে

‘পরের প্রেমে যখন পড়লাম, মেয়েটির বাড়ি যেতাম 47/1-এ চড়ে। ৪৭ আমাদের কাছে স্বাধীনতা, কিন্তু তার ভাই-সংখ্যায় ভেসে দিব্যি স্নিগ্ধ পরাধীনতার দিকে ধেয়ে যেতাম, ঝর্না যেমন বাহিরে ধায়, খুব ভাল করে জানে সে কাহারে চায়।’ বাসের নম্বর।

বিষাণ বসু

নম্বরস্ফীতি, নম্বরভীতি

‘বেশি-বেশি নম্বর মানেই গ্রেড ইনফ্লেশন বা নম্বরস্ফীতি, এমন না-ও হতে পারে। নম্বরস্ফীতি হিসেবে চিহ্নিত করতে গেলে প্রমাণ করতে পারা জরুরি, যে, আগেকার তুলনায় এখন, একইরকম পারফর্ম্যান্সে, বেশি মার্কস দেওয়া হচ্ছে।’ পরীক্ষার নম্বর।

শুভময় মিত্র

ঠিকানানাম্বার

‘শুনেছি মোটা দামে স্থানীয় কর্পোরেশনের কাছে আগেই রিজার্ভ করা থাকে কিছু নম্বর। লন্ডনে ‘১০’-এর খুব দাম। নেপল্‌সের পুরোনো পাড়ায় চোখে পড়ে ‘০০৭’। কলকাতাতেও খুঁজলে কোনও কোনও দরজায় ইউরোপের ছোঁয়া পাওয়া যাবে।’ বাড়ির নম্বর।

আবীর কর

রবীন্দ্রনাথের সাজপোশাক

‘সেই যে স্বদেশি যুগে ও হুজুগে রবীন্দ্রনাথ এক ইঙ্গবঙ্গ পার্টিতে বিধি ভেঙে ধুতি-চাদর পরে গেলেন, সে নিয়ে প্রথম দিকে নীচু স্বরে সমালোচনা হলেও পরবর্তীতে সেই ‘ন্যাশনাল ড্রেস’ কংগ্রেসের পোশাক হয়ে গেল।’ কবির ফ্যাশন।

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

হিন্দু থালায় কি দলিত খাবারের জায়গা আছে?

‘খাওয়া-দাওয়া নিয়ে এই সব সম্প্রদায়ের যে সব গান রয়েছে, তা মূল ধারার সাহিত্যে পাওয়া যায় না। সেসব গান প্রাণীদের আলজিভ, শ্বাসনালী, বা মেদচ্ছ্বদের (ওমেন্টাম) কথা বলে, যে সব শরীরের অংশ ‘উঁচু’ জাতের লোকেরা খায় না।’ খাদ্যাভ্যাসের উঁচু-নিচু।

কবীর চট্টোপাধ্যায়

কোন গানে কে ‘রিলেট’ করে

‘কে কোন গানের সঙ্গে কেন ‘রিলেট’ করে থাকেন, তার হিসেব করার আগে মেপে নেওয়া ভাল, আমরা ঠিক প্রশ্নগুলো করছি কি না… গান কি তার সমসাময়িক পৃথিবীর কথা বলতে পারছে? গান কি যথাযথ ভাষ্যে নিজেকে বোঝাতে পারছে?’ লিরিক-বৃত্তান্ত।

সিদ্ধার্থ দে

আত্মানুসন্ধানের এক ব্যতিক্রমী স্বর : অ্যানি এরনো

১৯৪১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত তাঁর জীবনের ৬৬ বছরের আত্মকথা লিখতে বসেছেন নোবেলজয়ী এরনো, কিন্তু সে লেখা নিজের কথা ছাপিয়ে হয়ে উঠছে সময়ের কথা, একটা আস্ত প্রজন্মের কথা! নিজের সত্তাকে সময় আখ্যান দিয়ে অনবরত নিজেকেই অনুসন্ধানের প্রয়াস।

সৈকত ভট্টাচার্য

তার ও ইথার

‘জন্ম হল ইথারনেটের। হার্ভার্ডের তাবড় প্রফেসরদের তাক লাগিয়ে বব তাঁর হকের পিএইচডি ছিনিয়ে নিলেন এবার। আর আজও আমাদের বাড়ির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যম এই ইথারনেট।’ যুগান্তকারী আবিষ্কারের গল্প।

প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

জল মেশানো গপ্পো

‘লোকমান, খিজির, ইব্রাহিম— সবার গল্পই নীতিকথাপ্রধান। আমাদের আদিপুরুষদের জ্ঞানচক্ষু উন্মীলনে পৃথিবীর জলসম্পদ যে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিল, তা এই লোকগাথাগুলি স্পষ্ট করে দেয়।’ তুর্কি ও আরবি লোককথায় জলের কিস্‌সা।

সুশোভন প্রামাণিক

কলিকাতার চড়ক গুলজার

‘হয়তো এ এক আশ্চর্য সমাপতন, যে-বিডন চড়ক বন্ধ করেছিলেন, সেই তাঁর নামাঙ্কিত রাস্তায় চড়ক এখনও কলকাতা তথা বঙ্গ বিখ্যাত। কোনও আইন, কোনও শাসন, কোনও চোখরাঙানি কলকাতার এই প্রাচীন চড়ককে বন্ধ করতে পারেনি!’ চড়ক-কিস্‌সা।

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

রানি ডাকলেন অনির্বাণকে

‘যখন শুনলাম রানি মুখার্জি বলেছেন যে রোলটা যেন আমি করি, তখন সত্যিই বিশ্বাস করতে একটু অসুবিধে তো হচ্ছিল। মনে হল, রানি মুখার্জির মতো একজন অভিনেত্রী আমায় অভিনেতা হিসেবে চেনেন, কাজ দেখেছেন এবং এই রোলটার জন্য আমায় বেছেছেন!!!’