প্রবন্ধ

তপশ্রী গুপ্ত

ডেটলাইন : পর্ব ৮

‘কতজন বিশ্বাস করবেন জানি না, আমি কয়েকটা দাঁত পেয়েছিলাম বৃষ্টিভেজা মাটিতে। মানুষের দাঁত। হাতে করে নিয়ে গিয়ে দেখিয়েছিলাম ওদের অফিসে। বিশেষ পাত্তা দেয়নি। বলল, ওরকম দাঁত বা হাড়ের টুকরো নাকি বৃষ্টি হলে মাঝে মাঝেই উঠে আসে জমির ওপর।’

রঞ্জন বন্দোপাধ্যায়

টি এস এলিয়টের মার্জার-মহাকাব্য

‘বেড়ালকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে একটা নাম দিয়ে দেওয়া কাজের কথা নয়। অনেক ভেবেচিন্তে বেড়ালের নামকরণ করাই সমাজ-সংসারের পক্ষে মঙ্গলকর। বেড়ালদেরও মানমর্যাদা তাতে রক্ষা হয়। ‘দ্য নেমিং অফ ক্যাটস’ কবিতায় এই সার কথাটি বুঝিয়ে বলেছেন এলিয়ট।’

তপশ্রী গুপ্ত

ডেটলাইন : পর্ব ৭

‘কোনও মহিলার হ্যান্ডব্যাগ এভাবে খুলতে পারে কেউ দেখিনি আগে। এদিকে আমার তো আত্মারাম খাঁচাছাড়া, ভেতরের চেনে একটা খামে রাখা আছে ডলার। অত ধৈর্য অবশ্য নেই দেখলাম পুলিশের। যে-ছোট চেনটায় টাকাপয়সা থাকে, সেটা খুলে সব রাখল টেবিলের ওপর।’

তপশ্রী গুপ্ত

ডেটলাইন : পর্ব ৬

‘আঙ্কর ভাটের দেবদাসী অবশ্য আদৌ সুন্দরী নন, এই সকালেই বেশ নেশাগ্রস্ত এবং তাঁর শরীরের আন্দোলনকে আর যাই বলা যাক, নাচ বলা ঠিক নয়। চারপাশে শ্বেতাঙ্গ ট্যুরিস্টদের ‘ওয়াও’ শুনে, অসংখ্য ক্যামেরার ক্লিক-ক্লিক শব্দে আরও উৎসাহ পেয়ে গেলেন মাঝবয়সি মহিলা।’

সুস্নাত চৌধুরী

মেগা ম্যাগাজিন : পর্ব ১০

‘প্রকাশক গেইনস মনে করতেন, গুণমান বজায় রেখে ম্যাগাজিন বের করতে হলে তার ধরাবাঁধা সময় থাকলে চলে না। কখনও দ্বিমাসিক, কখনও বছরে আট বার— নানা সময়ে নানা বিরতিতে প্রকাশিত হয়েছে এই পত্রিকা।’

শঙ্খদীপ ভট্টাচার্য

তোফাজ্জল অথবা নিছক ভয়

‘সন্ত্রাসের তীব্রতা প্রতিদিন ফুলেফেঁপে উঠছে চুপিসারে, প্রকাশ্যে। দ্রুত সংক্রামিত করছে আমাদের চারপাশ। মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাস শিথিল হয়ে ওঠার সম্ভাবনাও আর খারিজ করা যাচ্ছে না। দেশ, প্রতিবেশের পরিস্থিতি ইদানীং এমনই।’

জয়া মিত্র

যখন পাহাড় নীচে নেমে আসে

‘প্রকৃতিতে একেবারে অকস্মাৎ কোনও কিছুই ঘটে না, আগে কোথাও-না-কোথাও সতর্কবার্তা দেখা যায়। কেরালাও ব্যতিক্রম নয়। ২০১৫ থেকে ২০২২-এর মধ্যে দেশে যত ভূমিধ্বসের ঘটনা ঘটেছে, জানা যাচ্ছে তার শতকরা ষাট ভাগই ঘটেছে কেরালায়।’

সৈকত ভট্টাচার্য

যাহা ‘পাই’

‘মুনিঋষিরাও যে ‘পাই’-এর মান তিন ধরেই চলতেন, তার প্রমাণ রয়েছে মহাভারতের ভীষ্মপর্বে। সঞ্জয় যখন ধৃতরাষ্ট্রকে কুরুক্ষেত্রর যুদ্ধের লাইভ রিলে করছিলেন, তখন যুদ্ধের কমেন্টারির ফাঁকে-ফাঁকে সমগ্র জম্বুদ্বীপ, আকাশের গ্রহ-নক্ষত্র ইত্যাদি নিয়েও অনেক কিছু বলছিলেন।’

শুভময় মিত্র

মিছিল ম্যাজিক

‘প্রবল পরিস্থিতির চাপে নতিস্বীকার না করে নিজেদের শিরদাঁড়া শক্ত রেখে মনুষ্যত্বের প্রতি সমর্থনে অন্য মানুষের ভূমিকা, রিল নয়, রিয়েল লাইফে দেখলাম একের পর এক এগিয়ে আসা, মধ্যরাতের স্লোগান-মুখরিত মিছিলগুলোয়। অনেকে সঙ্গে আনলেন নাবালক-নাবালিকা সন্তানদের।’

তপশ্রী গুপ্ত

ডেটলাইন : পর্ব ৫

‘প্রাণ থাকে কি না সন্দেহ। মর্টারের আঘাতে প্রাচীন বাড়ির কোনদিক ধুসে পড়বে কেউ বলতে পারে? গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কাঁপছে সবাই। কথা বলার শক্তিও নেই। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছি আমরা ক’টি প্রাণী, পরস্পরের দিকে।’

বিজলীরাজ পাত্র

যৌনসুখ, ‘সাইজ’, নৈতিকতা

‘ইন্দ্রপাদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল, কেমন করে যৌনসুখের জন্য লিঙ্গদৈর্ঘ্য এবং রন্ধ্র/ছিদ্রপথের দৈর্ঘ্য মেপে গড়া হবে যথাযথ জুটি। আর সেখানে ভারতচন্দ্র যৌনসুখের প্রস্তাব করতে গিয়ে সুখের পথটাকেই ছেঁটে বাতিল করলেন।’

সোহম দাস

‘মৈত্রী’ই যখন লক্ষ্য

‘সচেতনভাবে রবীন্দ্রনাথকে ছাড়তে চাননি, রবীন্দ্রনাথকে ভাঙিয়ে খ্যাতি কি না, প্রশ্নের উত্তরে অকপটে স্বীকার করতেন, ‘উনি ছাড়া আমার খ্যাতি কী করে হবে!’ মৈত্রী-রক্ষায় তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম কিংবা খেলাঘর গড়ে তোলা, সবই যেন ওই স্বীকারোক্তিটির স্পর্ধাতেই ভাস্বর।’