

সবুজ মানুষ
‘আমরা সবুজ মানুষ নই। তাই ছিনিয়ে খেতে হয় আমাদের, অন্যকে মেরে খেতে হয়। কিন্তু কারও কারও বুকের ভিতর সবুজ বাঁচে।’
‘আমরা সবুজ মানুষ নই। তাই ছিনিয়ে খেতে হয় আমাদের, অন্যকে মেরে খেতে হয়। কিন্তু কারও কারও বুকের ভিতর সবুজ বাঁচে।’
‘নীল অনেক রকমের হয়। কিন্তু নীলের মধ্যে এত রকমের অন্য রঙের সমাহারও যে তাকে নীলই করে তুলতে পারে, তা আমার কল্পনায় ছিল না। আর সে তো কেবল মেঘের পরতে ঢাকা সামান্য বা সাধারণ বা স্বাভাবিক আকাশ নয়।’
‘যে-ফুলের অনুষঙ্গে স্বয়ং প্রেমের দেবীর শরীরের রক্ত লেগে আছে, সেই ফুল যে প্রেমের প্রতীক হয়ে উঠবে সে আর আশ্চর্যের কী! কিন্তু গ্রিক আর রোমান সভ্যতাও একদিন মিশে গেল ধুলোয়।’
‘‘অবসাদ’ শব্দটা কীভাবে হলুদ রং তৈরি করল, ভাবুন! এই অবসাদ শুধু ধান নয়, ক্রমশ পাকিয়ে তোলে কবির জীবনও; নিঃসঙ্গতা যেখানে প্রজাপতির মতো এসে বসে। ম্লান হলুদ রঙে আঁকা হয় সেই জীবনপট।’
‘বাঙালির সাফল্যের দ্যোতকও অন্যের ঈর্ষা। কাউকে এসে যদি লোকে বলে, আপনাকে দু’হাজার জন ঈর্ষা করে, আর কাউকে বলে আপনার প্রতি ঈর্ষালু সাতাত্তর জন, দ্বিতীয় লোকটা মুষড়ে ঘষটে বিড়ি-অবশেষ।’
‘গানের সূত্রে কত মানুষের কাছে এসেছেন! অথচ এই মানুষটি আস্তে-আস্তে তাঁর গায়ক পরিচয়টি ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন। গান তাঁর সঙ্গে থাকল ঠিকই, কিন্তু আমরা শ্রোতারা তার সঙ্গী হতে পারলাম না। কেন এই দূরে চলে যাওয়া?’
‘চণ্ডী লাহিড়ীর মতে, ‘কার্টুনিস্ট সংবাদপত্রে থাকেন একজন, বড়জোর দুজন। কাজেই কার্টুনিস্টকে মার খেতে হয়। তিনি সংখ্যালঘু। …সংখ্যায় তিনি একক, রিপোর্টার কয়েক ডজন। সাব এডিটর কয়েক ডজন, ফটোগ্ৰাফার কয়েক ডজন কিন্তু কার্টুনিস্ট একেবারে একা।’’
‘মার্চ মাসের এই দু’টি দিন বাংলার নটচঞ্চুদের হুট করে কেয়া চক্রবর্তীর কথা মনে পড়ে, ‘আহা, উনি কত মহান নাট্যশিল্পী ছিলেন’ বলে দু-লাইন লেখা হয় ফেসবুকের দেওয়ালে, আবার তারা গোটা ঘটনাটা ভুলে যায়।’
‘টেলিভিশনে কাজ করার একটা বিষয় আছে ঠিকই, যে, সেখানে দীর্ঘদিন একটিই চরিত্র, একটিই গল্পের মধ্যে বাস করতে হয়। কম বয়সে সত্যিই মনে হত, মনোটনিটা ঘিরে ধরছে, একটেরে হয়ে উঠছে জীবন।’
‘আমরা আহত, ক্ষতবিক্ষত প্রজন্ম। উত্তাল নৃত্যরত সময় আমাদের দুলিয়ে দুলিয়ে ছন্দিত করেছে, আবার আঁচড়ে-কামড়েও দিয়েছে, আগুনের ছ্যাঁকাও লেগেছে।’
‘রুথ হ্যান্ডলার তার মেয়ের পুতুলখেলার শখ পূরণ করতে বানালেন এক দীর্ঘদেহী, প্রাপ্তবয়স্কা নারীর অবয়ব। নাম দিলেন নিজেরই মেয়ের নামে; বারবারা মিলিসেন্ট রবার্টস— ডাকনামে, বার্বি।’
‘সোভিয়েত এয়ারফোর্সের প্রাক্তন সিনিয়র লেফটেন্যান্ট, কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ইউরি গ্যাগারিন ১০৮ মিনিট ধরে নীলগ্রহের চারপাশ ঘুরে এসে সগর্বে ঘোষণা করলেন— ‘আমি ভাল আছি।’’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.