শ্রীজাত

শ্রীজাত

অনিবার্য, অনপনেয়, অনন্য

সে তবে এমনই লেখা, তাকে ছাড়া আমার জীবনের নানা মোড়, নানা মুহূর্ত, নানা অভিঘাত বা নানা অনুভূতি অচল। আনন্দে বা অসুবিধেয় তবে বন্ধুর মতো তাকেই আমি জড়িয়ে ধরতে চাই। সে-লেখা তবে অনিবার্য, অনপনেয়, অনন্য। অতএব তার কাছে ফিরতেই হবে।

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ২২

উৎপলকুমার বসু বাংলা ভাষার এমন একজন কবি যাঁর ভাষার গঠন, ভঙ্গিমা এমন অনন্য যে তাঁর কবিতা-ধারা অনুসরণ করে লেখা সম্ভবই নয়। তাঁর দর্শন, রাজনীতিবোধ, ভাষার চলনকে তিনি এমন ভাবে বইয়েছেন যে তাঁর কোনও পূর্বসূরি নেই আর তাঁর কোনও উত্তরসূরি তৈরি হয়নি।

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল : পর্ব ২২

‘ওই একা-একা, মুখ নীচু, জলের গায়ে নিজের ছায়াভাঙা মেয়েটি সারা গায়ে পরে ছিল সাদা মনখারাপের পোশাক। আমরা কেউ চিনতে পারিনি। আর চিনতে পারিনি ওই শীতল গলার এক-বাক্যের মানে— ‘জানি না রে। ভাল লাগছে না কিছু।’’ অনুতাপের স্মৃতি।

শ্রীজাত

দূরপাল্লা: পর্ব ৫

ইতালি ভ্রমণের শেষ তিন দিন এমন আশ্চর্য় মুগ্ধতা অনুভব করেছিলাম যে, মুগ্ধতার ওভারডোজে খানিক মাথা ঝিমঝিম করছিল। প্রথম দিন পিসার হেলানো টাওয়ার, দ্বিতীয দিনে মিকেল অ্যাঞ্জেলোর ভাস্কর্য ডেভিড এবং তৃতীয় দিনে ভ্যাটিক্যান সিটির সেন্ট ব্যাসিলিকা।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ২২

‘তখনও সে মৃত নয়, তার নামে চিঠি যদি আসে/ কোথাও আড্ডায় যদি নাম ওঠে, তাহলে জীবিত।/ সকলের কথা জমে পৃথিবীর কোনও শেষ মাসে/ সময় পিওনমাত্র, যে পুরনো চিঠি এনে দিত।’ নতুন কবিতা।

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ২১

বিনয় মজুমদার, কেবল বাংলা কবিতা জগতে নন বরং বাংলা ভাষা গঠনের ক্ষেত্রেও এক অনন্য স্তম্ভ। তাঁর রচিত দৃশ্যকল্প দৃঢ় অথচ মর্মস্পর্শী। এ কবির রচনায় উপস্থিত দার্শনিক ও জৈবনিক তত্ত্ব। তাঁর মায়াময় কিন্তু অপার বিস্তৃত লেখার কাছে বার বার নতজানু হতে হয় আমাদের।

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল : পর্ব ২১

‘আমরা তিন ভাইবোন আর থাকতে না-পেরে উঠে গিয়ে বসার ঘরের পর্দা সরিয়ে উঁকি দিয়েছি। কাজটা ঠিক হচ্ছে না জেনেও দিয়েছি। আর তখনই তাঁর চোখ পড়েছে আমাদের অপরাধী মুখগুলোর দিকে। পড়ামাত্র, হাতের নরম ইশারায় তিনি ডেকেছেন আমাদের।’ সুরের সংযোগ।

শ্রীজাত

দূরপাল্লা: পর্ব ৪

ইউরোপের সালসবুর্গে ঘোরার ক্ষেত্রে একটা জায়গা বেছে নিতে হত— হয় সাউন্ড অফ মিউজিকের সফর নয়তো মোৎজার্টের বাড়ি। আমরা বেছেছিলাম দ্বিতীয়টা। তারপর গেলাম ইবেনসি বলে এক অজ পাড়াগাঁয়ে। ছবির মতো প্রকৃতি আর আতিথেয়তা ভরিয়ে দিয়েছিল আমাদের।

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ২০

অরুণ মিত্র, এমন একজন কবি, যিনি আমাদের আয়ু চেনান, নক্ষত্র চেনান, বিস্তার চেনান। তাঁর কবিতায় উত্তাল নাগরিকতার সঙ্গে সহাবস্থানে থাকে শান্ত প্রকৃতি। আর নিভু স্বরে থাকে অনুচ্চকিত প্রতিবাদ। তিনি হঠাৎ শেষ করে দিতে পারেন তাঁর কবিতা, কোনও মার্জনা না চেয়েই।

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ২০

‘রাত্তিরে খাওয়া-দাওয়ার পর টেলিভিশন বন্ধ করে সকলে যখন শুয়ে পড়ত, আমি একলা পায়ে উঠে চুপিচুপি এসে দাঁড়াতাম ওই স্তব্ধ টেলিভিশন সেটের সামনে। তার কাঠের টানাপর্দায় হাত রেখে নিজের বিস্ময় ঝালিয়ে নিতাম।’ অচেনার আকর্ষণ।

দূরপাল্লা: পর্ব ৩

২০১৭ সাল। দ্বিতীয়বারের জন্য লন্ডন যাওয়া। নেহাতই ছুটি কাটানোর উদ্দেশ্য। প্রথমবার যা যা দেখা হয়নি, তার কিছু যদি দেখা যায়! ভাবতে-ভাবতেই প্রথম যা মাথায় এল, তা শেক্সপিয়রের বাড়ি! এই পর্বে রইল সেই অভিজ্ঞতার গল্প।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ২০

‘অচল টাকার মতো ভাল লাগে তোমাকে, আমার/
চালাতে পারি না কিন্তু ফেলেও পারি না দিতে ঠিকই
স্মৃতি বড় মুদ্রাদোষ,/ প্রীতি বড় ক্ষয়উপহার/
বাজারের কাছ থেকে ইদানীং ভালবাসা শিখি’। নতুন কবিতা।