

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ২৪
বাংলা কবিতার জগতে ভাস্কর চক্রবর্তী এক বহতা নদী। যে নদীতে ডুব দেওয়া যায়, আঁজলা করে ছিটিয়ে আত্মা ভেজানো যায়, আবার আনমনে বসে থাকা যায় পাড়ে, কিন্তু সে নদী নিচু স্বরে অথচ তীব্র অভিঘাত নিয়ে বয়ে চলে ঋদ্ধ করে তোলে দুই কিনারা।
বাংলা কবিতার জগতে ভাস্কর চক্রবর্তী এক বহতা নদী। যে নদীতে ডুব দেওয়া যায়, আঁজলা করে ছিটিয়ে আত্মা ভেজানো যায়, আবার আনমনে বসে থাকা যায় পাড়ে, কিন্তু সে নদী নিচু স্বরে অথচ তীব্র অভিঘাত নিয়ে বয়ে চলে ঋদ্ধ করে তোলে দুই কিনারা।
ভরা বসন্তে চলত আমাদের দেদার রিহার্সাল। আর সেই রিহার্সালের আনন্দ, মজা বা রোমাঞ্চ খোদ অনুষ্ঠানের চেয়ে ছিল ঢের বেশি। ছোটদের নাটক যে প্রতিবার হতো, এমনটা নয়। কিন্তু এক কি দু’খানা সমবেত সংগীত থাকতই। সেও কি কম আনন্দ? বসন্তের অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানের সুবাদে ২০১৮ সালে সৌভাগ্য হয়েছিল লিভারপুল যাওয়ার। আর লিভারপুলের বিট্লস মিউজিয়ামে গিয়ে আশ্চর্য এক আত্মীয়তা অনুভব করেছিলাম। বাড়ির বিভিন্ন ছোট ছোট ঘরে আটপৌরে ভাবে সাজানো রয়েছে বিট্লস-এর বিট্লস হয়ে ওঠার আখ্যান।
‘হাওয়া ঢুকে আসে বন্ধুর মতো। আসলে শত্রু/বয়ে আনে কার মনখারাপের না-মেলা অঙ্ক/
পাটিগণিতের হাত খোয়া গেছে, হে মধুসূদন/বাঁচাতে পারেনি সুভাষ, সুনীল, শক্তি, শঙ্খ।’ কয়েকটি কবিতা
দেবারতি মিত্রর মতো শক্তিশালী কবি বাংলা সাহিত্যে খুব কমই আছেন। তাঁর কবিতার আশ্চর্য চলন তাক লাগিয়ে দেয় পাঠককে। তাঁর কবিতা নিয়মমাফিক অন্তের দিকে যায় না। অপূর্ণ থেকে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু সেই অপূর্ণতার প্রাপ্তি অশেষ। আর তাঁর উপমাগুলি তারঁই মতো অনুপমা।
‘আলোবদলের খেলা/ বিকেল শেখার নিচু ক্লাস/ গ্রামীণ বিষাদ বিক্রি, এইসব ধুলোহাট নিয়ে/ এসেছি তোমার কাছে, গরিবের প্রজাপতিমাস ‘– কয়েকটি নতুন কবিতা
লস এঞ্জেলস-এ কাটানো একটি রাত সারা জীবন আমায় জাগিয়ে রাখবে। যে বাড়িতে ছিলাম, সেটাকে আর্ট মিউজিয়াম বললে ক্ষতি হবে না। বাড়িটি একজন বাঙালির। সেখানে একই সঙ্গে বিরাজ করছে রবীন্দ্রনাথ আর ক্ল্যঁদ মনে-র অরিজিনাল ছবি। রঁদ্যার ভাস্কর্য আর রামকিঙ্করের জলরং।
সে তবে এমনই লেখা, তাকে ছাড়া আমার জীবনের নানা মোড়, নানা মুহূর্ত, নানা অভিঘাত বা নানা অনুভূতি অচল। আনন্দে বা অসুবিধেয় তবে বন্ধুর মতো তাকেই আমি জড়িয়ে ধরতে চাই। সে-লেখা তবে অনিবার্য, অনপনেয়, অনন্য। অতএব তার কাছে ফিরতেই হবে।
উৎপলকুমার বসু বাংলা ভাষার এমন একজন কবি যাঁর ভাষার গঠন, ভঙ্গিমা এমন অনন্য যে তাঁর কবিতা-ধারা অনুসরণ করে লেখা সম্ভবই নয়। তাঁর দর্শন, রাজনীতিবোধ, ভাষার চলনকে তিনি এমন ভাবে বইয়েছেন যে তাঁর কোনও পূর্বসূরি নেই আর তাঁর কোনও উত্তরসূরি তৈরি হয়নি।
‘ওই একা-একা, মুখ নীচু, জলের গায়ে নিজের ছায়াভাঙা মেয়েটি সারা গায়ে পরে ছিল সাদা মনখারাপের পোশাক। আমরা কেউ চিনতে পারিনি। আর চিনতে পারিনি ওই শীতল গলার এক-বাক্যের মানে— ‘জানি না রে। ভাল লাগছে না কিছু।’’ অনুতাপের স্মৃতি।
ইতালি ভ্রমণের শেষ তিন দিন এমন আশ্চর্য় মুগ্ধতা অনুভব করেছিলাম যে, মুগ্ধতার ওভারডোজে খানিক মাথা ঝিমঝিম করছিল। প্রথম দিন পিসার হেলানো টাওয়ার, দ্বিতীয দিনে মিকেল অ্যাঞ্জেলোর ভাস্কর্য ডেভিড এবং তৃতীয় দিনে ভ্যাটিক্যান সিটির সেন্ট ব্যাসিলিকা।
‘তখনও সে মৃত নয়, তার নামে চিঠি যদি আসে/ কোথাও আড্ডায় যদি নাম ওঠে, তাহলে জীবিত।/ সকলের কথা জমে পৃথিবীর কোনও শেষ মাসে/ সময় পিওনমাত্র, যে পুরনো চিঠি এনে দিত।’ নতুন কবিতা।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.