

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ৩২
‘আমি পানশালা থেকে বেরিয়ে,/ হাসপাতাল থেকে মুখ ঘুরিয়ে/
কী এক অলীক কৌশলে নেমে পড়ছি সেখানে
আর ভুলে যাচ্ছি,/
বিস্মৃতি ও ছলনা ছাড়া নতুন সভ্যতা হয় না।’
‘আমি পানশালা থেকে বেরিয়ে,/ হাসপাতাল থেকে মুখ ঘুরিয়ে/
কী এক অলীক কৌশলে নেমে পড়ছি সেখানে
আর ভুলে যাচ্ছি,/
বিস্মৃতি ও ছলনা ছাড়া নতুন সভ্যতা হয় না।’
পার্থের সাহিত্যবাসর থেকে সিডনির জাদুঘর ভ্রমণ— সেবারের বসন্ত নিয়ে এসেছিল নবীন পাতা, নতুন আলাপ। এতবার যাওয়া হল; তবু বিমূর্ত শিল্পকলার মতো প্রতিবারই নতুন করে চেনা হয় সেই দেশ, নতুন মানে খুঁজে পাওয়া যায় ভ্রমণের, জীবনের!
‘কারও হয়তো বইয়ের দোকান, কেউ চালান মুদিখানা। কিন্তু কালীপুজোর দশ দিন আগে থেকে সকলের দোকানের বাইরেই বাজির ছোটখাটো সম্ভার। আর তখন বই হোক বা মুসুর ডাল, সবকিছুর চেয়ে বাজি বিক্রি হত বেশি।’
শুধু কবি, সমাজকর্মী, ইতিহাসবিদ-ই নন, হলিউডের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা পরিচালকও তিনি। তাঁর কলমের জাদুতে আচ্ছন্ন আমরা— সেই মায়া কাটবার নয়! এবারের পর্বে তাঁকে নিয়েই আড্ডা, তিনি মায়া এঞ্জেলো।
‘মলিনতা ফিরে আসে। যেন-বা দেজাভু।/ যেরকম লিখেছেন শ্রীশরৎবাবু,/ তেমন অতীত পেলে ভালবাসা হত/ সহজিয়া, অনাবিল, বাঁধুনিতে ছোট। অথচ ভেতরে কেউ কথা বলে। কাঁদে।/ নিজেকে পড়েছি আমি ভুল অনুবাদে।’
‘কবির সঙ্গে দেখা’ আদতে কবির লেখার ভিতর দিয়ে তাঁকে চেনা, তাঁরই চোখ দিয়ে এই জীবনকে নতুন করে পাওয়া। কিছুটা নির্জনতা, কিছুটা শ্লেষ আর কিছু বিষাদ ছুঁয়ে থাকে প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত-র কলম, যার মধ্যে দিয়ে ফুটে ওঠে তাঁর সমাজচেতনা, তাঁর গভীর জীবনবোধ।
‘বিরহের কারখানা, আদরের ক্ষেত/
তোমার শরীর, যেন চিরসোভিয়েত।/
আমি দূরাগতপ্রাণ, রুটিপ্রিয়পাখি/
অলীকের প্রত্যাশায় বুঁদ হয়ে থাকি।’
‘ঠিক তার পরের বছর পুজোয় সুনীলদা চলে গেলেন। কে জানে, দূরদ্রষ্টা হন তো সার্থক কবিরা, হয়তো অত আগে থাকতেই নিজের বিদায়ের পথটুকু চিনে নিতে পেরেছিলেন, আর তারই মানচিত্র সেদিন ফুটে উঠেছিল ওই কবিতায়।’
শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের এমন অনেক কবিতা আছে, যা এখন তত পঠিত বা আলোচিত নয়। তাঁর জনপ্রিয় কবিতাগুলির মধ্যে যে অহরহ ম্যাজিক আছে, তা হয়তো এই কবিতাগুলির মধ্যে নিয়ন্ত্রিত, ঈষৎ চাপা। যদি সেই জাদু ছোঁয়া না যায়, তা হলে আমাদের ক্ষতি।
‘হলুদ দোতলা বাড়িগুলি ভাল লাগে।/ ভাল লাগে তাদের বারান্দা থেকে মেলে রাখা কাপড় ও দুশ্চিন্তারাশি/
এত বাতাস দেয় এখানে যে গাড়িঘোড়া উড়ে যেতে চায়/ তাদের দ্বিধা ও গতিপথ নিয়ে।’
যাব না, যাব না— করলেও পুরীর সমুদ্রের হাতছানি এড়ায় কার সাধ্যি। কোনও ছক কষে নয়, বরং ভ্রমণপিপাসু বাঙালি-র কাছে পুরী-দার্জিলিং বছরনামচার বাধ্যতামূলক অ্যাটেনডেন্স।
‘তখন চারপাশে এত বেশি আলো ছিল না বলেই হয়তো সন্ধেবেলার ছাদকে বড্ড মোহময় আর আন্তরিক মনে হত। তার ওপর লোডশেডিং হলে তো কথাই নেই। অন্ধকার একটা পাড়াকে চারপাশে বিছিয়ে নিয়ে হালকা ঠান্ডা হাওয়ায় গা ভাসিয়ে আড্ডা।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.