

ডেটলাইন : পর্ব ১৫
‘সাগরপাড়েই রয়েছে কলম্বাস পার্ক ওপেন এয়ার মিউজিয়াম। এখানে সাজানো ওই নোঙরটা কি সত্যিই কলম্বাসের? ভাবলাম, কলকাতার জাদুঘরে যদি মিশরের মমি থাকতে পারে, তাহলে ডিসকভারি বে-তে কলম্বাসের নোঙর তো অবিশ্বাস্য কিছু নয়!’
‘সাগরপাড়েই রয়েছে কলম্বাস পার্ক ওপেন এয়ার মিউজিয়াম। এখানে সাজানো ওই নোঙরটা কি সত্যিই কলম্বাসের? ভাবলাম, কলকাতার জাদুঘরে যদি মিশরের মমি থাকতে পারে, তাহলে ডিসকভারি বে-তে কলম্বাসের নোঙর তো অবিশ্বাস্য কিছু নয়!’
‘রীতিমাফিক সেদিনও সেই ছাত্রীরা ফার্স্ট বেঞ্চার। মৃতদেহের ঠিক পাশেই ওরা রয়েছে। চার-পাঁচটা সারি পিছিয়ে আমরা দাঁড়িয়ে। ফলে, গন্ধের আক্রমণটা মূলত ওদের ওপরেই হল। আর ওরাও, প্রায় পটাপট অজ্ঞান হতে শুরু করল।’
‘প্রতিদিন সকালবেলা মাইতি, ঘোষ বা চ্যাটার্জিদা-রা পড়ি-কী-মরি করে ট্রেন ধরেন দত্তপুকুর বা পায়রাডাঙা থেকে, ট্রেনে তাঁদের ফোন বেজে উঠলে তাঁরা জানেন, এইবার হিন্দি ভাষায় তাঁদের নির্দেশিকা অথবা গালি শুনতে হবে ওপরমহল-এর কাছ থেকে।’
‘যদি কারও মনে হয়, এই আড্ডা শুধুই নেশার চক্কর— তাহলে একেবারে ভুল হবে। লেখা, মানে কবিতা প্রায় রোজই পড়া হত। সোমকের মুচমুচে, পার্থর অসামান্য গদ্য শুনেছি।’
‘ভাই সাট্টা তো লো ক্লাসের খেলা। তুমি খেলবা ক্যান? তোমরা উচ্চ বংশ। ব্রিজ খেলো। বুদ্ধি থাকলে জিতবা। আমি যে নো ক্লাসে বিলং করি, তা তাকে কী করে বোঝাই? তিনি কিছুতেই খেলা শেখালেন না, শুধু বললেন, তোমাদের ক্লাসের লোকের নম্বর আইব না।’
‘রোগীর ছেলে আমার হাতে একশো টাকার নোট গুঁজে দিয়ে বলল, ‘বহোত শুকরিয়া সাব।’ মনে আছে, খুব রেগে গিয়েছিলাম। ছেলেটিকে ধমক দিয়ে বলেছিলাম, ‘ডাক্তারি করার জন্য সরকার থেকে আমাকে মাইনে দেয়। তুমি টাকা দেওয়ার কে হে?’’
‘অ্যালার্ম বাজিয়ে রোবটের মতো পিচুটিভরা বন্ধ চোখে কোনরকমে নিজেকে সজীব করার প্রাণান্তকর চেষ্টা করে দৌড়াতাম। সোমবার সংসদের অধিবেশন। অধিবেশন বসবে এগারোটায়। কিন্তু পৌঁছে যেতে হয় সকাল দশটায়।’
‘অদূরে গঙ্গায় তখন ভাসছিল পাকিস্তানি বিমানটির ছিন্ন একটি ডানা, অন্যান্য যন্ত্রাংশ, আর ভাসছিল গ্যাস সিলিন্ডারের মতো লাল কী একটা যেন, মোটরচালিত নৌকোয় এসে বারাকপুরের আমাদের সেনারা, আর গঙ্গার দু’পাড়ে মুহুর্মুহু করতালি দিচ্ছিলেন অগণন মানুষ।’
‘যাঁকে দিয়ে অভিনয় করাতে চাইতেন, তাঁর কথাবার্তার স্টাইল, ম্যানারিজম খুব মন দিয়ে, নীরবে লক্ষ করতেন। পরবর্তীতে বুঝেছি, সেজন্যই রোববারের আড্ডায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রথমে।’
‘আমায় সমরেশ জেঠু আরও ভেতরে নিয়ে গেলেন। অনেকগুলো সার-সার মেশিন বসানো। সেই মেশিনের পর্দায় রঙিন-রঙিন ছবি ফুটে উঠছে। রঙিন-রঙিন মানুষ সেই মেশিনের সামনে বসে একটা সুইচ টিপে চলেছে।’
গোটা গ্রিনল্যান্ড কিনে নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? দেশ কি তবে এবার বিকিকিনির বাজারের পণ্য হয়ে উঠবে? ভাড়াও নেওয়া যাবে দেশ? তবে দেশ কেনাতেই আটকে থাকবে কেন? মানুষ-সংস্কৃতি সবই কিনে নেবে হয়তো! দখলরির নতুন ব্যাকরণ তৈরি হল বলে!
‘সর্বভারতীয় নেতা, দিল্লি থেকে এসে একজন চিকিৎসককে দিয়ে আমাকে ফোন করালেন, পার্টি অফিসে গিয়ে তাঁকে দেখে আসার জন্যে। যেতে অস্বীকার করলাম, বললাম, চেম্বারে আসতে বলুন, দেখে দেব, এত রোগীকে বসিয়ে রেখে যাওয়া সম্ভব নয়।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.