খুচরো খাবার: পর্ব ১১
‘১৬ নং. বস্তির মুদির দোকান পেরিয়ে যখন বড় শহরে ঘোরাফেরি করেছি, কচুভাজা খেতে ইচ্ছে হলে সেটা প্রায় অবিচ্ছিন্নভাবে খুঁজে পেয়েছি ‘নন-মেঙ্গলি’ দোকানে; এবং একটা বিশেষ আর্থসামাজিক স্তরের দোকানে।’ কচুভাজা-কাহিনি।
‘১৬ নং. বস্তির মুদির দোকান পেরিয়ে যখন বড় শহরে ঘোরাফেরি করেছি, কচুভাজা খেতে ইচ্ছে হলে সেটা প্রায় অবিচ্ছিন্নভাবে খুঁজে পেয়েছি ‘নন-মেঙ্গলি’ দোকানে; এবং একটা বিশেষ আর্থসামাজিক স্তরের দোকানে।’ কচুভাজা-কাহিনি।
এ ইতিহাসের মৃত্যু, শিক্ষার মৃত্যু, স্পষ্টতার মৃত্যু ও সর্বোপরি, স্পর্ধার মৃত্যু। যে স্পর্ধা ছাত্রদের জন্য নিজে বুক পেতে ব্যারিকেড গড়ায় ছিল, যখন দুষ্কৃতীরা হুমকি দিয়েছিল। যে স্পর্ধা অতি কঠিন পৃথিবীতে বন্ধুত্বের দুঃসাহস দেখাত, ছাত্রদের ভালবেসে ‘অপদার্থ’ বলে সম্বোধন করত।
শুরু হচ্ছে নতুন ভ্লগ— দূরপাল্লা। না, কেবল বেড়ানোর ভ্লগ নয়। ভাললাগা, অভিজ্ঞতা, উত্তেজনা, মেদুরতা আর ভিন্ন যাপনের কাহিনি। নিজের খোঁজ অন্য ভাবে, অন্যকে খুঁজে নেওয়া নিজের মতো করে। বার বার যা অসীমের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়, বার বার মনে করিয়ে দেয় বিশালতার কথা।
‘শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পীদের বিভিন্ন প্রজন্মকে অনুষ্ঠান বা সঙ্গীতমেলায় গাইবার-বাজাবার সুযোগ পেতে বিভিন্ন রকম স্ট্র্যাটেজি বানাতে হয়েছে, কারণ একের পর এক অনুষ্ঠান বা কনসার্টের আমন্ত্রণ আসছে, এই ধরনের তারকা শিল্পী কেবল হাতেগোনা কয়েকজনই হন। বাকিদের নিজেরটা নিজেই বুঝে নিতে হয়, যেমন যুগের পর যুগ ধরেই হয়েছে।’
‘ছবিটি গোটা সময় শুধু যৌনতা বিষয়ে কথা বলে না, মা-সন্তানের সম্পর্ক নিয়েও বলে (মনে রাখতে হবে, যৌনকর্মীটি মহিলার ছেলের বয়সি), … কিন্তু এসব সহ-প্লট ছাড়িয়ে ও পেরিয়ে, ছবিটা শেষ অবধি বলে, তোমার জীবনের প্রার্থিত আনন্দ নিয়ে তুমি লজ্জিত হয়ো না, বরং যেভাবে পারো (অন্যকে কষ্ট না দিয়ে) তা জোগাড় করো।’ জীবনের শর্ত।
ক্রিয়েটিভ আইডিয়া এক্সচেঞ্জ? এমনটাও হয় নাকি? অ্যান্টনি গেল ঘাবড়ে! ওদিকে টম-এর উৎসাহের শেষ নেই। সে যাবেই। যে-মেয়েটি তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে, সে আবার নাকি অ্যান্টনির প্রতি দুর্বল! অবশেষে ওরা গেল রঞ্জন-রিঙ্কুর বাড়ি। কিন্তু কী এক্সচেঞ্জ হল সেখানে?
যত আমরা চালানের মাধ্যমে আমদানি করা খাবার খাব, তত আমাদের খাওয়ার মাধ্যমে পৃথিবীর আবহমণ্ডলে কার্বন ছড়াবে বেশি, তার থেকে তৈরি গ্রিনহাউস গ্যাস আটকে থাকবে ভূমণ্ডলে। বাংলাদেশ থেকে আমদানি পদ্মার ইলিশ খাবেন? জানবেন, সেই ইলিশের ‘কার্বন ফুটপ্রিন্টে’ মিশে থাকবে সমুদ্রগামী ইলিশ-ট্রলারের সঙ্গে চাঁদপুর থেকে কলকাতার সড়কপথে ট্রাকের ব্যবহৃত ডিজেল, কাজেই সেই ইলিশের পেটিটি কিয়ৎ আপরাধবোধ ছাড়া মুখে তোলা যাবে না।
সেসব দিনকালে ছোট ছোট পাড়াগুলোয় সন্ধের পর শব্দ-আওয়াজ তেমন হতো না। কয়েক বাড়িতে টিভির আওয়াজ, কোথাও রেডিও নাটক চলছে, আবার কিছু বাড়ির জানলায় নিয়মমাফিক গলা সাধা। সেসব আমাদের কানে আসত রোজই, মন্দ লাগত যে, এমনও নয়। কানে আসত আরও একটা স্বর। বিশেষত, সন্ধের পর বা রাতের দিকে লোডশেডিং হলেই শুনতে পেতাম, দিলীপ জেঠুদের বাড়ির জানলায় বেহালা বাজছে। স্মৃতির সুর বেয়ে।
‘আস্ত একটা ইলেকট্রিফায়েড, দুম্বো গাড়ি যাত্রী-সহ ঝলসে উঠলে সিনেমার মতো হবে। মরা লোক দোষ দিতে পারবে না উপদেশদাতাকে। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে মাঠে এক-আধটা গরু-ছাগল বজ্রাহত হয়। তার সঙ্গে এর কোনও তুলনা হয় না কি? অনেকেই ফোন বের করে তৈরি আছে, ভিডিও করবে।’ অদ্ভুত হুজুগ।
জুলাই মাসের খামখেয়ালি আকাশের সঙ্গে যেন সুর মিলিয়ে শহরে চলছে ভিজুয়াল আর্টের একটা ক্যালেইডোস্কোপ । দেখানো হচ্ছে বাংলাদেশের আলোকচিত্র-শিল্পী, সাংবাদিক, ও সমাজকর্মী শহিদুল আলমের মনকাড়া মানবজীবন গাথা; রয়েছে সোমনাথ হোড়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ রেট্রোস্পেক্টিভ; তাছাড়াও থাকছে গোন্ড জনজাতির বৃক্ষ পূজা করার আচার-অনুষ্ঠানের নিদর্শন স্বরূপ নানা রঙের অপরিসীম উচ্ছ্বাস। শিল্পে কলকাতা, জুলাই ২০২২।
‘ গণতন্ত্রকে যে উদার হতে হয়, রিফ্লেক্স-অ্যাকশনের ঊর্ধ্বে উঠে প্রসারিত হৃদয়বৃত্তি অনুশীলন করতে হয়, বিরোধকে অত্যাচার দিয়ে নয়— যুক্তি ও সহিষ্ণুতা দিয়ে মোকাবিলা করতে হয়, এসব ধারণা এদেশে ন্যাকা আঁতেল উদ্ভট ধোঁয়াটে। তাহলে এ-ভূখণ্ডের চিহ্ন কিঞ্চিৎ উদাসীন সিংহ হলে, তাতে তো সত্যের অল্প অপমান। তাদের তো খান্ডার থাবড়াময় হতেই হবে।’
‘অমানবিক কাজের ধরনের জন্যই মানসিক অবসাদে ভুগছেন বহু কর্মী, কাজের বাইরের জীবন থেকে তাঁরা বিচ্যুত : পরিবার, বন্ধু, আত্মীয়, ভালবাসার মানুষ, বৃহত্তর জগৎ— সব থেকেই। এই বীভৎস চেহারায় বহু সংস্থা আবার আশা রাখছেন, কর্মীদের কর্মক্ষমতা, কাজে নিপুণতা, মনঃসংযোগ ইত্যাদি বাড়বে। আমার ভয় করছে!’ বর্তমানে কাজের ধরন।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.