কলাম

হেঁসেলের হিস্সা: পর্ব ১৮

যত আমরা চালানের মাধ্যমে আমদানি করা খাবার খাব, তত আমাদের খাওয়ার মাধ্যমে পৃথিবীর আবহমণ্ডলে কার্বন ছড়াবে বেশি, তার থেকে তৈরি গ্রিনহাউস গ্যাস আটকে থাকবে ভূমণ্ডলে। বাংলাদেশ থেকে আমদানি পদ্মার ইলিশ খাবেন? জানবেন, সেই ইলিশের ‘কার্বন ফুটপ্রিন্টে’ মিশে থাকবে সমুদ্রগামী ইলিশ-ট্রলারের সঙ্গে চাঁদপুর থেকে কলকাতার সড়কপথে ট্রাকের ব্যবহৃত ডিজেল, কাজেই সেই ইলিশের পেটিটি কিয়ৎ আপরাধবোধ ছাড়া মুখে তোলা যাবে না।

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ জিয়া নস্টাল: পর্ব ১৭

সেসব দিনকালে ছোট ছোট পাড়াগুলোয় সন্ধের পর শব্দ-আওয়াজ তেমন হতো না। কয়েক বাড়িতে টিভির আওয়াজ, কোথাও রেডিও নাটক চলছে, আবার কিছু বাড়ির জানলায় নিয়মমাফিক গলা সাধা। সেসব আমাদের কানে আসত রোজই, মন্দ লাগত যে, এমনও নয়। কানে আসত আরও একটা স্বর। বিশেষত, সন্ধের পর বা রাতের দিকে লোডশেডিং হলেই শুনতে পেতাম, দিলীপ জেঠুদের বাড়ির জানলায় বেহালা বাজছে। স্মৃতির সুর বেয়ে।

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ: পর্ব ১৫

‘আস্ত একটা ইলেকট্রিফায়েড, দুম্বো গাড়ি যাত্রী-সহ ঝলসে উঠলে সিনেমার মতো হবে। মরা লোক দোষ দিতে পারবে না উপদেশদাতাকে। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে মাঠে এক-আধটা গরু-ছাগল বজ্রাহত হয়। তার সঙ্গে এর কোনও তুলনা হয় না কি? অনেকেই ফোন বের করে তৈরি আছে, ভিডিও করবে।’ অদ্ভুত হুজুগ।

কলকাতা কোলাজ: জুলাই ২০২২

জুলাই মাসের খামখেয়ালি আকাশের সঙ্গে যেন সুর মিলিয়ে শহরে চলছে ভিজুয়াল আর্টের একটা ক্যালেইডোস্কোপ । দেখানো হচ্ছে বাংলাদেশের আলোকচিত্র-শিল্পী, সাংবাদিক, ও সমাজকর্মী শহিদুল আলমের মনকাড়া মানবজীবন গাথা; রয়েছে সোমনাথ হোড়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ রেট্রোস্পেক্টিভ; তাছাড়াও থাকছে গোন্ড জনজাতির বৃক্ষ পূজা করার আচার-অনুষ্ঠানের নিদর্শন স্বরূপ নানা রঙের অপরিসীম উচ্ছ্বাস। শিল্পে কলকাতা, জুলাই ২০২২।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ৩২

‘ গণতন্ত্রকে যে উদার হতে হয়, রিফ্লেক্স-অ্যাকশনের ঊর্ধ্বে উঠে প্রসারিত হৃদয়বৃত্তি অনুশীলন করতে হয়, বিরোধকে অত্যাচার দিয়ে নয়— যুক্তি ও সহিষ্ণুতা দিয়ে মোকাবিলা করতে হয়, এসব ধারণা এদেশে ন্যাকা আঁতেল উদ্ভট ধোঁয়াটে। তাহলে এ-ভূখণ্ডের চিহ্ন কিঞ্চিৎ উদাসীন সিংহ হলে, তাতে তো সত্যের অল্প অপমান। তাদের তো খান্ডার থাবড়াময় হতেই হবে।’

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ২০

‘অমানবিক কাজের ধরনের জন্যই মানসিক অবসাদে ভুগছেন বহু কর্মী, কাজের বাইরের জীবন থেকে তাঁরা বিচ্যুত : পরিবার, বন্ধু, আত্মীয়, ভালবাসার মানুষ, বৃহত্তর জগৎ— সব থেকেই। এই বীভৎস চেহারায় বহু সংস্থা আবার আশা রাখছেন, কর্মীদের কর্মক্ষমতা, কাজে নিপুণতা, মনঃসংযোগ ইত্যাদি বাড়বে। আমার ভয় করছে!’ বর্তমানে কাজের ধরন।

খুচরো খাবার: পর্ব ১০

‘বিশ্বাস হয়নি; লোহগড় দুর্গ, ভাজা কেভ্‌স, মালাভলি স্টেশন, আমার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ক্যান্টিন, দাদার স্টেশন, ভিক্টোরিয়া টার্মিনাস, বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া রাতভর ট্রেকের শেষে পাহাড়ে সুর্যোদয়— এ-সব পেরিয়ে ওয়াড়া-পাও, ‘ওয়াড়াপ্পাও’, কলকাতায়, বালিগঞ্জে, ভবানীপুরে, আমার পাড়ায়? তারপর শুনলাম, শুধু বালিগঞ্জ কেন, সল্টলেক, তিলজলা, কলেজ স্ট্রিট, হাতিবাগান, কসবা, বড়বাজার – ওয়াড়া-পাও নাকি কলকাতা ছেয়ে ফেলেছে।’

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ১৯

সৌরভ গাঙ্গুলি, এমন একজন খেলোয়াড়, যাঁর সম্পর্কে কথা বলতে গেলে কেউ তাঁর বিশেষ শট বা ফিল্ডিং সাজানোর কথা বলে না। বলে তাঁর অ্যাটিটিউড-এর কথা, তাঁর সাহসের কথা, তাঁর জেদের কথা, তাঁর কামব্যাকের কথা। এখানেই সৌরভের জয়। ক্রিকেট তাঁকে নিজস্ব গণ্ডিতে বেঁধে রাখতে পারেনি। সৌরভ কেবল ক্রিকেটের একটা পার্ট হয়ে থেকে যাননি, বরং ক্রিকেট তাঁর জীবনের একটা অঙ্গ হিসেবে রয়ে গেছে।

অনুপম রায়, শুভ চক্রবর্তী

বেঙ্গালুরুতে অ্যান্টনি: পর্ব ৭

নচিকেতা প্রাণ ভরে গান গাইলেন, মীর মজার কথা বলে লোক হাসালেন। দর্শক দেদার হাসল। আর অ্যান্টনি? হাসির বদলে তাকে চেপে ধরল হাঁচি। বিড়ম্বনার শেষ নেই! কিন্তু কে সেই মেয়ে, যে তাকে প্রথমে অ্যান্টি অ্যালার্জিক দিয়ে শেষে আলাপ জমিয়ে ফেলল?

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ১৭

‘মিছিল তোমায় চেনাল এই দেশে/ ওই ভেসে যায় তরণীবক্তৃতা—/ দ্যাখেইনি যে, কী করে আঁকবে সে/ নদীর উপর জ্বলন্ত সেই চিতা?/ বরং তাকে বিচার করা ভাল/ যে-বালিকা প্রবঞ্চনায় ধীর…/ তোমার প্রিয় তরুণ পরিচালক—/ আমার ছিল প্রহরামঞ্জির।’ নতুন কবিতা।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ১৮

লখিমপুর খেরির ১৯ বছরের মেয়ে, তার ১২ বছরের বোনকে শাস্তি দিল প্রেমিক ও তার বন্ধুদের দিয়ে ধর্ষণ ও খুন করিয়ে। কারণ বোন বলেছিল, দিদির প্রেমের কথা মা-বাবাকে বলে দেবে। এই ভয়াবহ ঘটনার জন্য় কে দায়ী? বোন? প্রেমকে পাপ ভাবার মানসিকতা? মানুষের হিংসার প্রতি অদম্য আকর?

অনুপম রায়

ম্যাকি: পর্ব ১৭

কিছু জিনিস যেগুলো তোরা খেটে অর্জন করেছিস, যেমন ধরা যাক বহু সঞ্চয় করে, গুচ্ছের ই.এম.আই. দিয়ে কেনা একটা গাড়ি, তা নিয়ে গর্ব করছিস, বোকা কাজ করছিস কিন্তু তার একটা তাও মানে আছে। আমরা বুঝতে পারি। যখন দেখি তোরা চামড়ার রং নিয়ে গর্ব করছিস এবং একে অপরকে পাতি ছোট করছিস ওই বেসিসে, আমরা হ্যাং করে যাই। মানুষ বনাম মেশিনের দম্ভ!