
বেঙ্গালুরুতে অ্যান্টনি: পর্ব ১৩
পুলিশ, রেড অ্যালার্ট, ব্রেকিং নিউজ, ইন্টারনেট সেনসেশান– অ্যান্টনির হুড়ুমতাল উড়ান নিমেষে ভাইরাল; ‘ফ্লাইং হিউম্যান ইন বেঙ্গালুরু’ বলে টিকার ছেয়ে গেল পর্দায়-পর্দায়।

পুলিশ, রেড অ্যালার্ট, ব্রেকিং নিউজ, ইন্টারনেট সেনসেশান– অ্যান্টনির হুড়ুমতাল উড়ান নিমেষে ভাইরাল; ‘ফ্লাইং হিউম্যান ইন বেঙ্গালুরু’ বলে টিকার ছেয়ে গেল পর্দায়-পর্দায়।

বেদি থেকে একটা মহিমা-গ্রাম্ভারি মূর্তিকে টেনে নামিয়ে তাকে আটপৌরে কাপড়চোপড় পরিয়ে চারপাশের ভিড়ে ঘামে ধুলোয় নিয়নে হাঁটিয়ে দেওয়া, প্রণামের জোড়কর-আড়ষ্টতা ছাড়িয়ে হাতটাকে সিনেমার কাঁধে দিব্যি রেখে চলতে-চলতে ইয়ার্কি মারা, এই হল গোদারের প্রধান বিপ্লব।
২০১৭ সাল। দ্বিতীয়বারের জন্য লন্ডন যাওয়া। নেহাতই ছুটি কাটানোর উদ্দেশ্য। প্রথমবার যা যা দেখা হয়নি, তার কিছু যদি দেখা যায়! ভাবতে-ভাবতেই প্রথম যা মাথায় এল, তা শেক্সপিয়রের বাড়ি! এই পর্বে রইল সেই অভিজ্ঞতার গল্প।

সত্যি কি? যা আমরা ছুঁয়ে-দেখে-বুঝে-জেগে যাপন করি, শুধুমাত্র সেটুকুই কি সত্যি, বাস্তব, জীবন, রিয়্যালিটি? মানুষের মনের গভীর কোণে কোন সত্য লুকিয়ে আছে, কোনটা আসল, কোনটাই বা কল্পনা, তা বিচার করার অধিকার কার?
‘বহু্ শিল্পীর কাছে এই মুহূর্তের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে হাবুডুবু খেয়েও কোনও মতে টিকে থাকা… তাদের মনের মধ্যে এখন চলছে, নতুন রিল বানানোর জন্য কী ভাবা যায়…’

গল্পে আলাদীন প্রদীপের দৈত্য মনোমত কাজ করতে অক্ষম। তিন বার ফেল হওয়ার পর আলাদীনের মায়ের ডিমেনশিয়া সারিয়ে দিতে পারে বটে, কিন্তু চিরদিনের মতো দৈত্যগিরি হারায়। আর গানে বলা হল, একজন সত্যিকারের আনন্দিত লোককে কিছুতেই কেন বাগে আনা যাবে না।

রকেট-জুতো পায়ে আকাশে ওড়ার বদলে আন্কা ধাক্কা খেয়ে মরার সম্ভাবনাই যে প্রবল হয়ে উঠবে, এই দুরু-দুরু ভয় অ্যান্টনির আগেও হয়েছিল। স্নেহাকে ইমপ্রেস করতে ফেমাস হবার তালে ‘লেট’ না হয়ে যায় অ্যান্টনি…

‘অচল টাকার মতো ভাল লাগে তোমাকে, আমার/
চালাতে পারি না কিন্তু ফেলেও পারি না দিতে ঠিকই
স্মৃতি বড় মুদ্রাদোষ,/ প্রীতি বড় ক্ষয়উপহার/
বাজারের কাছ থেকে ইদানীং ভালবাসা শিখি’। নতুন কবিতা।
‘নিমকি-তক্তি-নাড়ু তো বটেই, বিজয়া স্পেশাল হিসাবে ঢাকা বিক্রমপুরের কাঠবাঙাল আমার মাতামহী এমন একটা পদ বানাতেন যা আমি আর কাউকে করতে দেখিনি— মাছের পাটিসাপটা।’

‘এক হাসপাতাল অসুখ নিয়ে আমি রোগ ছাড়া কতযুগ ধরে একটা জায়গায় নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিলাম। রোগী, নার্স, বেড, অক্সিজেনভরা ভূতের বাড়িটা হাসপাতাল সেজে রইল। কেউ আপত্তি জানাল না। মাঝে মাঝে কোমার নাম করে ব্ল্যাকআউট।’ অসুখের যাপনচিত্র।

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের এমন অনেক কবিতা আছে, যা এখন তত পঠিত বা আলোচিত নয়। তাঁর জনপ্রিয় কবিতাগুলির মধ্যে যে অহরহ ম্যাজিক আছে, তা হয়তো এই কবিতাগুলির মধ্যে নিয়ন্ত্রিত, ঈষৎ চাপা। যদি সেই জাদু ছোঁয়া না যায়, তা হলে আমাদের ক্ষতি।

‘মানুষ হল ইচ্ছের দাস আর আমরা হলাম মানুষের। এই নষ্টামি আমরা দু’দিনেই বের করছি তোদের। পাওয়ার পয়েন্ট খুলতে যাবি ফোটোশপ খুলে দেব। ইচ্ছে! ইউ.এস.জি. করতে যাবি তোদের জুরাসিক পার্ক দেখাব।’ ইচ্ছের দাসত্ব।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.