

মশগুল : পর্ব ১
‘আড্ডা ভ্রাম্যমাণ। ঘুরে ঘুরে বেড়ায়। আজ এখানে, কাল শান্তিনিকেতন, পরশু ল্যাডলীর আখড়া, সোনাঝুরি ছাড়িয়ে। কখনও ঝাড়গ্রামের জঙ্গলে, কখনও কার্জন পার্কের ঘাসে। গঙ্গার ধারে, অথবা,ভাসমান ক্রুজে।’
‘আড্ডা ভ্রাম্যমাণ। ঘুরে ঘুরে বেড়ায়। আজ এখানে, কাল শান্তিনিকেতন, পরশু ল্যাডলীর আখড়া, সোনাঝুরি ছাড়িয়ে। কখনও ঝাড়গ্রামের জঙ্গলে, কখনও কার্জন পার্কের ঘাসে। গঙ্গার ধারে, অথবা,ভাসমান ক্রুজে।’
‘যেটা খুব ভাবিয়েছিল, এই ধরনের প্রত্যন্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রুগির এই চাপ এবং সময়ের এই সংকটের মোকাবিলা কীভাবে সম্ভব? একটা সময় এই সব ভাবনাই সরিয়ে রেখে চিকিৎসা করতে শুরু করলাম।’
‘পেশা আর নেশা মিলিয়ে, ইদানীংকালে বুঝি, ‘আমাদের যে রোববার গেছে, একেবারেই কি গেছে’ বলে বিষাদ করে লাভ নেই। বরং, আদতে আমরা, বা আমি নিজে, হারিয়েছি এই সোমবারটাকেই।’
‘সদ্য-তরুণ বয়সে আমি পড়েছিলাম বুদ্ধদেব বসুর সতর্কবাণী— চাকরি আর বিবাহ কবিতার শত্রু। আর সাংবাদিকতাও কবিতার শত্রু। চিন্তায়-চিন্তায় একেবারে মুষড়ে পড়লাম আমি। ‘জলপাই কাঠের এসরাজ’-এর পর যা লিখি, মনঃপূত হচ্ছিল না আমার।’
চিলির ছবি ‘ইন হার প্লেস’ কোথাও প্রকট কর্কশ ভাবে নারীস্বাধীনতার ঝান্ডা তোলে না, একটা লোকের নিজের যত্নের তৃষ্ণাটুকু, নিজেকে মর্যাদা দেওয়ার খিদেটুকু দরদি দৃশ্যে দেখিয়ে যায় শুধু।
‘বৃষ্টি একটা রূপকমাত্র। তুমি এই বৃষ্টির মধ্যে জীবনটা দ্যাখো নীলা। মুহূর্তগুলো চলে যাচ্ছে। কিছু পড়ে থাকবে না। তোমার প্রতিটা মুহূর্ত তোমার! শুধু তোমার। সব ঝরে যাচ্ছে। তুমি না বাঁচতে চাইলে সেগুলো বৃথা যাবে! নষ্ট হবে। তুমি দু’ফোঁটা গায়ে মেখে নাও।’
লস অ্যাঞ্জেলেসের আগুন যেমন সব কেড়ে নিয়েছে, তেমনি দিয়েছেও কিছু। এই ভয়ঙ্কর দাবানল দমনে দমকলের পাশাপাশি শামিল হয়েছে কয়েদিরাও। অপরাধীদের সংশোধনের জন্য এই পন্থা থেকে আমরাও কি কিছু শিখব না? কেবল সংশোধনাগার বললেই হবে?
‘সেলাই ক’রে দিচ্ছে অতীত, যা কিছু তার খুব পুরনো/ঢেউয়ের মতোই সুতোর দাগে নৌকা ভাসান যাচ্ছে স্মৃতির জল…/পালের গায়ে হাতের লেখা ঝাপটা লেগে ধুয়েই গেল/ শহর তখন চাক্কা জ্যামে। অসন্তোষে জ্বলছে মফসসল/’ নতুন কবিতা
‘ফোটো-সাংবাদিকতার তথ্যনিষ্ঠতার সঙ্গে এক নান্দনিক বহুমাত্রিকতাকে জুড়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল ‘লাইফ’। এর নেপথ্যে যেমন ছিল ফোটোগ্রাফির মান, তেমনই ছিল ছিমছাম, কিন্তু অনন্য পৃষ্ঠাসজ্জা।’
‘যখন ২০২৪-এর এপ্রিলে আবার দাঁড়ালাম রাজপ্রাসাদের গেটে, বুঝলাম এতটুকু ফিকে হয়নি ডায়না-ম্যানিয়া। হঠাৎ ভিড়ের মধ্যে গুঞ্জন, ক্যামিলা (‘কুইন’ কথাটা কিন্তু বলল না কেউ) আসছেন।’
প্রচুর সংস্থা নিজেকে অভিজাত প্রমাণ করার জন্য উদ্ভট নিয়ম বানায়। জিনস পরে দাবা খেলা যাবে না, পাজামা পরে কলকাতার ক্লাবে ঢোকা যাবে না, টাই না বেঁধে অফিসে এলে চাকরি যাবে। ধর্ম থেকে বিনোদন, সর্বত্র এই প্রবণতা আসলে কেরানিগিরি আর দাদাগিরির মিশেল।
বাকস্বাধীনতার কোনও সীমা থাকতে পারে না, সেই অধিকারের ডগায় কোনও তারাচিহ্ন দিয়ে মিনি-হরফে ‘শর্তাবলি প্রযোজ্য’ লেখা যায় না। যদি ক-কে নিয়ে ব্যঙ্গ করা যায়, তবে খ-কে নিয়েও যাবে।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.