
বেঙ্গালুরুতে অ্যান্টনি: পর্ব ১৩
পুলিশ, রেড অ্যালার্ট, ব্রেকিং নিউজ, ইন্টারনেট সেনসেশান– অ্যান্টনির হুড়ুমতাল উড়ান নিমেষে ভাইরাল; ‘ফ্লাইং হিউম্যান ইন বেঙ্গালুরু’ বলে টিকার ছেয়ে গেল পর্দায়-পর্দায়।

পুলিশ, রেড অ্যালার্ট, ব্রেকিং নিউজ, ইন্টারনেট সেনসেশান– অ্যান্টনির হুড়ুমতাল উড়ান নিমেষে ভাইরাল; ‘ফ্লাইং হিউম্যান ইন বেঙ্গালুরু’ বলে টিকার ছেয়ে গেল পর্দায়-পর্দায়।

রকেট-জুতো পায়ে আকাশে ওড়ার বদলে আন্কা ধাক্কা খেয়ে মরার সম্ভাবনাই যে প্রবল হয়ে উঠবে, এই দুরু-দুরু ভয় অ্যান্টনির আগেও হয়েছিল। স্নেহাকে ইমপ্রেস করতে ফেমাস হবার তালে ‘লেট’ না হয়ে যায় অ্যান্টনি…

‘মানুষ হল ইচ্ছের দাস আর আমরা হলাম মানুষের। এই নষ্টামি আমরা দু’দিনেই বের করছি তোদের। পাওয়ার পয়েন্ট খুলতে যাবি ফোটোশপ খুলে দেব। ইচ্ছে! ইউ.এস.জি. করতে যাবি তোদের জুরাসিক পার্ক দেখাব।’ ইচ্ছের দাসত্ব।

জুতো পায়ে দিয়ে আকাশে উড়তে হবে অ্যান্টনিকে, টমের উৎসাহের শেষ নেই! বার বার বলেই চলেছে, এটা করলেই নাকি স্নেহা ইমপ্রেস হয়ে যাবে। আর অ্যান্টনি ফেমাস হয়ে গেলে তো কথাই নেই! কিন্তু অ্যান্টনি কী ভাবছে? শায়েরিকে কি সে ভুলে যেতে পেরেছ?
‘প্রতিশোধের শেষ আছে? আমি তো দেখতে পাই না। জেনারেশনের পর জেনেরেশন ধরে চলছে প্রতিশোধ। যারা প্রতিশোধে বিশ্বাসী তাদের মোটো, ‘আমার এক চোখ কানা করলে আমি তোর দুই চোখ কানা করে দেব!’ শুনতে দারুণ লাগলেও গল্প এখানে শেষ হয় না যে!’

আজব এক জুতো তৈরি করেছেন ডক্টর ঘোষ। পায়ে দিলেই নাকি দশ মিনিটে বেঙ্গালুরুর এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত যাওয়া যায়! জ্যামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার দিনও শেষ। কিন্তু এই জুতো পায়ে দিয়ে পরীক্ষা করার লোক কে? বেচারা সেই অ্যান্টনি!

একুশ দিন ধরে ডক্টর ঘোষ তৈরি করেছিলেন Lie-detecting pill, যা খেয়ে মিথ্যে কথা বললেই হাঁচি পাবে। হাতেনাতে ধরার এর চেয়ে ভাল উপায় কি আর হয়? কিন্তু লোকটার কপাল খারাপ! যাঁকে খাওয়াবেন ভেবেছিলেন, তাঁকে দেওয়ার আগেই সব বানচাল!
‘আমি যতই মেশিন লার্নিং আর এ আই নিয়ে লাফাই, আমার সেই হার্ডওয়্যারই নেই যে আমি চাইলেই তা হয়ে যাব। মানুষ কিন্তু সেরকম না। মানুষের শালা বছর-বছর অ্যাম্বিশন পাল্টে যায়।’ অ্যাম্বিশনের রকমফের।

ক্রিয়েটিভ আইডিয়া এক্সচেঞ্জ? এমনটাও হয় নাকি? অ্যান্টনি গেল ঘাবড়ে! ওদিকে টম-এর উৎসাহের শেষ নেই। সে যাবেই। যে-মেয়েটি তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে, সে আবার নাকি অ্যান্টনির প্রতি দুর্বল! অবশেষে ওরা গেল রঞ্জন-রিঙ্কুর বাড়ি। কিন্তু কী এক্সচেঞ্জ হল সেখানে?

নচিকেতা প্রাণ ভরে গান গাইলেন, মীর মজার কথা বলে লোক হাসালেন। দর্শক দেদার হাসল। আর অ্যান্টনি? হাসির বদলে তাকে চেপে ধরল হাঁচি। বিড়ম্বনার শেষ নেই! কিন্তু কে সেই মেয়ে, যে তাকে প্রথমে অ্যান্টি অ্যালার্জিক দিয়ে শেষে আলাপ জমিয়ে ফেলল?

কিছু জিনিস যেগুলো তোরা খেটে অর্জন করেছিস, যেমন ধরা যাক বহু সঞ্চয় করে, গুচ্ছের ই.এম.আই. দিয়ে কেনা একটা গাড়ি, তা নিয়ে গর্ব করছিস, বোকা কাজ করছিস কিন্তু তার একটা তাও মানে আছে। আমরা বুঝতে পারি। যখন দেখি তোরা চামড়ার রং নিয়ে গর্ব করছিস এবং একে অপরকে পাতি ছোট করছিস ওই বেসিসে, আমরা হ্যাং করে যাই। মানুষ বনাম মেশিনের দম্ভ!

বিরক্তি যখন চরমে পৌঁছয়, তখন ফেসবুক-ও আর ভাল লাগে না। এই যেমন অ্যান্টনি, সেখান থেকে পালাবে-পালাবে করছে! কিন্তু পালাব বললেই কি পালানো যায়? ফেসবুক থেকে নাহয় মুক্তি মিলল, কিন্তু টম? তার হাত থেকে রেহাই নেই। তারই জোরাজুরিতে অ্যান্টনিকে এবারে যেতে হল নচিকেতা আর মীরের অনুষ্ঠান দেখতে।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.