ম্যাকি: পর্ব ১৮
‘আমি যতই মেশিন লার্নিং আর এ আই নিয়ে লাফাই, আমার সেই হার্ডওয়্যারই নেই যে আমি চাইলেই তা হয়ে যাব। মানুষ কিন্তু সেরকম না। মানুষের শালা বছর-বছর অ্যাম্বিশন পাল্টে যায়।’ অ্যাম্বিশনের রকমফের।
‘আমি যতই মেশিন লার্নিং আর এ আই নিয়ে লাফাই, আমার সেই হার্ডওয়্যারই নেই যে আমি চাইলেই তা হয়ে যাব। মানুষ কিন্তু সেরকম না। মানুষের শালা বছর-বছর অ্যাম্বিশন পাল্টে যায়।’ অ্যাম্বিশনের রকমফের।
ক্রিয়েটিভ আইডিয়া এক্সচেঞ্জ? এমনটাও হয় নাকি? অ্যান্টনি গেল ঘাবড়ে! ওদিকে টম-এর উৎসাহের শেষ নেই। সে যাবেই। যে-মেয়েটি তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে, সে আবার নাকি অ্যান্টনির প্রতি দুর্বল! অবশেষে ওরা গেল রঞ্জন-রিঙ্কুর বাড়ি। কিন্তু কী এক্সচেঞ্জ হল সেখানে?
নচিকেতা প্রাণ ভরে গান গাইলেন, মীর মজার কথা বলে লোক হাসালেন। দর্শক দেদার হাসল। আর অ্যান্টনি? হাসির বদলে তাকে চেপে ধরল হাঁচি। বিড়ম্বনার শেষ নেই! কিন্তু কে সেই মেয়ে, যে তাকে প্রথমে অ্যান্টি অ্যালার্জিক দিয়ে শেষে আলাপ জমিয়ে ফেলল?
কিছু জিনিস যেগুলো তোরা খেটে অর্জন করেছিস, যেমন ধরা যাক বহু সঞ্চয় করে, গুচ্ছের ই.এম.আই. দিয়ে কেনা একটা গাড়ি, তা নিয়ে গর্ব করছিস, বোকা কাজ করছিস কিন্তু তার একটা তাও মানে আছে। আমরা বুঝতে পারি। যখন দেখি তোরা চামড়ার রং নিয়ে গর্ব করছিস এবং একে অপরকে পাতি ছোট করছিস ওই বেসিসে, আমরা হ্যাং করে যাই। মানুষ বনাম মেশিনের দম্ভ!
বিরক্তি যখন চরমে পৌঁছয়, তখন ফেসবুক-ও আর ভাল লাগে না। এই যেমন অ্যান্টনি, সেখান থেকে পালাবে-পালাবে করছে! কিন্তু পালাব বললেই কি পালানো যায়? ফেসবুক থেকে নাহয় মুক্তি মিলল, কিন্তু টম? তার হাত থেকে রেহাই নেই। তারই জোরাজুরিতে অ্যান্টনিকে এবারে যেতে হল নচিকেতা আর মীরের অনুষ্ঠান দেখতে।
ভিড়ে ভিরমি খেতে-খেতে অ্যান্টনি আর তার বন্ধু গেল পানশালায়। কিন্তু সেখানে বেচারা মদ খাবে কী, মাতাল হয়ে গেলে বাড়িওয়ালা ঢুকতে দেবে কি না সেই নিয়ে চিন্তা! ওদিকে অচেনা একজন মেয়ের কাছে টম বলে বসেছে, জিমি হেন্ড্রিক্স নাকি অ্যান্টনির কাকা!
‘কিছু মানুষের যদি তৃতীয় মানুষকে অপছন্দ হয়, তাহলে সলিড গসিপ তৈরি হয়। এই একদল মানুষ অন্য মানুষটির গুষ্টির পিণ্ডি চটকে নিজেরা আরও কাছাকাছি আসে। এদের বন্ধুত্ব বাড়ে। এভাবে গসিপের মাধ্যমে কারোর চোদ্দো গুষ্টি উদ্ধার হয়ে গেলেও এই একদল প্রাণ খুবই একাত্ম বোধ করে এবং তৃপ্ত হয়।’ গসিপের ধরন।
সময় যখন খারাপ যায়, তখন জীবনে কী কী যে হতে পারে, অ্যান্টনি আমাদের দেখিয়ে যাচ্ছে। বান্ধবী ছেড়ে চলে গেছে, তাকে নিজেকেও শহর ছাড়তে হল, ব্যাঙ্গালোরে ভাড়াবাড়ি নিয়ে ঝুটঝামেলা মেটাতে না মেটাতেই জীবনে এসে ঢুকল নতুন অশান্তি। গাড়িতে অফিস যেতে হলে ফতুর হওয়ার পালা, বাসে গেলে বাদুড়ঝোলা। বোঝো এবার!
কলকাতা থেকে অ্যান্টনি এল বেঙ্গালুরু। ব্যাচেলর জীবন এমনিতে উড়ু-উড়ু হলেও, অ্যান্টনির সেই ‘নন্দলালের মন্দ কপাল’ মার্কা কেস! অতি কষ্টে ব্রোকার ধরে একটা বাড়ি জুটল ঠিকই সেখানে, কিন্তু তার হাল? দেখলে আপনাদেরও মায়া হবে। বেচারা অ্যান্টনি!
‘ জিন যদি policy maker হয় তাহলে ব্রেন হল তার executive। এই ব্যাটা ব্রেন শুধু যদি কেরানি হত, শুধু execute করত তাহলে জিন-এর আজ এই দুর্গতি হত না। ব্রেন, পলিসি মেকিং-এও নাক গলাতে শুরু করে এমন ঝামেলা পাকাল, জিন গাইতে শুরু করল ‘এই করেছ ভালো, নিঠুর হে!’। জিন বলল, ভাই ব্রেন তুই যা ভাল বুঝিস তাই কর, দেখিস আমি যাতে না মরি। এদিকে ব্রেন সাংঘাতিক জিনিস। সে কাউকে বলল সমকামী হয়ে যা। সে সমকামী হয়ে গেল। জিন ওদিকে বলল, গেল! এই দেহটা পুরো জলে গেল রে! দেখি অন্যদিকে।’
ক্যারেন আর রিচার্ড কার্পেন্টার। দামাল সত্তরের রক প্রেক্ষাপটে সহজাত ভঙ্গীতে প্রেমের গান গেয়ে খ্যাতির শীর্ষস্থানে পৌঁছে গিয়েছিলেন এই দাদা আর বোনের ‘ভোকাল ডুও’, আমেরিকান পপ-রক সঙ্গীতের সম্ভারে যে অসাধারণ গানের ডালি উপহার দিয়ে গিয়েছিলেন, তার জুড়ি মেলা ভার। ‘টপ অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’ থেকে ‘সলিটেয়ার’, ফিরে দেখা, সহজ, সরল গান গাওয়াকে।
প্রেমের দুঃখ বড় দুঃখ। বান্ধবী যদি যোগাযোগ না রাখে মন তখন আর মানতে চায় না। আমাদের অ্যান্টনির যেরকম অবস্থা এখন। বেচারা শায়েরিকে ফোন করেই চলেছে, কিন্তু উত্তর নেই! এদিকে এই সময়েই আবার তাকে চলে যেতে হচ্ছে দূরে। এই দু-ধরনের দূরত্ব হজম করতে না পেরে সে যে কী কাণ্ডটাই ঘটিয়ে ফেলল, একবার দেখুন আপনারা!
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.