Vlog

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ১৮

লখিমপুর খেরির ১৯ বছরের মেয়ে, তার ১২ বছরের বোনকে শাস্তি দিল প্রেমিক ও তার বন্ধুদের দিয়ে ধর্ষণ ও খুন করিয়ে। কারণ বোন বলেছিল, দিদির প্রেমের কথা মা-বাবাকে বলে দেবে। এই ভয়াবহ ঘটনার জন্য় কে দায়ী? বোন? প্রেমকে পাপ ভাবার মানসিকতা? মানুষের হিংসার প্রতি অদম্য আকর?

দেবশঙ্কর হালদার

স্পটলাইট: পর্ব ৭

একজন অভিনেতার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি দর্শকের প্রশংসা এবং প্রতিক্রিয়া। যা কখনও খুব উদ্বেল করে অভিনেতাকে, কখনও করে মূহ্যমান। ভাল-মন্দ যা-ই হোক, সেটাই একজন অভিনেতার কাছে তাড়ণা, যার জন্য রজনীর পর রজনী সে একই নাটক বা ভিন্ন ভিন্ন নাটক নিয়ে দর্শকের সামনে হাজির হয়। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির দাঁড়িপাল্লা।

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১৬

শক্তি চট্টোপাধ্যায় এমন এক জন কবি, যিনি বুকের গহীনে সব সময় উচ্চারিত হতে থাকেন। তাঁর স্বতত টলটলে উপস্থিতি সর্বদা বিদ্যমান। কিন্তু তা ভার বাড়ায় না। তাঁর উপস্থিতি বড় অনায়াস। কিন্তু তাঁর লেখা আত্মস্থ করার সময় মনে হয় তিনি অনন্য। আপাত সহজতা থাকলেও, তা সহজে লেখা যায় না। তাই তাঁর সঙ্গে বার বার দেখা করতে হয়।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ১৭

বয়সে বৃদ্ধ মানেই জীবনের আনন্দ্রস্রোত থেকে খারিজ! যাঁরা বৃদ্ধ হননি, তাঁদের মনোবৃত্তিটা সে রকমই হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁরা ভাবছেন, বয়সের প্রান্তে দাঁড়ানো মানুষজন অন্যকে বিরক্ত না করে কেবল নিজের অবসানের জন্য শান্ত ভাবে অপেক্ষা করবেন। তাঁর যেন আনন্দে অধিকার নেই, প্রেমের আকাঙ্ক্ষা নেই, উদ্যোগে বাতিল। নবীনদের প্রবীণদের প্রতি এমন উপেক্ষা বুমেরাং হয়েই আসবে।

শ্রীজাত

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ১৫

শ্রাবণকাল এলে য়ে কেবল বৃষ্টিই ভেজায়, এমনটা নয়। ঝাপটা দিয়ে ভিজিয়ে দেয় এমন অনেক স্মৃতি, যা অন্য ঋতুতে তেমন প্রকট হতে পারে না। বর্ষার বৃষ্টি এসে মনের তালা ঝাপটা মেরে খুলে দেয় আর ঝমঝমিয়ে সে সব অনুভূতি সিক্ত করে মনের মাটি। খুব ব্যক্তিগত কিছু লেখা, স্মৃতি, কবিতা ভেসে ওঠে মনের উপরিতলে। সে সব অনুভূতির জটলাই হল এই খুব ব্যক্তিগত কবিতারা।

দেবশঙ্কর হালদার

স্পটলাইট: পর্ব ৬

দর্শকের সামনে গিয়ে যদি অঙ্ক না মেলে? যদি না মেলে বাহবা, হাততালি, প্রশংসা? প্রত্যাশাকে সরিয়ে রেখে অভিনেতা যখন শুধু কাজে ডুবে যান, প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় যখন তৈরি হয় না শিল্প, সেই মায়াবী প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, আবশ্যক-অনাবশ্যকের কথা।

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১৫

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বর্ষা ঋতুকে যে ভাবে তাঁর গান ও কবিতায় প্রকাশ করেছেন, যে ভাবে মূর্ত করে তুলেছেন, আর কোনও কবি বর্ষার বিভিন্ন রূপ ও তার অনুসঙ্গকে সেভাবে আমাদের মনে প্রবেশ করাতে বা ছুঁতে পেরেছেন কি না জানা নেই। আপাত নিত্য ব্যবহৃত শব্দ বসিয়ে তিনি গান বা কবিতার পূর্ণ রূপ দেন, তখন আশ্চর্য হয়ে যেতে হয় সেই গানের বা কবিতার দ্যোতনায়। হয়তো বা সে ইজন্যই তিনি কালজয়ী।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ১৬

রাজীব গান্ধী হত্যার চক্রান্তে দোষী সাব্যস্ত একজনকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হল। কেউ বলছে, এত বড় টেররিস্টকে ছেড়ে দিলে জঘন্য উদাহরণ প্রতিষ্ঠিত হবে। কেউ বলছে, লোকটা ৩১ বছর জেল খেটেছে, তার ১৯ থেকে ৫০ বছর বয়স অবধি জেলেই কাটল, এখনও কি যথেষ্ট শাস্তি হয়নি? আমরা ভাবনা ও আলোচনায় ক্ষমাকে কেন প্রায় কখনও অগ্রাধিকার দিই না, প্রতিশোধপরায়ণতাকেই দিই?

শ্রীজাত

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ১৪

‘বাইরে তখন বৃষ্টিসড়ক চুঁয়ে
জল চলে গেছে গতজন্মের পার…
মনখারাপেরা উড়ে যাক এক ফুঁয়ে-
সন্ধে হলে তো বন্ধুকে দরকার।’ বর্ষা এমন একটা কাল, যা ঘাড়ে ধরে কবিতা লিখিয়ে নেয়। মনে এমন বৃষ্টির জল জমে, তাতে কবিতার নৌকা না ভাসালে মহাপাপ হয়। মেঘদূতের চর্চা।

উপল সেনগুপ্ত, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ১৪

ব়্যাপানজেলের একঢাল চুল, কিন্তু অসুখ হয়ে তার টাক পড়ে যায়। আর সেই অসুখ নিয়ে ইয়ার্কি মারতেই, ডাইনিবুড়ি বিশাল থাপ্পড় খায় উইল স্মিথের কাছে। আর গানটায়, এক জাঁদরেল মিলিটারি ক্য়াপ্টেন ভিনগ্রহে গিয়ে ধাঁইধাঁই গুলি চালিয়ে এলিয়েন মারছে, তার ঘাড় অ্য়াকিউট অ্যাঙ্গলে কাত, ডিনার পাক্কা সাড়ে-সাত।

দেবশঙ্কর হালদার

স্পটলাইট: পর্ব ৫

মঞ্চ এক আশ্চর্য জিনিস। তার ওপর হঠাৎ কোনও অপ্রস্তুত দুর্বিপাক অভিনেতার কাছে আশির্বাদ হয়ে উঠতে পারে, কখনও তা দাঁড়ায় অভিশাপে। যতই আগে থেকে পা মেপে, ফিতে ধরে, উইংস গুণে অভিনয়ের ছক কষা থাক না কেন, সে সেই মুহূর্তে নিজ মহিমাগুণে অভিনেতাকে ভেল্কি নাচন নাচিয়ে দিতে পারে। তা কখনও দর্শকের কাছে হয়ে ওঠে প্রাপ্তি আর অভিনেতার কাছে দুঃস্বপ্ন, আবার কখনও বা ওখান থেকেই তৈরি হয় ওই মুহূর্তের অমরত্ব। স্টেজের জাদু।