

জনগণের জয়নুল
‘জয়নুল আবেদিন নেই, তাঁর আঁকা চিত্রমালা রয়েছে। ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে। রয়েছে অনাহার, বিপর্যয়, শ্রমের শোষণ, ক্রমে ধ্বংস হয়ে চলা নৈসর্গিক রূপ আর, সামাজিক দুঃসময়।’
‘জয়নুল আবেদিন নেই, তাঁর আঁকা চিত্রমালা রয়েছে। ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে। রয়েছে অনাহার, বিপর্যয়, শ্রমের শোষণ, ক্রমে ধ্বংস হয়ে চলা নৈসর্গিক রূপ আর, সামাজিক দুঃসময়।’
‘আধুনিক শিল্পীদের মধ্যে টিএস এলিয়ট যেমন ধ্রুপদী শব্দের পরিমণ্ডলে নাশকতা চালান, দালিও তেমন ফ্রেম ও রেখাতে ক্লাসিকিয়ানা ফিরিয়ে দিতে চান, ও সেই ফাঁকফোঁকরে গুঁজে দিতে চান দুঃস্বপ্নের বর্ণমালা।’
‘‘ফিয়ার’ ছবিটির ভাবনা ও বিন্যাস, সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে, কিন্তু বিষয়টি চিরকালীন। ভয় দেখিয়ে আর ভয় পেয়ে বেঁচে থাকার ইতিহাস তো চিরন্তন। গুটিকয় মানুষের তৈরি করা ভয়ে, শিরদাঁড়া ঝুঁকিয়ে, বেঁচে থাকার গল্পের কোনও শেষ নেই।’
‘যামিনী রায় মনে করেছিলেন, বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রতিকৃতি-আঁকিয়ে হিসেবে তিনি সুনাম অর্জন করলেও, সেখানে তাঁর মৌলিকতার কোনও নিজস্ব প্রকাশ নেই। এই অনুভবই তাঁকে সরিয়ে এনেছিল এমন চর্চা থেকে।’
‘এই আয়োজন কি ছবির সঠিক তথ্য না-জেনেবুঝেই নিতান্ত সরলচিত্তেই করা হয়েছে? না কি এর আড়ালে ওঁত পেতে আছে জালছবির বিরাট চক্র– যা প্রদর্শনীর শেষে বিপুল বাণিজ্যের চেহারা নেবে?’
‘বাস্তবিক দুঃখ হয় অন্য কারণে যে, ৩৬ বছর বয়সে একজন মানুষ চলে গেলেন, তার ওপর ওরকম শিল্পী, সালটাও ১৯৬৬ । ১৯৬৬ সাল, দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এক-একজন দিকপাল। দাপিয়ে পান্নালালেরও বেড়ানোর কথা ছিল!’
‘আপনার পূর্বজন্ম অভিনেতার নাকি! এত কথা জানলেন কী করে? অবশ্য এক জন্মে অভিনেতা হলে পরের জন্মে প্রেক্ষাগৃহের চেয়ার হওয়া খুবই স্বাভাবিক!’
‘আমি সবসময়ে স্টিক পাপেট, বা কাট-আউট পাপেট, এগুলো বেশি ব্যবহার করে। অনেকগুলো পাখি দিয়ে আমি শিকারীর জাল ছিঁড়ে উড়ে যাওয়ার গল্পও বলতে পারি, আবার অন্য ধরনের হাজারও গল্প বলতে পারি।’
‘হাহাকারের ধৈবত নিয়েই বিসমিল্লাহ-র বিশ্ব। বিসমিল্লাহ খাঁ-কে বাবরি পরবর্তী রামমন্দির দেখে যেতে হয়নি। হোলি বলতে তিনি শুধুই বুঝতেন হোরি, কাজরির সমাহার।’
‘যেন সামনে মঞ্চে একটা অভিনয় হচ্ছে, আর আমরা প্রথম সারিতে সিট পেয়েছি। একক, দশক, শতক ধরে একই জায়গায় বসে দেখে যাচ্ছি, নির্বাচিত রোদবৃষ্টি।’
‘প্রদর্শনীর প্রতিটি প্রিন্টই অসাধারণ অবস্থায় রয়েছে, রংও সেই অর্থে বিবর্ণ হয়নি; এত সময় ধরে সংগ্রাহক যে শুধুমাত্র ছবিগুলি সংগ্রহ করেই ক্ষান্ত হননি, তা বোঝা যায়। ছবিগুলি অসামান্য যত্ন, দক্ষতার সঙ্গে সংরক্ষিত ও প্রদর্শিত।’
‘চণ্ডী লাহিড়ীর মতে, ‘কার্টুনিস্ট সংবাদপত্রে থাকেন একজন, বড়জোর দুজন। কাজেই কার্টুনিস্টকে মার খেতে হয়। তিনি সংখ্যালঘু। …সংখ্যায় তিনি একক, রিপোর্টার কয়েক ডজন। সাব এডিটর কয়েক ডজন, ফটোগ্ৰাফার কয়েক ডজন কিন্তু কার্টুনিস্ট একেবারে একা।’’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.