
সাক্ষাৎকার: গোবিন্দ বসু
‘ভারতের একমাত্র শিল্পী, যিনি একসঙ্গে দু’টি কণ্ঠে ধ্রুপদী সংগীত গাইতে পারতেন— তাঁর নাম অনাথনাথ বসু। মহিলাকণ্ঠে ঠুমরি গাইতেন, পুরুষকণ্ঠে গাইতেন খেয়াল।’

‘ভারতের একমাত্র শিল্পী, যিনি একসঙ্গে দু’টি কণ্ঠে ধ্রুপদী সংগীত গাইতে পারতেন— তাঁর নাম অনাথনাথ বসু। মহিলাকণ্ঠে ঠুমরি গাইতেন, পুরুষকণ্ঠে গাইতেন খেয়াল।’

‘আজ আমরা যে রবীন্দ্রসংগীতকে কেবল কৃত্রিম শিল্পচর্চার স্বরলিপি গ্রন্থ বলে গ্রহণ করি না, জীবনচর্চার গায়ত্রীরূপে গ্রহণ করি, সেই শিক্ষা দিনেন্দ্রনাথের।’

‘সুধীন দাশগুপ্ত এবং সলিল চৌধুরী, জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের সংগীত জীবনের দু’টি ‘কী নোট’। সুধীন দাশগুপ্তর সুর-সৃষ্টির সমগ্র প্রক্রিয়ায় জড়িয়ে গিয়েছিলেন জটিলেশ্বর। গুরুর প্রভাব তাঁর গানে যে বিশেষ মাত্রা এনে দিয়েছিল তা বলাই বাহুল্য।’

‘আমাদের দেশের আরও বহু শিল্পী আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌঁছেছেন তাঁদের নিজেদের ক্ষমতায় এবং যোগ্যতায়। কিন্তু আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারতীয় সংগীতকে সফলভাবে পৌঁছে দিয়েছেন প্রথমে উদয়শঙ্কর এবং তারপরে আরও বিস্তৃত পরিসরে রবিশঙ্কর।’

‘‘প্রদর্শনীর নাম ‘ক্রাফট অফ কমিক্স’। ভারত জুড়ে, সমসাময়িক কমিক্স শিল্পীরা তাঁদের সৃষ্টি ও ভাবনা তুলে ধরার জন্য কী কী পদ্ধতি অবলম্বন করছেন বা কীভাবে নিজেদের দর্শকের কাছে পৌঁছতে পারছেন, সেটাই দেখার চেষ্টা। অর্থাৎ, এই প্রদর্শনীতে দর্শকরা শুধু বিভিন্ন সমসাময়িক শিল্পীর কাজ দেখতে পারবেন, তা-ই নয়— তাঁদের সৃজনশীল প্রক্রিয়াটাও নিজেদের মতো করে বুঝে নিতে পারবেন।’’

‘ক্ষুধার আর একটি রেখাচিত্র তিনি এঁকেছিলেন ৬.৪.১৯৪৬ তারিখে। মাঝখানে শীর্ণ নদী। ওপাশে বনে পিকনিক করছে ধনী ও সম্ভ্রান্ত ছেলেমেয়েরা। এপারে কয়েকটি ক্ষুধার্ত শিশু করুণ শরীরে তাকিয়ে আছে সেদিকে। এই হলেন নন্দলাল, যিনি আদর্শ ও বাস্তবকে মিলিয়েছিলেন তাঁর শিল্পযাত্রায়।’

‘১৯৫৩ সালে গণনাট্যর বম্বে সম্মেলনে বাবার সঙ্গে এই নিয়ে ওঁর তর্কটা হয়। বাবার বক্তব্য ছিল, এই দেশের লোকের কাছে পৌঁছতে হলে লোকজ সুরকে মাধ্যম করা উচিত। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্কেস্ট্রেশনের বিপদ আছে। সলিলের তর্ক ছিল, তবে কি লোকোমোটিভের যুগে লোকে গরুর গাড়ি চড়বে?’

‘আমার মনে হয়, সলিল চৌধুরীকে বুঝতে গেলে, সবচেয়ে জরুরি এটা বোঝা— তিনি কীভাবে এখানকার ভোকাল মেলোডিকে ভেঙে, সম্পূর্ণ নতুন একটা রূপ দিলেন। এমনকী পাশ্চাত্যেও সুরের কতগুলো নির্দিষ্ট সরলরৈখিক চলন আছে, কিন্তু সলিল সেটাকে আত্তীকরণের সময়ে সরলরৈখিক রাখলেন না।’

“সলিল চৌধুরী তখন বাসু চ্যাটার্জিকে বলেছিলেন, ‘ছবিটা আমাকে দিন, আমি ১০,০০০ টাকায় করে দেব।’ এরপরেই চুক্তি পাকাপোক্ত হয়ে যায়। সলিল আগ্রায় গিয়ে লোকেশন দেখেন এবং ব্রজভাষার কয়েকটি লোকগান রেকর্ড করে আনেন, যা পরে ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরে ব্যবহৃত হয়।”

সলিল চৌধুরী যেভাবে আমাদের দেশের সংগীতের সঙ্গে পশ্চিমি সংগীতের মেলবন্ধন ঘটাতে পেরেছিলেন, তার ফলে সৃষ্টি হয়েছিল একটা ‘তৃতীয় ধারা’।

‘কলকাতার আরেকটা ব্যাপার হল, ওখানে সবার সাথে খুব ভালোভাবে মেশা যায়। তাই আমি ওখানে যাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই ক্যালকাটান হয়ে গেছিলাম। কফি হাউসের, দেশপ্রিয় পার্কের, সুতৃপ্তির কথা এখনও মনে পড়ে। দশটা বছর ছিলাম, প্রায় প্রতিদিনই এসব জায়গায় যেতাম। ওখানকার মূল স্রোতে মিশে গেছিলাম।’ সাক্ষাৎকার। মনু পারেখ

‘তাঁর কাজের প্রদর্শনী দেখে অভিভূত হয়ে যান রামকিঙ্কর; সরকারি উদ্যোগে রাস্তার ওপর রাখাও হয় তাঁর একটি কাজ। আবার মেট্রো স্টেশন তৈরির সময়ে সরকারি উদ্যোগেই সরিয়েও দেওয়া হয় সেই কাজটি। তখনও কোনও সোচ্চার প্রতিবাদ বা লবিবাজি করেননি তিনি।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.