সাক্ষাৎকার : দুর্গাশিল্পী পার্থ দাশগুপ্ত
‘শিব দারুণ লোক। সর্বজনের অন্দরমহলে শিবের অবাধ যাতায়াত। সহজ লোক যে! ঝামেলা নেই। কিছুই নেই। একটা পাথর হলেই চলে। দুর্গার চেয়েও বেশি সাকসেসফুল পাবলিক ফিগার।’ শিল্পী পার্থ দাশগুপ্তর সঙ্গে কথা বললেন শুভময় মিত্র।
‘শিব দারুণ লোক। সর্বজনের অন্দরমহলে শিবের অবাধ যাতায়াত। সহজ লোক যে! ঝামেলা নেই। কিছুই নেই। একটা পাথর হলেই চলে। দুর্গার চেয়েও বেশি সাকসেসফুল পাবলিক ফিগার।’ শিল্পী পার্থ দাশগুপ্তর সঙ্গে কথা বললেন শুভময় মিত্র।
আর্টের প্রভাবে, প্রলেপে দুর্গাদর্শনের অভিজ্ঞতাও এখন অন্যরকম। জনগণ এই বদলকে পছন্দ করেছেন। আবার, সনাতন চেহারাকে ভুলেও যাননি। দুর্গার আদি চেহারার অন্যতম শ্রদ্ধেয় রূপকার, কলকাতার প্রদীপ রুদ্র পালের সঙ্গে কথা বললেন শুভময় মিত্র।
‘প্যাশন, সেন্টিমেন্টের জায়গায় ফ্যাশন স্টেটমেন্ট প্রাধান্য পাচ্ছে। এই পরের দুটি শব্দ একদা ঘোড়াকে এগিয়ে রাখত অন্যদের তুলনায়। একবার ভাবুন, ছত্রপতি শিবাজী একটা জেব্রা চেপে জিব্রাল্টার পেরোচ্ছেন। হয় না।’
‘জার্মানি থেকে আসা লোককে কলকাতার লোক লিফ্ট দিতেই পারে। সুভাষকে কি হিটলার দেননি? আশেপাশে টুকটাক আরও কীসব কিনলেন। কেকের দোকানে ফিরে, পেমেন্ট মিটিয়ে, বাক্সটা নিয়ে ট্যাক্সি ধরলাম। ওঁর হাতে একটা বড় প্লাস্টিকের ব্যাগ।’
‘টিভির পূর্ণ সমাধির পর জেঠুর হাতের নাগালে থাকত একটা ট্রানজিস্টর রেডিও। তার ব্যাটারি গলে গিয়েছিল। জল-রস বেরিয়ে পড়েছিল। জেঠুর চোখের মতো। আমি সরিয়ে-সুরিয়ে, আলাদা বাক্সে ব্যাটারি ফিট করে, তার জুড়ে, টেপ মেরে চালু করে দিয়েছিলাম।’
কর্মখালির বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল, ‘কাজে অনিচ্ছুক ব্যক্তি কোনো রকম বায়োডাটা ছাড়া এই ঠিকানায় সরাসরি চলে আসবেন। ফোন করবেন না। কোনো ইন্টারভিউ ছাড়াই চাকরি জুটে গিয়েছিল আপ্তসহায়কের।’ আজব চকরি
‘শুনেছি মোটা দামে স্থানীয় কর্পোরেশনের কাছে আগেই রিজার্ভ করা থাকে কিছু নম্বর। লন্ডনে ‘১০’-এর খুব দাম। নেপল্সের পুরোনো পাড়ায় চোখে পড়ে ‘০০৭’। কলকাতাতেও খুঁজলে কোনও কোনও দরজায় ইউরোপের ছোঁয়া পাওয়া যাবে।’ বাড়ির নম্বর।
‘এই প্রথম ওর গলায় একটু ক্লান্তি টের পেলাম। সেই খেলা, একবারই দেখেছিলাম। আর দেখিনি। লোকটা কী করে, কোথায় থাকে, আমার সঙ্গেই বা কেন কথা বলে, এর একটারও উত্তর আমার কাছে নেই।’ অপরিচিতের সঙ্গ।
‘খবর পেয়ে গিয়েছিলাম স্রেফ এক ধরনের পাখির সন্ধানে। বড়সড়, মাটিতে চরা পাখি। দুর্লভ বললে কম বলা হয়। অপূর্ব রঙিন শরীর তার। থাকে হিমালয়ের অন্দরমহলে, রোডোডেন্ড্রনের জঙ্গলে। আমি দেখেছি তাদের, বহু দূর থেকে। ছবি তুলতে পারিনি।’ আলোকচিত্রীর জবানবন্দি।
‘এই মুহূর্তে ও একটা নীল ডট। বেশ কিছুটা সময় কেটে গেছে। ম্যাপে আমাদের বাড়ি থেকে ডট এক চুল নড়েনি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে না কি? না, ডটটা ছিটকে গেল।’
‘আমার কাউন্টার পার্ট এসেই ফোন খুলে ফেলেছেন। বললেন, ‘পাকিস্তান ইজ ফিনিশ্ড।’ আমিও বললাম, ‘সিভিল ওঅর?’ উনি বললেন, ‘শ্রীজাতর সিনেমাটা দেখা উচিত।”
‘হলের মাঝখানে কিছু ধাতুর ভাস্কর্য। দেওয়ালে বড়-বড় ছবির ক্যানভাস। ফুটকির মতো এক-আধজন দর্শক। প্রথম ছবিটার সামনে দাঁড়িয়ে মন ভাল হয়ে গেল। আর্ট-কে আমি ভয় পাই। সে সম্মোহিত করে। ডেকে আনে। তারপর দরজা থেকে ফিরিয়ে দেয়।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.