কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১২

এক কথায় বললে, তাঁর কবিতা প্রবাদের মতন। আশ্চর্য গীতিময়তা, তার সঙ্গে কল্পনার ব্যাপ্তি— এই দুই বৈশিষ্ট্য তাঁর কবিতাকে করে তুলেছে অনন্য। কেউ-কেউ এমনও বলেছেন, তিনি কবিতায় নাকি নক্ষত্রের রহস্য ভেদ করতে পারতেন। শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার দুনিয়ায় তাই একবার ঢুকে পড়লে, তা থেকে বেরোনো মুশকিল!

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ১১

‘শেষমেশ সন্ধের আগে-আগে একটা মোটা সোয়েটার চাপিয়ে বাবার হাত ধরে বেরিয়ে পড়া। এই যে বেরিয়ে পড়লাম একবার, এখান থেকেই কিন্তু সার্কাস শুরু। অপেক্ষা করতাম, যদি বাবার সঙ্গে দেখে পাড়ায় কেউ জিগ্যেস করে, কোথায় যাচ্ছি। তাহলে সামান্য হেসে, ‘এই তো, সার্কাস দেখতে’ বলবার গৌরবটা পেয়ে যাওয়া যাবে।’ সার্কাস দেখার আনন্দ।

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ১১

খেয়াল করলে দেখা যাবে বৃষ্টির কবিতা সংখ্যায় বেশি। কেন? কারণ বৃষ্টির কাছে গচ্ছিত থাকে অতীত, স্মৃতি, অনেক রকম শহর, অনেক রকম বেদনা আরও অজস্র অনুভূতি। তা-ই কবিতা লিখতেও বোধ হয় বার বার বৃষ্টির কাছে ফিরে যেতে হয়। কবিতার আড্ডাঘর জুড়ে অবিশ্রান্ত বর্ষণ।

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১১

‘হতে যে নিকট চাই, সে তুমি দূরের থেকে বোঝো।/ গলার রুশতী মালা খুলে রাখো হাটের বন্দরে/ এখানে পণ্যের দাম বাতাসিয়া। বিরহ সহজও।/ কলমগাছের নীচে চিঠি লেখানোর কথা ঝরে…’ নতুন কবিতা।

আলোকিত ছায়াপথের শেষে

‘যিশুখ্রিস্ট সাহেবদের দেবতা, সেই খোদ সাহেবদের দেশেও এমন বাঁধনহারা উদযাপন হয় না বড়দিনে। হ্যাঁ, মানুষজন ঘরবাড়ি সাজায়, নতুন কেনাকাটা করে, বাড়িতে-বাড়িতে ভোজ বসে ঠিকই। কিন্তু এই যে শহরের রাজপথে লাখো মানুষের ভিড় বইয়ে দেবার পাগলামি, সে এমনকী তাঁদের ফর্সা দেশেও নেই।’ বাঙালির যিশুপ্রীতি।

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ১০

‘বুকের ভেতরটা হত নরম, একটু তাতিয়ে নিলে তার সুগন্ধী ওম গুঁড়ো-গুঁড়ো হয়ে লেগে থাকত হাতে। সেই কেক কি একখানা কেনা হবে এবার, আমাদের বাড়িতে? বড়দিনের আগে আগে এই প্রশ্ন জামার পকেটে লুকিয়ে আমরা সকলেই পাড়া বেড়াতাম হাসিমুখে।’ বড়দিনের স্মৃতি।

গন্তব্যে পৌঁছয় গল্পের শুরু

যখন হাত দিলেন ছোটগল্পে, তখন কল্পনার জগতকে সরিয়ে রেখে, নেহাতই বাস্তব পারিপার্শ্বিককে বেছে নিলেন গল্প শোনাবার পটভূমি হিসেবে।কাহিনির আকৃতিকে তিনি বেঁধে রাখলেন নির্দিষ্ট একটি সীমায়।জোর দিলেন কাহিনির বুননে। সত্যজিতের ছোটগল্প হয়ে উঠল অনন্য।

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১১

হেমন্তের পরে যে শীতের বিষণ্ণতা ঘিরে থাকে, সেই সময় জীবনানন্দের কবিতা খুব বেশি করে মনে পড়ে। তিনি যেন সবার বিষণ্ণতার পাহারাদার। সবার বিষণ্ণতার দায় তিনি নিয়েছেন আর কবিতা দিয়ে পূর্ণ করেছেন সেই বিষণ্ণতাকে। সেই না-দেখা কবির কবিতা আশ্রয় দিক আমাদের জন্ম-জন্মান্তেরের বিষণ্ণতাকে।

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১০

‘ছলনা ব্যাধের সঙ্গী। যেরকম রুমাল, তোমার।/ ফেলে কবে গেছ আর তারই সুগন্ধের জেরে আমি/ এ-শহরে বাসা নিই। আসলে শিকার হই তার…/ যে-নিজরহস্য নিয়ে আজও অরণ্যের অনুগামী।’ নতুন কবিতা।

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ১০

‘ধ্বংস’ নামের কাব্যগ্রন্থ থেকে পড়া কিছু কবিতা। মিথ্যা সম্প্রীতির জাল ভেঙে বেরিয়ে আসা সময়ের কিছু লেখা, যুদ্ধ পরিস্থিতির কবিতা।

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ৯

‘…ভূগোল নিয়ে ভর্তি হবার এক সপ্তাহের মধ্যে, বন্ধুবৃত্ত তার ডানা ছড়াল সিন্ধবাদের রকপাখির মতোই। ইংরেজি, ইতিহাস, বাংলা, রাশিতত্ত্ব, সব বিভাগের একমনা ছেলেমেয়েদের সে এনে ফেলল তার ডানার ছায়ায়।’ কলেজের সিঁড়ি।

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১০

অল্পে যিনি অনন্ত দেখাতে পারেন তিনিই সার্থক কবি। তেমনই একজন বরেণ্য কবি বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়। যাঁর অনায়াস যাতায়াত সাধু-চলিত ভাষায়। একটি চলিত শব্দের পাশে এমন ভাবে একটি সাধু শব্দ বসিয়ে তিনি ভাবের বৃত্ত সম্পূর্ণ করতে পারতেন, তা সত্যিই মুন্সিয়ানার পরিচয় দেয়। অদেখা কবির কবিতার স্বাদ।