Article on Storytelling week by Jaya Mitra inspecting the history of storytelling throughout the world.

উচ্চারিত অক্ষরের চলাফেরা

‘প্রতি ক্ষেত্রেই গল্প, কখনও বা গাথা, হয়ে ওঠা কথনসমূহের মধ্যে ঢুকে পড়েছে আশপাশের আরও অনেক উপকথা বা উপকাহিনি। মৌখিক কথার বিশেষত্ব নদীর মতো বেড়ে উঠতে থাকার এই স্বাধীনতা।’

যখন পাহাড় নীচে নেমে আসে

‘প্রকৃতিতে একেবারে অকস্মাৎ কোনও কিছুই ঘটে না, আগে কোথাও-না-কোথাও সতর্কবার্তা দেখা যায়। কেরালাও ব্যতিক্রম নয়। ২০১৫ থেকে ২০২২-এর মধ্যে দেশে যত ভূমিধ্বসের ঘটনা ঘটেছে, জানা যাচ্ছে তার শতকরা ষাট ভাগই ঘটেছে কেরালায়।’

মহাভারথের বালা হিম্মত

‘এই ভীল ভারথ-এ কারো কোনও জন্মকথায় কোনও রহস্য নেই— কুন্তী, গান্ধারী, যথাক্রমে কুতরমা ও গতরমা, পাণ্ডবরা, দ্রৌপদী অর্থাৎ ধোঁফা— কারো নয়। ঈষৎ প্রচ্ছন্ন জন্মবৃত্তান্ত কেবল দুজনের— কর্ণ আর বালা।’ মহাভারতের অন্য পাঠ।

ভিন্নরঙের মহাকাব্য

‘ঋত্বিকের ‘সুবর্ণরেখা’য় পরিত্যক্ত এয়ারপোর্টে সীতার মুখে সেই আলগা ভাসিয়ে দেওয়া মন্তব্যটি মনে পড়ে, ‘কবে একটা যুদ্ধ হয়েছিল, এখনো দেখ তার দাগ পড়ে আছে।’ কোন সেই আদিম যুদ্ধের বীজ— ভূমি আর নারীর দখল নিয়ে, ক্ষমতাশালী পিতৃতন্ত্র যা থেকে তৈরি করে কখনো ইলিয়াড, কখনো মহাভারত, বা রামায়ণ। অন্য কোনো দেশে ক্ষমতাদখলের আরো কোনো গাথা। কিন্তু দেখি, আমাদের নিত্যজানিত এই সীমানার বাইরেও কত অভিনব রূপে বেঁচে ছিল সেই গাথাগুলি— যাদের নাম ‘জয়কাব্য’ নয়।

রাজা ও পথবালক

‘…ফাদার স্ট্যান স্বামী একটি সুসংহত নিবন্ধে সরকারের কাছে তাঁর আদিবাসী অধিকার ও পরিবেশ সংক্রান্ত অধিকারের প্রশ্নগুলোকে তুলে ধরেন। আটটি আলাদা আলাদা অনুচ্ছেদে নির্দিষ্টভাবে তিনি নিজের প্রশ্নগুলোকে সন্নিবিষ্ট করেন।’ দেশের বিবেকে আঘাত হানা মৃত্যু।

আজি ঝড়ের রাতে

‘সদ্যস্বাধীন দেশের প্রাকৃতিক সম্পদভাণ্ডার, আর সেই সম্পদকে ব্যবহার করার যে বিপুল জ্ঞান ও অভ্যস্ততা এই দেশের লোকসাধারণের ছিল— সেই দুই সম্পদকে অবহেলা করে শুরু হল আমদানি করা এক অলীক ‘উন্নয়ন’ যাত্রা।’ পরিবেশ বনাম উন্নয়ন।

সামান্য জীবনের গল্প

বৃষ্টি বেড়েছে। টিনের দরজা খটখট শব্দ করছিল। ঘরের চালেও শব্দ হচ্ছিল জোর। তার মধ্যে দুইজন মানুষ বসে থাকে আট বছরের দূরত্ব পার করে।…সম্পর্কের টানাপড়েন চলে, চলতেই থাকে। তাতে সময়ের তাপ্পি কিছুটা তাপ আড়াল করতে পারে কিন্তু সংশয় থেকেই যায়।