এক শালিক : পর্ব ৫০

সিনেমার এক্সট্রা থেকে ব্রিজের শ্রমিক, সকলে জানেন তাঁদের নাম কেউ জানবে না, কাজের বড় স্বীকৃতি তাঁরা পাবেন না, তবু তাঁরা নিজেদের কাজ নিষ্ঠাভরে করে যান। কখনও বড় কবি নিজের ভাবনা মহাভারতে প্রবিষ্ট করে নিরভিমানে সরে যান, ব্যাসদেবের কীর্তি প্রচারিত হয়।

সামথিং সামথিং : পর্ব ৪৯

‘এখন পাশ্চাত্যে থ্যাংকসগিভিং চলছে, গোড়ায় নাকি তা শস্যফলনের জন্য ধন্যবাদ-প্রদান অনুষ্ঠান ছিল, ইদানীং নির্দিষ্ট গণ্ডি নেই, সামগ্রিক ধন্যবাদের পরব। টার্কি খাও, আত্মীয়দের সঙ্গে হল্লা মচাও, এবং ঈশ্বর ও পৃথিবীকে কৃতজ্ঞতা জানাও।’

এক শালিক : পর্ব ৪৯

দলে ভিড়লে বহুক্ষেত্রেই মানুষের মানবিকতা ও নীতিবোধ লোপ পায়— এই কঠিন সত্যের সাক্ষী পুরাণের পাতা থেকে সভ্যতার ইতিহাসে বিভিন্ন যুদ্ধের নৃশংস সব কাহিনি। আজকের সভ্য-সমাজেও রাশিয়া-ইউক্রেন থেকে ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাত তা আবারও মনে করাচ্ছে।

ছায়াবাজি: পর্ব ১৯

‘শেষ দৃশ্যে বু’র বিচার হয়, সেখানে মা’র উকিল তার দৈনন্দিন জীবন থেকে ঘটনা তুলে তুলে তাকে দোষী সাব্যস্ত করতে থাকে, বু’র উকিল প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে উঁচু থেকে ফেলে হত্যা করা হয়। ফের কাফকা। বিচার, শাস্তি, আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ না থাকা।’

এক শালিক : পর্ব ৪৮

আজকের পৃথিবীতে মাল্টি-টাস্কিং এক বাধ্যতামূলক চারিত্রিক উপকরণ। যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে— এই মন্ত্র খেলার মাঠকেও ছাড়েনি। ব্যক্তি বনাম সমষ্টি-র এই ইঁদুরদৌড় কি খেলার মাঠের অনায়াস, অনাবিল আনন্দকে শিকলবন্দি করে তুলছে?

সামথিং সামথিং : পর্ব ৪৮

‘নিজের মা-বাবার প্রতি পক্ষপাত স্বাভাবিক, নিজের জাতি বা দেশের প্রতি পক্ষপাত স্বাভাবিক, কিন্তু স্বাভাবিক বলেই তা কাম্য হতে হবে কেন? এগুলোকে একবার বেদিতে তুলে পুজো শুরু করলে, সাম্প্রদায়িকতাকেও স্বাভাবিক, সুতরাং পূজ্য মনে হবে।’

এক শালিক : পর্ব ৪৭

দুর্গাপুজো আসা মানেই চতুর্দিকে শুধু আনন্দ আর আনন্দ! তবে খেয়াল করলে দেখা যাবে, এই আনন্দের একজনই কেবল শত্রু। পুলিশ নয়, গাড়ি নয়, রাস্তার গর্তও নয়— সে হল নিজেরই দুটো পা!

কালের ডুগডুগিওলা

‘এই লোকের ওপর রাগ করা যায়, কিন্তু অনুরাগ থামানো যায় না। কারণ এই লোকটার মতো আর বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে কেউ নেই। এ একটা লোকই না, একটা আইডিয়া, একটা ছায়াপথ, যার মধ্যে বহু দীপ্তির পুঞ্জ আর অনেক সর্বনাশের আঁধার।’

এক শালিক : পর্ব ৪৬

সময়ের জাদু এমনই যে কাল অব্দিও যা ছিল অস্পৃশ্য, আজ সেটাই হয়ে উঠেছে স্বাভাবিক; আবার আজ যেটা প্রথাবিরোধী, আগামীতে সেটাই হয়ে উঠবে সর্বজনগ্রাহ্য। আসা-যাওয়ার এই স্রোত বলে যায়— কোনও কিছুই চিরস্থায়ী নয়।

ছায়াবাজি : পর্ব ১৮

‘একটা দেশের লোকজন যখন শুধু ভাল করে সাবান ঘষে ঘষে চান করতে আর ‘আমি বাবা কোনওকিছুতে শামিল হব না’ ভাবতে ও দায় এড়াতে ব্যস্ত থাকে, তখনই কি সেই দেশে স্বৈরাচার গজিয়ে ওঠে ও থিতু হয়?’

এক শালিক : পর্ব ৪৫

আমেরিকার সিয়াটেলে পুলিশের গাড়িতে মৃত্যু হয় বছর তেইশের এক ভারতীয় তরুণীর। তদন্তের স্বার্থে যে-পুলিশ আসেন, তিনি মেয়েটির মৃত্যুকে নিয়ে হাসাহাসি করেন এমন প্রমাণ পাওয়া যায়। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই প্রশ্ন ওঠে, আধুনিক সভ্যতায় এতটা দরদবিমুখ হওয়া যায় কি?

সামথিং সামথিং : পর্ব ৪৭

‘সব লোককে চিরদিনের জন্য দিব্যি হ্যাট হ্যাট বলে পিঠে ছপটি মারতে মারতে তাড়িয়ে বেড়ানো যায়? এবং তারা লাগ-লাগ-খুশি হয়ে ন্যাজ নাড়াতে নাড়াতে প্রভুর ছুড়ে দেওয়া ঘাস চিবোয় ও সিনেমা হল-এ জাতীয় সংগীতের সময় কাঁকালের ব্যথা সামলে ঠিইক উঠে দাঁড়ায়?’