
এক শালিক: পর্ব ৬৭
প্যারিস অলিম্পিকের আঙিনায় এবারের উদ্বোধন অনুষ্ঠান থেকে খেলোয়াড়দের অনায়াস আত্মবিশ্বাস, সবই আমাদের আতশকাচের তলায়। জীবনের সব ক্ষেত্রে এখন অযথা বিতর্ক বিদ্যমান; খেলার মঞ্চই বা বাদ থাকে কেন!
প্যারিস অলিম্পিকের আঙিনায় এবারের উদ্বোধন অনুষ্ঠান থেকে খেলোয়াড়দের অনায়াস আত্মবিশ্বাস, সবই আমাদের আতশকাচের তলায়। জীবনের সব ক্ষেত্রে এখন অযথা বিতর্ক বিদ্যমান; খেলার মঞ্চই বা বাদ থাকে কেন!
‘চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর টিম-বাসে কে কী করছে, বা খেলোয়াড়রা ড্রেসিং রুমে নিজেদের মধ্যে কী বলছে, তা রেকর্ডেড হলে যে-সে যুগে-যুগে মুশকিলে পড়বে। অতি বড় ন্যায়-প্রচারকও হয়তো গেঞ্জি ছাড়তে-ছাড়তে বউকে বলেন, ওই ট্যারাটাকে দেখেই বুঝেছি, মহা বদমাশ।’
মানবজাতির যে-কোনও কাজ ‘পেরে যাওয়া’র প্রতি একটা অশেষ শ্রদ্ধা আছে। সে-কাজ যদি অনৈতিকও হয়, তা-ও তা গ্রহণযোগ্য, কিন্তু না-পারা নয়। জো-বাইডেন টক্করের লড়াই দিতে পারলেন না বলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন। তা না হলে যে ট্রাম্পের সুবিধে!
‘পাঁচজনের মধ্যে কোনও সমীকরণ, প্রণয় বা বিচ্ছেদ বা যৌন আকর্ষণ, বা একটা মেয়ের প্রেমে দুজন, দুটো মেয়ের প্রেমে একজন— যার বিভিন্ন কম্বিনেশন প্রায় যে-কোনও চিত্রনাট্যকার আবশ্যিক মনে করতেন ছবিটা লিখতে গেলে— তার ধারই মাড়ানো হয় না।’
সময় বদলায়, সঙ্গে সঙ্গে মানবসভ্যতাও উন্নত থেকে উন্নততর হয়- এই ধারণা কি ঠিক? গণপিটুনির সাম্প্রতিক ঘটনাবলি কিন্তু এই ইঙ্গিত দেয় যে, সময় আদৌ বদলায় না; বাস্তবে সে একরৈখিক নয়। মানুষের হিংস্র প্রবৃত্তির কোনও ইতি নেই বলেই হয়তো ইতিহাস বার বার ফিরে ফিরে আসে।
‘কেউ কি ভাবতে পারে, দাবায় প্রতিপক্ষের চালে মাত হতে-হতে আমি মরিয়া হয়ে তার ঘাড়ে রদ্দা হাঁকিয়ে চেয়ার থেকে ফেলে দিচ্ছি? ফুটবলে লোকটা যদি আমাকে কাটিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে… কেন আচমকা জোরে জুতো দিয়ে মেরে তার দৌড়কে ব্যাহত করব?’
মোবাইল ফোনের ব্যবহার, বিশেষজ্ঞদের মতে শিশুমন ও মস্তিষ্কে তো বটেই, প্রাপ্তবয়স্কদের মনঃসংযোগের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট প্রভাব ফেলে । কিন্তু শিশুদের কেবল বকাঝকা করে একটা অনিবার্য বাস্তব থেকে দূরে রাখলে তাদের আদর্শ বেড়ে ওঠা হবে কি?
‘সব ছাপিয়ে থেকেছে পরিচালকের এই স্বর: চারিদিকে যা ঘটছে বলে তুমি ভাবছ, তা আদৌ ঘটছে তো? না কি, ঘটছে বলে তোমায় ভাবানো হচ্ছে? যে খবর তোমায় দেওয়া হচ্ছে, তা সত্য, না অর্ধসত্য, না পুরো মিথ্যে?’
কঙ্গনা রানাওয়াত সম্প্রতি তাঁর বিরূপ মন্তব্যের জন্য চড় খেলেন, যাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসার ঝড় উঠল। তাহলে আমরা কি বাক্স্বাধীনতার অর্থ ভুলে গেছি? প্রশ্ন জাগে, প্রতিবাদের ভাষা কি তাহলে একমাত্র আঘাত? এর নামই কি প্রগতিশীলতা?
‘রাশিয়ানরা কখনও ট্রেনে করে শিল্প প্রদর্শনী দেশময় ঘোরাচ্ছে, যেখানে কমিক্সও আছে, আর কখনও মাগনা কমিক্স পড়তে দিচ্ছে, যাতে বাচ্চাগুলো বিনোদনের টানে মনে করে ইউক্রেনীয় মানুষদের মারলে পৃথিবীর উপকার করা হয়।’
গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাকের কাছে এক ব্যক্তি একটা প্রশ্ন করলেন, ভুল উচ্চারণ-সহ। গায়ত্রীদেবী শুধরে দিতে গেলে, প্রশ্নকর্তা এই বিষয়টাকে বললেন ‘ছোটখাট ব্যাপার’। আবারও সেই ভুল উচ্চারণেই তিনি প্রশ্নটা করলেন। এমনকী বোঝাতে চাইলেন, অন্যায়টা গায়ত্রীদেবীরই।
‘সে খুন করে কেন? কারণ এভাবে সে দেশের পাপ দূর করতে চায়। যারা এত অপবিত্র যে, মেয়ে হয়ে বহু পুরুষের সঙ্গ করে, তাদের খুন করে সে শিক্ষা দিতে চায়। সে পুণ্যের কারবারি। ঈশ্বরের সহকারী। সংস্কারের কান্ডারি।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.