
এক শালিক : পর্ব ৮৩
প্রকাশ্যে কোনও রাষ্ট্রনায়কের প্রতি অশালীন ব্যবহার কি বীরত্বের প্রদর্শন হতে পারে?
প্রকাশ্যে কোনও রাষ্ট্রনায়কের প্রতি অশালীন ব্যবহার কি বীরত্বের প্রদর্শন হতে পারে?
‘মূল ছবি জুড়ে শুধু একটা বাড়ি আর একজোড়া নর-নারী, এবং বাইরের বিশ্বের প্রতিনিধি হয়ে তাদের নিরিবিলি পরিসরে হানা দিচ্ছে অন্য লোকটা। যেন একটা রিক্ত প্রান্তরে আদম আর ইভ এবং একটা অবাঞ্ছিত সাপ।’
‘পুরাকালের স্থাণু বা নব্যযুগের ঝানু— সকলেই চটজলদি সমীকরণে বিশ্বাসী। কেউ-ই মনে রাখে না, একটা গোটা গোষ্ঠী অবিমিশ্র ভাল বা বেধড়ক মন্দ হওয়া অসম্ভব (একটা গোটা মানুষের বেলায়ও তা খাটে)।’
বাঘে-শূকরে এক কুয়োতে আটকে পড়েছিল মধ্যপ্রদেশের একটা গ্রামে। বনদফতর উদ্ধার করেছে তাদের। কিন্তু এই বিপদের সময়টায় বাঘ ও শূকর খাদ্যখাদক সম্পর্ক ভুলে পাশাপাশি ছিল। বাঘ আক্রমণ করেনি আর শূকর ভরসা করেছিল। মানুষ কি এসব নীতিনিয়ম আদৌ মেনে চলে?
গোটা গ্রিনল্যান্ড কিনে নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? দেশ কি তবে এবার বিকিকিনির বাজারের পণ্য হয়ে উঠবে? ভাড়াও নেওয়া যাবে দেশ? তবে দেশ কেনাতেই আটকে থাকবে কেন? মানুষ-সংস্কৃতি সবই কিনে নেবে হয়তো! দখলরির নতুন ব্যাকরণ তৈরি হল বলে!
‘গ্যারি ভদ্রলোকের একটা নয়, দশটা পদক নষ্ট, তবু নো চড়াইপাখির কষ্ট! উনি বুঝেছেন, তাতে ইতিহাস ছাই হয় না, ওঁর নামের পাশে রেকর্ড বইয়ে জয়গুলোর কথা স্পষ্ট।’
চিলির ছবি ‘ইন হার প্লেস’ কোথাও প্রকট কর্কশ ভাবে নারীস্বাধীনতার ঝান্ডা তোলে না, একটা লোকের নিজের যত্নের তৃষ্ণাটুকু, নিজেকে মর্যাদা দেওয়ার খিদেটুকু দরদি দৃশ্যে দেখিয়ে যায় শুধু।
লস অ্যাঞ্জেলেসের আগুন যেমন সব কেড়ে নিয়েছে, তেমনি দিয়েছেও কিছু। এই ভয়ঙ্কর দাবানল দমনে দমকলের পাশাপাশি শামিল হয়েছে কয়েদিরাও। অপরাধীদের সংশোধনের জন্য এই পন্থা থেকে আমরাও কি কিছু শিখব না? কেবল সংশোধনাগার বললেই হবে?
প্রচুর সংস্থা নিজেকে অভিজাত প্রমাণ করার জন্য উদ্ভট নিয়ম বানায়। জিনস পরে দাবা খেলা যাবে না, পাজামা পরে কলকাতার ক্লাবে ঢোকা যাবে না, টাই না বেঁধে অফিসে এলে চাকরি যাবে। ধর্ম থেকে বিনোদন, সর্বত্র এই প্রবণতা আসলে কেরানিগিরি আর দাদাগিরির মিশেল।
বাকস্বাধীনতার কোনও সীমা থাকতে পারে না, সেই অধিকারের ডগায় কোনও তারাচিহ্ন দিয়ে মিনি-হরফে ‘শর্তাবলি প্রযোজ্য’ লেখা যায় না। যদি ক-কে নিয়ে ব্যঙ্গ করা যায়, তবে খ-কে নিয়েও যাবে।
‘আর্টফিল্মেরও যে ছক রয়েছে, যুগ-সই হওয়ার চলিত নকশা, তা থেকে তিনি সরে আসেন। অগ্রাধিকার দেন শিল্পটার গভীরতা এবং পরিণতমনস্কতাকে, পর্দায় রক্তমাংসের মানুষ-দেখানোকে। দেগে দেওয়াকে নয়, ঘৃণায় ক্যাটক্যাটে শান-দেওয়াকে নয়।’
ঋষভ পন্থ টেস্ট ক্রিকেটে খেলতে নেমেই চার-ছয় হাঁকাচ্ছেন। অনেক সময় সেগুলো ক্রিকেটীয় শট তো নয়ই বরং কখনো পড়ে গিয়ে কখনও হাস্যকর ভাবে ব্যাট চালাচ্ছেন! তাতে বোদ্ধাদের ভারী গোঁসা হচ্ছে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে এমন মারলে রাগ হওয়াই তো স্বাভাবিক!
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.