Movie Scene from The Tale

ছায়াবাজি : পর্ব ৪৩

‘তা-ই হয়, আমাদের শত সংসারে আমাদের শিশুকন্যার নিগ্রহ আমরা ‘চুপ চুপ’ রবে চাপা দিতে উন্মুখ হই, আত্মীয়টির (বা অনাত্মীয় শিক্ষকটির) মুখোমুখি হই না, কী দরকার বাবা শান্তি বিঘ্নিত করে, হইচই বাগালে সকলেরই ঝঞ্ঝাট। স্মৃতির অনেকগুলো স্তর এতদিন চাপা পড়েছিল, নায়িকার চেষ্টায় তারা পর পর খুলে যেতে থাকে এবং নায়িকা বোঝে, সেই পুরুষ (এখন প্রবল বিখ্যাত কোচ) আসলে এক অপরাধী, নারী-শিকারী, অনেকের সঙ্গেই এমন করেছে।’

Scene of Sacred Games

সামথিং সামথিং : পর্ব ৭২

‘এছাড়া লোককে ভক্তিতে তটস্থ রাখার জন্য সামান্য কিছু দড়িদড়ার জোগাড় দেখতে হয়, নিষেধের পেরেক বিছিয়ে রাখতে হয়, যাতে সে সিধে সজাগ হয়ে চলে। আসল বার্তা হল: সবাইকে ভালবাসো, বিশেষত নিজের ধর্মকে। এবং সেই অনুরাগ জঙ্গি হওয়াই ভাল।’

Movie Scene

ছায়াবাজি : পর্ব ৪২

‘এমনিতে ছবির ভঙ্গিটা কেজো, যেন, যা হচ্ছে তা দেখাচ্ছি, ওরা কথা না বললে আমি তো আর সংলাপ তৈরি করে দিতে পারি না। চরিত্র দু-জনকে দেখানো হয় কোনও একটা দোকানে ঢুকে খাবার কিনছে, ফুটপাথ দিয়ে হাঁটছে, কোনও খেলার দোকানে ঢুকে স্ক্রিনে একবার কাটাকুটি খেলল, ভারী সুটকেসটা স্টেশনের সিঁড়ি দিয়ে টানতে টানতে তুলছে, টিকিট নেই বলে মেট্রো রেলের গেটের তলা দিয়ে গলে বেরিয়ে গেল। কিন্তু ছোট ছোট আঁচড়ে বহু কথা বলা হয়।’

Representative Image

সামথিং সামথিং : পর্ব ৭১

‘প্রিমিয়ারের কত্তাদের যুক্তি সম্ভবত এই: আশপাশের বাড়ির লোকের কথা তো আমি ভাবব না, আমার টার্গেট রাস্তা দিয়ে চলা জনতা এবং বাস, অটো, গাড়ি, রিকশার স্রোতের ভেতর থাকা পাবলিক, যারা যেতে যেতে একঝলক দেখে ও শুনে প্রচুর মুগ্ধতা ও কৌতূহল নিয়ে বাড়ি ফিরবে।’

nightbitch

ছায়াবাজি: পর্ব ৪১

‘এ-ছবিতে কুকুর মানে হতে পারে বকলশ ছিঁড়ে বেরিয়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা, সমাজ-সংসারের এবং নিজের ভাবমূর্তির তোয়াক্কা না করে স্বাদু খরগোশের ঘাড় মটকাবার সাহস, হতে পারে নিজের প্রকৃত কাজের (এখানে শিল্পসৃষ্টির) তাগিদের ডাক, হতে পারে সব ক’টাই।’

সামথিং সামথিং : পর্ব ৭০

‘এই দেশের লোকের, কর্তৃপক্ষের সাড়া পাওয়ামাত্র পেট-গুড়গুড় শুরু হয়ে যায়। বস লিফ্টে উঠেছেন শুনেই সবাই সিকনির রুমাল পকেটে ঢুকিয়ে, তাসখেলা মিনিমাইজ ক’রে, গলা-খাঁকারি দিয়ে সিধে-পিঠে বসে, যৌবনবতী কলিগের পানে পারতপক্ষে তাকায় না।’

assessment

ছায়াবাজি: পর্ব ৪০

‘ছবির শেষে জানা যাবে, এই মূল্যায়নের আগে থেকেই রাষ্ট্র ঠিক করে দিয়েছে, কেউই পাশ করবে না (গত ছ’বছর ধরে কাউকে পাশ করানো হয়নি), কারণ নতুন মানুষ এলে তাকে লালন করার ক্ষমতা এই সমাজের এই মুহূর্তে নেই। শুধু নাগরিকেরা যাতে খুব হতাশ না হয়, তাই অভিনয় করতে হয়।’

call me by your name final shot

একদা ছেলের গলায়

‘প্রেম কেড়ে নেওয়ার তরবারি যেমন কতটা ছেদ করে যায় বোঝা যায় না, তেমনি আরোগ্য-কাণ্ডের কোলকুঁজো স্টান্স এবং ভিটভিটে রেলাও তার তুখড় খেলা আবডালে রাখে। আগে কে জানত, তেড়ে ফুচকা খেয়ে নিলেই যে-জ্বালাটা ধরে, তেঁতুলজল আর অশ্রুজলে তফাত গুলিয়ে যায়!’

সামথিং সামথিং: পর্ব ৬৯

‘এই দেশে নারী হয়ে জন্মাবেন না, যদি জন্মান, পরিবারের ইচ্ছের বিরুদ্ধে কদাপি যাবেন না, তাদের পছন্দের পুরুষকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়ে করে ফেলুন। নিতান্ত প্রেম করলে নিজের জাতের পুরুষের সঙ্গে করুন (হোয়াটসঅ্যাপে আগে কুষ্ঠি দেখুন, পরে সেক্সটিং)।’

এক শালিক : পর্ব ৯১

ইরান নিজের দেশে স্বাধীনতা চায়, কিন্তু সেই স্বাধীনতা দেবে আমেরিকা ও ইজরায়েল? এমন দাবি ইরান মানবে কেন?

Scene of 'Civil War'

ছায়াবাজি : পর্ব ৩৯

‘যে নতুন ফোটোগ্রাফারটি এই দলে ভিড়েছে, সে ক্রমশ হিংসা ও হত্যা দেখতে অভ্যস্ত হয়, প্রবল গুলি চলছে ও ডাইনে-বাঁয়ে লাশ পড়ছে, একটি লোক সামনে তড়পে মারা যাচ্ছে, তার মধ্যেই সেও অন্যদের মতোই ছবি তুলতে থাকে।’