আঞ্চলিক ভাষার বিজয়

‘এই একটা পুরস্কার আর আমাদের অনুবাদ সাহিত্য পড়ার উৎসাহকে কত দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে, সে বিষয়ে একটা প্রশ্ন থেকে যায়। যদিও আমি এ ব্যাপারে সত্যি খুব আশাবাদী। কারণ এখন বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা থেকে ইংরেজিতে অনুদিত বইয়ের চাহিদা বাড়ছে। আর সবথেকে বড় ব্যাপার হল, যারা ইংরেজিতেই লেখেন আর যাঁরা আঞ্চলিক ভাষায় লেখেন, তাঁদের মূল কনটেন্ট-এ অনেক পার্থক্য থাকে।’ গীতাঞ্জলী শ্রী-র ইন্টারন্যাশনাল বুকার প্রাইজ জয়ের পরিপ্রেক্ষিতে অনুবাদ-সাহিত্য।

দিল্লি ডায়েরি: পর্ব ৮

‘গত বছরের অন্তিম মাসে শুরুর দিকে সবার চোখে স্বপ্ন, প্রাণে আশা, রেস্তোরাঁ উপছে পড়ছে, যানজট, মেট্রোভর্তি যাত্রী, দোকানপাট খোলা, মলেও ভিড় (যদিও কেনাকাটা আগের তুলনায় কম, তার কারণ বলা বাহুল্য), রেলস্টেশনে-বিমানবন্দরে লোক উপচে পড়ছে। আর তার এক মাসের মধ্যেই নানা নিষেধাজ্ঞা, রোজ রাতে এবং শনি-রবি সারাদিন কারফিউ, আবার সবাই যে যার গর্তে সেঁধিয়ে গেছে।’

দিল্লি ডায়েরি: পর্ব ৭

‘…বহু দিন হল সারা দেশে একটা ধারণা হয়েছে, দিল্লির কলেজে না পড়তে পারলে জীবন বৃথা। যদিও প্রত্যেক বছর যে শ্রেষ্ঠ কলেজের তালিকা বেরোয়, তাতে অন্যান্য শহরের বহু কলেজ আছে।’ রাজধানীর আডমিশন-পাগলামি।

দিল্লি ডায়েরি: পর্ব ৬

‘…ওই নমো নমো করে আর কি! নো জাঁকজমক। এবারও তাই। ওটা তো ধর্মের ব্যাপার, আসল জিনিস তো প্যান্ডেল-ভিড়-স্টল-খাওয়া দাওয়া-পি.এন.পি.সি.। দিল্লির পি.এন.পি.সি. আবার স্পেশাল, আমলা-মন্ত্রী-সম্পাদক-টাইকুন এদের ছাড়া কারো নিন্দে কেউ ধার ধারে না।’ রাজধানীর পুজো।

দিল্লি ডায়েরি: পর্ব ৫

‘…অন্তত প্রথম দিন বিকেলে দেখা গেল, পড়ুয়ারা খুব বেশি সংখ্যায় পৌঁছয়নি। একে তো স্কুল যাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়নি, ইচ্ছে আর বাড়ির অনুমতি থাকলে তবেই যাওয়া। তাছাড়া নিয়ম হচ্ছে সবাই রোজ যাবে না… এখন এই বিষয়ে বাবা-মাদের কী ইচ্ছে আর ছেলেমেয়েরাই বা কী চাইছে, দেখে নেওয়া যাক।’ করোনা-কালে স্কুলে ফেরার পালা।

দিল্লি ডায়েরি: পর্ব ৪

‘কিন্তু এ কী! কেনাকাটা বন্ধ রাখ কেনে।
দক্ষিণ দিল্লিবাসী দেখি একটু বেশি জানে।।

খান মার্কেটে দেখি খরিদ্দার বাড়ন্ত।
বিজলি বাতি জ্বলছে দোকানদার ঘুমন্ত।।

এরম করলে কেমনে ফিরবে ইকনমির হাল।
খরচ করো আজকে দেখা যাবে কী হয় কাল।।’

রাজধানীর ভাইরাস-পাঁচালি

দিল্লি ডায়েরি: পর্ব ৩

‘তা দিল্লির লোক রেস্তরাঁ থেকে খাচ্ছে কী? একজন মাত্র সরবরাহকারীকে জিজ্ঞেস করে এই প্রশ্নের জবাব আদায় করার থেকে অবৈজ্ঞানিক প্রণালী আর কিছুই হতে পারেনা ঠিকই, কিন্তু বাজারে নেমে সমীক্ষা করার উপায় তো আর নেই। উত্তরে জানা গেল সেই পিৎজা এবং বাটার চিকেনের সাম্রাজ্য জারি আছে, খাওয়া নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার মেজাজও লোকের নেই।’ দিল্লির কোভিড পরিস্থিতি।

দিল্লি ডায়েরি: পর্ব ২

‘পঞ্জাব থেকে শুরু করে হরিয়ানা, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, এমনকী আরও সুদূর প্রদেশের কৃষকরাও কাতারে কাতারে জমায়েত হলেন সরকারের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে তাঁদের মতামত জানাতে। আন্তঃশহর সড়কে মাইলের পর মাইল ধরে তাঁদের অবস্থান।’ দিল্লির প্রতিবাদ।

দিল্লি ডায়েরি: পর্ব ১

‘কেন্দ্রীয় সরকার নতুন আইন পাশ করে, দিল্লির সরকারের হাতে যেটুকু ক্ষমতা ছিল তাও ভোঁতা করে দেওয়ার বন্দোবস্ত করে ফেলেছেন। এখন লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অনুমতি ছাড়া কেজরিওয়াল সরকার অনেক কিছুই করতে পারবেন না।’ সাম্প্রতিক দিল্লির হালচাল।