বাংলাদেশের ‘প্রথম আলো’র নির্বাহী সম্পাদক। 'গাণ্ডীব’ নামে প্রভাবশালী ছোটকাগজের অন্যতম সংগঠক। ‘ছুরিচিকিৎসা’ তাঁর কাব্যগ্রন্থ। তাঁর কবিতা একাধিক ভাষার আন্তর্জাতিক সংকলনগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত। ‘রক্ত ও অশ্রুর গাথা’ তাঁর তর্জমায় ফেদেরিকো গার্সিয়া লোরকার কবিতার প্রতিনিধিত্বমূলক সংকলন। টি.এস. এলিয়টের ‘দ্য ওয়েস্টল্যান্ড’-সহ আরও বিচিত্র তর্জমা করেছেন। আরও বই ‘সোলেমানগীতিকা’ এবং ‘নির্ঘুম দ্বীপের পদাবলি’। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেরিয়েছে রণজিৎ দাশের সঙ্গে যৌথ সম্পাদনায় ‘বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কবিতা’। গদ্যের বই ‘যেখানে লিবার্টি মানে স্ট্যাচু’ এবং ‘ঈশ্বর দর্শন: অবাক থেকে বাক ছাপিয়ে’।
কৌশিক গুড়িয়া স্কুলে জীবন বিজ্ঞান পড়ান। কলেজে পড়ার সময় একটি pen(ও)লেজ গজিয়েছিল! তারপর থেকে শুধুই ভাবতে ভালোবাসেন। দু’টি হেরে যাওয়া পত্রিকা চালাতেন। সাহিত্যের পর্যালোচনায় সংখ্যাতত্ত্ব ব্যবহার করে তাঁর একটি ছোট্ট বই আছে। প্রিয় শব্দ অনুশীলন। অনন্ত লিখতে চান...
শুভম চক্রবর্তীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা পুরুলিয়ার পছন্দপুরে, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষক। মূলত কবি হলেও অনুসৃজন করেছেন শ্রীচৈতন্য ও শঙ্করাচার্যের শ্লোক, লিখেছেন ছড়া ও প্রবন্ধ, সম্পাদনা করেছেন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। এ-যাবৎ কবিতার বই পাঁচটি— অনুবাদগ্রন্থ : ‘শ্রীচৈতন্যের শিক্ষাষ্টক ও অন্যান্য কবিতা’, ছড়ার বই : ‘ছড়াতুতো’। ভালোবাসেন গান, অধ্যাত্মচর্চা আর এলোমেলো ঘুরে বেড়াতে সমুদ্রে, পাহাড়ে।
চন্দ্রিল ভট্টাচার্য সাহিত্যিক, গীতিকার, বক্তা। দশটি বই লিখেছেন। ‘চন্দ্রবিন্দু’ গানের দলের সঙ্গে যুক্ত। খুব শখ, কান-বার্লিন কাঁপানো চলচ্চিত্রকার হবেন, কিন্তু সে গুড়ে ধারাবাহিক বালি পতনের ফলে ইদানীং ফ্যান্টাসি ফেঁদেছেন, দ্রুত তিন-চারটে নোবেল পেয়ে সে টাকায় নিজের যুগান্তকারী ছবি বানাবেন।
পম্পা বিশ্বাস ভালবাসেন পড়তে, লিখতে, আঁকতে আর ছবি তুলতে। চাকরি করেন পেটের দায়ে, কিন্তু অনিচ্ছায়। দীর্ঘসূত্রী। তর্কবাজ। কুঁড়ে। ঠ্যালাগুঁতোর পর অতি কষ্টে একটি ছোটগল্পের সংকলন প্রকাশিত। মনে করেন স্বভাবদোষে ওঁর ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
চৈতী মিত্র ইংরেজী সাহিত্যের অধ্যাপক। অবসর সময়ে অনুবাদ, অভিনয়, আর পত্র পত্রিকায় লেখালেখির অভ্যাস আছে। সম্প্রতি অনুবাদ করা ‘হ্যামলেট’ নিয়মিত মঞ্চস্থ হচ্ছে । শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘চন্দনেশ্বর জংশন’ ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন।
অমিতাভ ঘোষ ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, সাহিত্য সমালোচক। এখনও পর্যন্ত পনেরোটি বইয়ের লেখক। ‘দ্য শ্যাডো লাইন’স’, ‘দ্য ক্যালকাটা ক্রোমোজোম’, ‘দ্য হাংরি টাইড’-এর মতো উপন্যাস পাঠকমহলে সমাদৃত। সাহিত্যকৃতির জন্য পেয়েছেন জ্ঞানপীঠ সম্মাননা, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার, আনন্দ পুরস্কার-সহ আরও একাধিক পুরস্কার।
মাসায়ুকি ওনিশি বিশিষ্ট ভাষাবিদ, গবেষক, অনুবাদক। কলকাতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সেই ১৯৭৬ সাল থেকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ডিপ্লোমা কোর্স শেষ করার পর শান্তিনিকেতনে সঙ্গীতভবনের ছাত্র ছিলেন বছর দুয়েক। জাপানি ভাষায় অনুবাদ করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, মহাশ্বেতা দেবী-র মতো বিশিষ্ট সাহিত্যিকদের একাধিক রচনা।
অনুপম রায় গায়ক, সুরকার, গীতিকার। ২০১০ সালে ‘অটোগ্রাফ’ ছবিতে তাঁর গলায় গাওয়া গান ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’ এবং ‘বেঁচে থাকার গান’ তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। ২০১৫ সালে ‘পিকু’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনার মধ্যে দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ এবং ছবিটির আবহসঙ্গীতের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে ২০১৬ সালে পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সঙ্গীতচর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা ও ছোটগল্পও লেখেন।
শ্রীজাত কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার। ২০০৪ সালে ‘উড়ন্ত সব জোকার’ কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার এবং কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০১৪-তে ‘কর্কটকান্তির দেশ’ কাব্যগ্রন্থের জন্য বাংলা আকাদেমি সম্মান। আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক লেখক কর্মশালায় আমন্ত্রিত হয়েছেন ২০০৬ সালে। ‘এবং সমুদ্র’, ‘ভাষানগর’ ও ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন বিভিন্ন সময়ে।
সারস্বত সেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়েছেন। কাজ করেছেন রেডিয়োতে। নেশা খেলাধুলো, সিনেমা থেকে ওয়েব সিরিজের চর্চা— ফর্মুলা ওয়ান থেকে ফুটবল, নর্ডিক নয়্যার থেকে মালয়ালম থ্রিলার তাঁকে সমান টানে।
শ্রীজাত কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার। ২০০৪ সালে ‘উড়ন্ত সব জোকার’ কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার এবং কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০১৪-তে ‘কর্কটকান্তির দেশ’ কাব্যগ্রন্থের জন্য বাংলা আকাদেমি সম্মান। আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক লেখক কর্মশালায় আমন্ত্রিত হয়েছেন ২০০৬ সালে। ‘এবং সমুদ্র’, ‘ভাষানগর’ ও ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন বিভিন্ন সময়ে।