উপল সেনগুপ্ত গায়ক, সুরকার। এছাড়া কার্টুনিস্ট হিসেবেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। ‘চন্দ্রবিন্দু’ গানের দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। অনেক ছবি আঁকেন, বিভিন্ন গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, নতুন প্রতিভা তুলে আনায় তাঁর জহুরির চোখ এবং বড়দা-সুলভ উদারতা তাঁকে অনন্য করেছে।
জয়ন্ত কৃপালানি অভিনেতা, পরিচালক, অভিনয় শিক্ষক; ছোটপর্দার অন্যতম বিখ্যাত ধারাবাহিক ‘খানদান’ ও বহু বিজ্ঞাপনের পরিচিত মুখ। দীর্ঘ কর্মজীবনে নানা বিজ্ঞাপন সংস্থার সঙ্গে ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসেবে যুক্ত।
মালবিকা ব্যানার্জি টাটা স্টিল লিটেরারি মিটের পরিচালক। সাংবাদিক হিসাবে পথ চলা শুরু। ১৯৯৮ সালে স্বামী জিৎ ব্যানার্জির সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা করেন ক্রীড়া বিপণন সংস্থা ‘গেমপ্ল্যান’ (‘ডাকবাংলা’ যে কোম্পানির অধীন)। এই সংস্থা বিশ্ব জুড়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো আরও অনেক খেলোয়াড় এবং বিখ্যাত ক্রীড়ানুষ্ঠানের ‘ম্যানেজমেন্ট’ বা তত্ত্বাবধান করেছে। মালবিকা কলকাতার অন্যতম বিখ্যাত পোশাক বিপণি ‘বাইলুম’-এরও অংশীদার।
অশোক ভ্যেলু চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার। তাঁর প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ‘তৌ-তাই’ (‘সীড’) ২০১৬ কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে (KIFF) ‘শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি’ পুরস্কার পায়। মণিপুরে এক প্রত্যন্ত গ্রামের রাজনৈতিক বিরোধের গল্প নিয়ে নির্মিত তাঁর দ্বিতীয় ছবি ‘লুক অ্যাট দ্য স্কাই’ বন্দিত হয় KIFF ২০১৮ এবং ২০১৯ কল্পনির্ঝর আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবে।
মালবিকা ব্যানার্জি টাটা স্টিল লিটেরারি মিটের পরিচালক। সাংবাদিক হিসাবে পথ চলা শুরু। ১৯৯৮ সালে স্বামী জিৎ ব্যানার্জির সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা করেন ক্রীড়া বিপণন সংস্থা ‘গেমপ্ল্যান’ (‘ডাকবাংলা’ যে কোম্পানির অধীন)। এই সংস্থা বিশ্ব জুড়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো আরও অনেক খেলোয়াড় এবং বিখ্যাত ক্রীড়ানুষ্ঠানের ‘ম্যানেজমেন্ট’ বা তত্ত্বাবধান করেছে। মালবিকা কলকাতার অন্যতম বিখ্যাত পোশাক বিপণি ‘বাইলুম’-এরও অংশীদার।
জয় ভট্টাচার্য কুইজার, বক্তা, লেখক, ক্রীড়া প্রযোজক, গণিতজ্ঞ। ভারতবর্ষের ক্রীড়া-জগতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের কান্ডারি। ২০০৮-এর সূচনামুহুর্ত থেকে আইপিএল-এর সাথে যুক্ত, কলকাতা নাইট রাইডার্স-এর প্রাক্তন টিম ডিরেক্টর। ২৫ বছরেরও বেশি ভারতীয় ক্রীড়া এবং গণমাধ্যমে কেটেছে তাঁর ‘দুঃসাহসিক জীবন’।
চন্দ্রিল ভট্টাচার্য সাহিত্যিক, গীতিকার, বক্তা। দশটি বই লিখেছেন। ‘চন্দ্রবিন্দু’ গানের দলের সঙ্গে যুক্ত। খুব শখ, কান-বার্লিন কাঁপানো চলচ্চিত্রকার হবেন, কিন্তু সে গুড়ে ধারাবাহিক বালি পতনের ফলে ইদানীং ফ্যান্টাসি ফেঁদেছেন, দ্রুত তিন-চারটে নোবেল পেয়ে সে টাকায় নিজের যুগান্তকারী ছবি বানাবেন।
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় কবি, ক্যালিগ্রাফি শিল্পী এবং নন্দন-বেত্তা। জাপানের প্রেরণায় সূচনা করেছেন বাংলা ক্যালিগ্রাফির নতুন এক ধারার। শান্তিনিকেতনে তাঁর স্টুডিও ‘কোকোরো’ গড়ে উঠেছে এক জাপানি স্থপতির নকশায়। কর্মসূত্রে বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনের প্রাধিকারিক। আগ্রহ ও গবেষণার অন্যতম বিষয়, জাপান এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
চিরন্তন দাসগুপ্ত কবি এবং অধ্যাপক, না কি কবি এবং অধ্যাপকের ভূমিকায় অভিনয় করেন কেবল! এই সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান হয়নি বলে নিদারুণ ভাবে আত্মপরিচয়ের সংকটে ভুগছেন। গান গাওয়া, ছবি আঁকা, ক্রিকেট খেলা এবং রুটি বেলায় বিশেষ ভাবে অপারগ। মানুষ হিসেবে গভীর ভাবে লজ্জিত টাইপের।
শ্রীজাত কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার। ২০০৪ সালে ‘উড়ন্ত সব জোকার’ কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার এবং কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০১৪-তে ‘কর্কটকান্তির দেশ’ কাব্যগ্রন্থের জন্য বাংলা আকাদেমি সম্মান। আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক লেখক কর্মশালায় আমন্ত্রিত হয়েছেন ২০০৬ সালে। ‘এবং সমুদ্র’, ‘ভাষানগর’ ও ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন বিভিন্ন সময়ে।
বিমল মিত্র (১৯১২-১৯৯১) বাংলাভাষার অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। প্রথম উপন্যাস ‘ছাই’ রচনার পর তাঁর লেখা ‘সাহেব বিবি গোলাম’ উপন্যাসটি পাঠক জগতে বিপুল ভাবে সমাদৃত হয়। এ ছাড়া ‘বেগম মেরি বিশ্বাস’, ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ এবং ‘একক দশক শতক’ উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে তিনশো বছরের সমাজজীবনের এক বিস্তৃত কালের চালচিত্র তিনি তুলে ধরেছেন। ১৯৬৮ সালে ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ উপন্যাসের জন্য রবীন্দ্র পুরস্কারে সম্মানিত হন।