সুদেষ্ণা রায়ের জীবন শুরু শিক্ষকতা দিয়ে। তারপর সাংবাদিক, বহু নামী সংবাদপত্র ও পত্রিকায় কাজ করেছেন। টেলিভিশন সাংবাদিকতা করেছেন, সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন, সিরিয়াল পরিচালনাও করেছেন। এর পর শুরু সিনেমা পরিচালনা, কিছু উল্লেখযোগ্য ছবি: ‘তিন ইয়ারি কথা’, ‘ক্রস কানেকশন’, ‘যদি love দিলে না প্রাণে’, ‘শ্রাবণের ধারা’। এখন কাজ করেন শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগের বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে।
পিয়াস মজিদ কবি, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা পঞ্চাশেরও অধিক। পেয়েছেন ‘হুমায়ুন আহমেদ পুরস্কার’, ‘এইচএসবিসি কালি ও কলম পুরস্কার’, ‘আদম তরুণ কবি সম্মাননা’ প্রভৃতি পুরস্কার। ২০১৬ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে বাংলাদেশ যুব প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে ভারতের চারটি রাজ্য সফর করেন। বর্তমানে ঢাকা বাংলা একাডেমি-তে কর্মরত।
তারিক সুজাত কবি, সাংবাদিক। এ ছাড়া বাংলাদেশে তিনি জাতীয় কবিতা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অন্যতম। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে— ‘প্রতিবিম্ব ভেঙে যাও’, ‘আকাশপুরাণ’, ‘সবুজে ধুয়েছি পা’ ইত্যাদি। কবিকৃতির জন্য পেয়েছেন প্রথম আলো পুরস্কার (২০১৭) এবং কৃত্তিবাস পুরস্কার (২০০৬)। বর্তমানে তিনি দৈনিক ভোরের কাগজ ও দেশ টিভির পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত।
শর্মিষ্ঠা মাইতি, রাজদীপ পাল চলচ্চিত্র-নির্মাতা। তাঁদের তৈরি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ‘কায়ান্তর’ (অরোরা ফিল্ম কর্পোরেশন প্রযোজিত) পেয়েছে ২০১৯ কল্পনির্ঝর আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব-এ ‘বিশেষ জুরি উল্লেখ' পুরস্কার। এছাড়া তাঁরা দু’জনে মিলে পরিচালনা করেছেন: ‘মালাই’, ‘থ্রি অন আ বেড’, এবং ২০১৪ সালে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ডকুমেন্টারি ‘অ্যাট দ্য ক্রসরোডস: নন্দন বাগচী লাইফ অ্যান্ড লিভিং’।
অমিতাভ ঘোষ ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, সাহিত্য সমালোচক। এখনও পর্যন্ত পনেরোটি বইয়ের লেখক। ‘দ্য শ্যাডো লাইন’স’, ‘দ্য ক্যালকাটা ক্রোমোজোম’, ‘দ্য হাংরি টাইড’-এর মতো উপন্যাস পাঠকমহলে সমাদৃত। সাহিত্যকৃতির জন্য পেয়েছেন জ্ঞানপীঠ সম্মাননা, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার, আনন্দ পুরস্কার-সহ আরও একাধিক পুরস্কার।
অরুণ মুখোপাধ্যায় ‘চেতনা’ নাট্যদলের প্রাণপুরুষ। তাঁর রচিত ও পরিচালিত ‘মারীচ সংবাদ’ নাটকে তিনি মিলিয়ে দেন পৌরাণিক স্বৈরাচার, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও বাংলার গ্রামীণ শোষণ। আবার লু স্যুন অনুপ্রাণিত ‘জগন্নাথ’ নাটকে তিনি মঞ্চে আহরণ করেন চলচ্চিত্রভাষা, আর নায়কের চরিত্রে তাঁর অভিনয় ফুটে ওঠে সরসতা ও বিপন্নতার এক আশ্চর্য মিশ্রণ। বহু নাটক লেখা, পরিচালনা, অভিনয়— তিন ক্ষেত্রেই তাঁর উজ্জ্বল স্বাক্ষর বাংলা নাটকে সম্পদ হয়ে আছে।
সাকিব আল হাসান বাংলাদেশি ক্রিকেটার; অক্টোবর ২০১৯ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি-২০ আন্তর্জাতিক সংস্করণে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৫-য় ক্রিকেটের তিনটি ফর্ম্যাটেই আইসিসি দ্বারা শ্রেষ্ঠ অলরাউন্ডার বিবেচিত। সাকিবকে বাংলাদেশের হয়ে খেলা সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে অনেকেই বিবেচনা করেন।
বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত কবি, চলচ্চিত্র পরিচালক, গদ্যকার। ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ পরিচালকের সম্মান এবং এথেন্স ও স্পেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট’ পুরস্কার পেয়েছেন। ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ পরিচালকের সম্মানেও ভূষিত হয়েছেন বারংবার। দীর্ঘদিন সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ছিলেন। ২০১৭ সালে দে’জ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ‘কবিতা সংগ্রহ’।
শুভা মুদ্গল হিন্দুস্থানী ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পী। খেয়াল, ঠুমরি-দাদরার পাশাপাশি জনপ্রিয় ভারতীয় সঙ্গীত নিয়েও তাঁর কাজ ব্যাপক ভাবে প্রশংসিত হয়েছে। সঙ্গীত সাধনার জন্য পেয়েছেন নানান দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার। ভারতীয় সঙ্গীতের নানা আশ্চর্য জগতের গভীরে তিনি কয়েক দশক ধরে একাধারে সুরকার-গীতিকার, শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং লেখক।
উপল সেনগুপ্ত গায়ক, সুরকার। এছাড়া কার্টুনিস্ট হিসেবেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। ‘চন্দ্রবিন্দু’ গানের দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। অনেক ছবি আঁকেন, বিভিন্ন গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, নতুন প্রতিভা তুলে আনায় তাঁর জহুরির চোখ এবং বড়দা-সুলভ উদারতা তাঁকে অনন্য করেছে।
অনুপম রায় গায়ক, সুরকার, গীতিকার। ২০১০ সালে ‘অটোগ্রাফ’ ছবিতে তাঁর গলায় গাওয়া গান ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’ এবং ‘বেঁচে থাকার গান’ তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। ২০১৫ সালে ‘পিকু’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনার মধ্যে দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ এবং ছবিটির আবহসঙ্গীতের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে ২০১৬ সালে পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সঙ্গীতচর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা ও ছোটগল্পও লেখেন।