সিউড়িনিবাসী ধ্রুব মুখোপাধ্যায়ের পেশা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নেশা বই পড়া। প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্প ‘আট বছরের বুড়ো’। পরবর্তীতে ‘আনন্দমেলা’, ‘এই সময়’, ‘উনিশ কুড়ি’ ইত্যাদি পত্রপত্রিকায় লেখালেখি। ভাললাগা বলতে, মানুষ দেখা আর আড্ডা দেওয়া।
ঋদ্ধি সেন অভিনেতা; স্বপ্নসন্ধানী নাটক দলের সঙ্গে জড়িত। এখনও অবধি কনিষ্ঠতম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসাবে জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত হন 'নগরকীর্তন' ছবির জন্য। অভিনয় করেছেন 'কাহানী', 'ওপেন টি বায়োস্কোপ' এবং 'ইতি মৃণালিনী'-র মত ছবিতে এবং 'ফেলুদা' ওয়েব সিরিজে।
রজতাভ দত্ত বাংলা চলচ্চিত্র ও নাট্য জগতের অভিনেতা। নাটক দিয়ে জীবন শুরু। বিখ্যাত প্রায় সমস্ত নাট্যগোষ্ঠীর সঙ্গেই কাজ করেছেন। বাংলায় যেমন একদিকে ‘পারমিতার একদিন’ কিংবা ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’-র মতো বিপরীতধর্মী সিনেমায় তাঁর অবাধ যাতায়াত, তেমনই হিন্দিতে ‘কামিনে’, ‘জগ্গা জাসুস’, ‘মেরি প্যায়রি বিন্দু’-র মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। অবসর সময়ে পড়তে ভালবাসেন।
কমলেশ্বর মুখার্জি চলচ্চিত্র-পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, অভিনেতা, লেখক। প্রথম জীবনে চিকিৎসক হিসাবে শিক্ষালাভ করলেও পরবর্তীকালে গ্রুপ থিয়েটার এবং বিজ্ঞাপন-জগতে কাজ এবং অবশেষে ‘উড়ো চিঠি’ পরিচালনা করে সিনেমা-জগতে প্রকাশ। অন্যান্য উল্লেখ্য ছবি ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘ক্ষত’, ‘চাঁদের পাহাড়’ এবং বাংলা চলচ্চিত্রের বাণিজ্যে সর্বাধিক সফল ছবি ‘আমাজন অভিযান’।
শিলাজিৎ মজুমদার গায়ক, গীতিকার, সঙ্গীত পরিচালক, লেখক, অভিনেতা; সমসাময়িক বাংলা গানের ক্ষেত্রে উজ্জ্বল নাম। ভাষা, শব্দ এবং সুর নিয়ে তাঁর এক্সপেরিমেন্ট শ্রোতাদের কাছে আকর্ষণীয়, গানের অ্যালবাম 'আমরাও বেঁচে আছি', 'X=প্রেম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ঋতুপর্ণ ঘোষের 'অসুখ', চন্দ্রিল ভট্টাচার্যের 'Y2K', শেখর দাসের 'মহুলবনীর সেরেং' ছবিতে তাঁর অভিনয় উল্লেখযোগ্য।
ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী; ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অর্ধাঙ্গী। নৃত্যশিক্ষা অমলাশংকর এবং গুরু কেলুচরণ মহাপাত্রের কাছে। তাঁর নৃত্যশিক্ষালয়ের নাম ‘দীক্ষা মঞ্জরী’; একই নামে তাঁর নৃত্যদলের সঙ্গে ডোনা দেশে-বিদেশে বহু অনুষ্ঠান করেছেন।
ভবতোষ সুতার চিত্রশিল্পী, ভাস্কর, ইন্সটলেশন আর্টিস্ট; কলকাতার দুর্গাপুজোর মণ্ডপ এবং প্রতিমাশিল্পের পরিকল্পনা এবং বিন্যাসের ক্ষেত্রে প্রথম সারির ব্যক্তিত্ব। ভবতোষ ২০১১ এবং ২০১৯ সালের 'এশিয়ান পেন্টস শারদ সম্মান: শ্রেষ্ঠ প্রতিমাশিল্পী' পুরস্কারপ্রাপ্ত; বিগত দুই দশক জুড়ে শহরের কোনায়-কোনায় তাঁর সৃষ্টি দর্শককে মুগ্ধ করে এসেছে।
দেবাশীষ দেব প্রখ্যাত অঙ্কনশিল্পী, কার্টুনিস্ট; চার দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি এঁকে চলেছেন দেশ-বিদেশের অজস্র প্রকাশনা সংস্থায় প্রধানত ছোটোদের বইপত্রের প্রচ্ছদ আর ছবি। পরিচালনা করেছেন ইলাস্ট্রেটর ও কার্টুনিস্টদের নিয়ে গবেষণাধর্মী লেখালিখি, সেমিনার এবং ওয়ার্কশপ। লিখেছেন ভ্রমণ-কেন্দ্রিক ট্রাভেলোগ। 'রঙ তুলির সত্যজিৎ' তাঁর নিজস্ব শিল্পজীবন নিয়ে লেখা বই পাঠকমহলে উচ্চপ্রশংসিত।
চন্দ্রিল ভট্টাচার্য সাহিত্যিক, গীতিকার, বক্তা। দশটি বই লিখেছেন। ‘চন্দ্রবিন্দু’ গানের দলের সঙ্গে যুক্ত। খুব শখ, কান-বার্লিন কাঁপানো চলচ্চিত্রকার হবেন, কিন্তু সে গুড়ে ধারাবাহিক বালি পতনের ফলে ইদানীং ফ্যান্টাসি ফেঁদেছেন, দ্রুত তিন-চারটে নোবেল পেয়ে সে টাকায় নিজের যুগান্তকারী ছবি বানাবেন।
শ্রীজাত কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার। ২০০৪ সালে ‘উড়ন্ত সব জোকার’ কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার এবং কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০১৪-তে ‘কর্কটকান্তির দেশ’ কাব্যগ্রন্থের জন্য বাংলা আকাদেমি সম্মান। আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক লেখক কর্মশালায় আমন্ত্রিত হয়েছেন ২০০৬ সালে। ‘এবং সমুদ্র’, ‘ভাষানগর’ ও ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন বিভিন্ন সময়ে।