থিয়েটারের গৌরব

Ratan Thiyam

আন্তর্জাতিক খ্যাতির শীর্ষে থাকা মনিপুরের কোরাস রেপার্টারি থিয়েটারের গৌরবের পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হবে আগামী এপ্রিল মাসে। তার আগেই গত ২২ জুলাই ২০২৫-এ প্রয়াত হলেন কোরাসের প্রাণপুরুষ, ভারতীয় থিয়েটারের অন্যতম অভিভাবক, গুরু শ্রী রতন থিয়াম। প্রতি বর্ষায় কোরাস বন্যায় প্লাবিত হয় কিন্তু আজ বিপুল জনসমাগমে শুভ্র হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস, তাঁর নিজের নকশা করা আন্তর্জাতিক নাট্যশালা ‘শ্রাইন’-এ নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছেন তিনি; কনিষ্ঠ কন্যা মানসী ও কোরাসের কলাকুশলীরা গাইছেন তাঁর প্রিয় রবীন্দ্রসংগীত ‘আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে’। কোরাসের মূল ফটক থেকে শেষ বারের মতো বিদায় নেবেন আন্তর্জাতিক ‘জন.ডি.রকফেলার’ সম্মানে ভূষিত ভারতীয় সংস্কৃতির প্রাণপুরুষ রতন থিয়াম। ফটকের পাশে, সারা গায়ে গাঢ় সবুজ অর্কিড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তাঁর প্রিয় ছাতিম গাছটি।

ঈশ্বরের জন্য নিবেদিত মণিপুরী পরম্পরার শুভ্র ছাতাটি আমার হাতে, কফিনে পড়েছে তাঁর ছায়া। ঠিক কুড়ি বছর আগে (২০০৫) এখানেই তাঁর সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল প্রথমবার। কোরাস থেকে বেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, বড় রাস্তার আগেই, ডান দিকের পদ্মপুকুরটি হয়ে উঠেছে তাঁর নাটকের দৃশ্য ‘হোয়েন উই ডেড অ্যাওয়েকেন’।

আরও পড়ুন: অশান্ত মণিপুরের কঠোর বাস্তবতাকে ‘ম্যাকবেথ’-এর সঙ্গে মিলিয়েছিলেন রতন থিয়াম! লিখছেন ব্রাত্য বসু…

রতন থিয়ামের পরিচালনায় ইবসেনের শেষ নাটক ‘হোয়েন উই ডেড অ্যাওয়েকেন’ অলম্বনে ‘আশিবাগী এশেই’ প্রযোজনার একটি দৃশ্যের আলোকচিত্র

জীবন হয়তো এইভাবে মঞ্চের সঙ্গে জুড়ে যেত না, যদি রতম থিয়াম আর তাঁর বহুমুখী শিল্পচর্চার সঙ্গে আমার পরিচয় না ঘটত। আমরা বলে থাকি থিয়েটার একটি যৌথ শিল্পমাধ্যম, কিন্তু শিল্পের প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রে নিবিড় চর্চা ও পারদর্শিতাকে পাথেয় করে নাট্য-প্রযোজনা করেছেন এমন পরিচালক আন্তর্জাতিক থিয়েটারে বিরল।

২০০৭-এ মহারাষ্ট্রের পুনেতে বিশিষ্ট অভিনেতা ও চিত্রনির্মাতা অমল পালেকারের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছিল রতন থিয়ামের ছ’টি প্রযোজনা নিয়ে একটি নাট্যোৎসব। আমাকে ট্রেনের টিকিট পাঠিয়ে দিলেন কোরাসের তৎকালীন কার্যনির্বাহী আধিকারিক দোলেন্দ্র জি। মঞ্চস্থ হল আধুনিক থিয়েটারের বিস্ময়কর প্রযোজনা মহাভারত ট্রিলজির ‘চক্রব্যূহ’। এছাড়া মনিপুরী ট্রিলজির তিনটি প্রযোজনা ‘হে নুংশিবি পৃথিবী’ (মাই আর্থ মাই লাভ), ‘চিংলোন মাপন টম্পাক অমা’ (নাইন হিলস্ ওয়ান ভ্যালি), ‘ওয়াহাউডক’(প্রোলগ) এবং অপর দু’টি প্রযোজনা ‘উরুভঙ্গম’, ‘অন্ধাযুগ’ এই উৎসবে মঞ্চস্থ হল।

সেদিন প্রথমবার ‘চক্রব্যূহ’ দেখেছিলাম আমি। অভিমন্যুর ভূমিকায় অভিনয় করলেন ইবোমঞ্চা সোরোক, যিনি ছিলেন এই সফরে আমার রুমমেট। রতন থিয়ামের সঙ্গে থেকে রবীন্দ্রনাথের ‘রাজা’, ইবসেনের ‘হোয়েন উই ডেড অ্যাওয়েকেন’, শেক্সপিয়ারের ‘ম্যাকবেথ’ এবং ধরমবীর ভারতীর ‘কানুপ্রিয়া’, প্রযোজনাগুলি তৈরি হতে দেখেছি। তিনি বাংলায় রবীন্দ্রনাথ পড়েছেন। ‘রক্তকরবী’ নয়, মঞ্চায়নের জন্য বেছে নিলেন ‘রাজা’ নাটকটি। কলকাতায় এক সন্ধ্যাবেলায় রবীন্দ্রনাথের নাটক, সংগীত ও চিত্রকলার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করার সময়ে ‘রাজা’ নাটক প্রসঙ্গে হঠাৎ বললেন, ‘ঠাকুরদা আসলে রবীন্দ্রনাথ নিজেই’। কলেজ স্ট্রিট থেকে সংগ্রহ করা হল একাধিক রবীন্দ্রনাট্য সমালোচনার সংস্করণ। কলকাতার মধূসুদন মঞ্চে মঞ্চস্থ হল রতন থিয়ামের পরিচালনায় রবীন্দ্রনাথের ‘রাজা’ নাটক অবলম্বনে ‘শাকুদবা শাকনাইবা’। প্রযোজনাটির শেষ দৃশ্যে একটি দীর্ঘকায় বিমূর্ত কালো মূর্তির গভীরে রানী সুদর্শনা ধীরে মিলিয়ে যায়। দৃশ্যটি যেন রবীন্দ্রনাথের চিত্রকলার চলমান সংস্করণ। ইবসেনের ‘হোয়েন উই ডেড অ্যাওয়েকেন’ নাটকটির সঙ্গে পরিচালক পরাবাস্তবতার সম্পর্ক স্থাপন করে একটি দৃশ্যের মঞ্চসজ্জায় সালভাদোর দালি-র বিখ্যাত চিত্র ‘পারসিসটেন্স অব মেমোরি’-র রেফারেন্সকে নিজস্ব সৃষ্টিশীলতায় ত্রিমাত্রিকতা দিয়ে মঞ্চে নিয়ে আসেন। রতন থিয়াম মনে করেন ম্যাকবেথ এবং লেডি ম্যাকবেথ দুটি অভিন্ন চরিত্র। ম্যাকবেথ চরিত্রটিকে রতন থিয়াম একটি সামাজিক ব্যাধি হিসাবে দেখেছেন।

কলকাতার মধূসুদন মঞ্চে মঞ্চস্থ হল রতন থিয়ামের পরিচালনায় রবীন্দ্রনাথের ‘রাজা’ নাটক অবলম্বনে ‘শাকুদবা শাকনাইবা’। প্রযোজনাটির শেষ দৃশ্যে একটি দীর্ঘকায় বিমূর্ত কালো মূর্তির গভীরে রানী সুদর্শনা ধীরে মিলিয়ে যায়।

রতন থিয়াম ‘থিয়েটার অব রুটস’ আন্দোলনের একজন প্রধান উদ্গাতা। তাঁর সৃজনশীলতা দেশজ ঐতিহ্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে একটি অভিনব নাট্যধারার জন্ম দিয়েছে, যৌথ শিল্পমাধ্যমটির সমস্ত বিভাগে নান্দনিকতার উপর এতখানি গুরুত্ব দিতে পূর্বে ভারতীয় থিয়েটারে কোনও পরিচালককে দেখা যায়নি। তাঁর প্রযোজনায় আলো আর অন্ধকারের ব্যবহার ম্যাজিক দেখিয়েছে। আলো, শব্দ আর নৈশব্দের কাব্যিক সম্পর্ক তৈরি করে রতন থিয়াম আসলে নাটকের থিমাটিক কনটেন্টকেই প্রতিষ্ঠা দিয়েছেন। তাঁর প্রযোজনা যৌথ শিল্পের সৌন্দর্যের অন্তরালে দর্শককে চোখে আঙুল দিয়ে সভ্যতার সংকটের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়।

গত কুড়ি বছর তাঁর ছায়াসঙ্গী হয়ে থেকেছি। শান্তিনিকেতনের দ্বারোন্দা গ্রামকে আপন করে নিয়েছিলেন রতন থিয়াম। ২০০৬-এ আমার আমন্ত্রণে ব্লসম থিয়েটারের প্রতিষ্ঠার দিনে প্রথবার দ্বারোন্দায় পা রাখেন তিনি। নাট্যচর্চার জন্য এই গ্রামেই এক একরের একটু বেশি জমিতে আমরা একটি নাট্যক্ষেত্র তৈরি করি, তিনি যার নাম দিয়েছিলেন ‘থিয়েটার কটেজ’। এরপর এই গ্রামেই তাঁর পরিকল্পনায় ‘এনেখ সেরেঙ পরব’ ও ‘আদিবিম্ব’ নামে ছ’টি জাতীয় আদিবাসী নৃত্য, সংগীত ও থিয়েটারের উৎসব অনুষ্ঠিত হয়; ব্যবস্থাপনায় সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি ও ভারতীয় নাট্য বিদ্যালয়, নিউদিল্লি।

দ্বারোন্দা গ্রামে ব্লসম থিয়েটার কটেজে লেখকের সঙ্গে রতন থিয়াম

সালটা ২০১০, তিনি কলকাতা এলেই আমার ডাক পড়ে। সে-দিন সকালবেলা লেক মার্কেটের ধারে সবজি-বাজারের গা ঘেঁষে আমরা হাঁটছিলাম, আমাকে হঠাৎ জিজ্ঞেস করলেন ‘তোর ওখানে একটা সাঁওতাল ফেস্টিভ্যাল করতে পারবি?’ উনি তখন সংগীত নাটক অ্যাকাডেমির ভাইস চেয়ারপার্সন, নিয়মিত আসেন আমাদের দারন্দা গ্রামের থিয়েটার কটেজে।

এই অঞ্চলটি সাঁওতাল অধ্যুষিত।  গ্রামের পশ্চিম দিকে শাল-মহুয়া-পিয়ালের জঙ্গল, চৌপাহাড়ি; চৌপাহাড়ির গর্ভে রয়েছে বেশ কয়েকটি সাঁওতাল গ্রাম। শান্তিনিকেতনকে সঙ্গে নিয়ে বীরভূমের এই অঞ্চলটি সাঁওতাল ও অসাঁওতাল সাংস্কৃতির প্রণয় ক্ষেত্র।

সাঁওতালি নাচ ও গানের উৎসব, নাম দেওয়া হল ‘এনেখ সেরেঙ পরব’। ব্যবস্থাপক সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি, নিউ দিল্লি। গ্রামের বৃক্ষ ঘেরা ফুটবল মাঠটি উৎসবের জন্য নির্দিষ্ট করা হল।

‘এনেখ সেরেঙ পরব’-এর ব্রোশিওরের কভার

স্যার এলেন, প্রথম মিটিং হল সেপ্টেম্বর মাসে। নানা গ্রাম থেকে আসা বয়স্ক সাঁওতাল শিল্পীদের সঙ্গে কথা বললেন, উৎসবটি কেমন হতে পারে, তার ইঙ্গিত দিলেন, এবং তাদের মতামত শুনলেন। ফেস্টিভাল ডিজাইন হাতে কলমে শিখতে শুরু করলাম। মঞ্চ, অ্যাম্বিয়েন্স, কলাকুশলী, দর্শক সামগ্রিক বিষয়গুলি একটি উৎসবের কঙ্কালের উপর মাংসের মতো, আমাকে অ্যানাটমি চেনালেন স্যার (রতন থিয়াম)। ডিজাইন দিয়ে আমাকে মঞ্চ বানাতে বললেন। মাটি-কাদার মঞ্চের সঙ্গে জুড়ে গেল আমার জীবন।

২০১১-র ৪ থেকে ৬ জানুয়ারি এই তিনটি দিন ‘এনেখ সেরেঙ পরব’-এর জন্য স্থির করা হল। খোলা আকাশের নীচে বিরাট মাটির মঞ্চে এক আদিম জনজাতির জয়যাত্রা। ব্যাকড্রপটি স্যার এমনভাবে পরিকল্পনা করেছিলেন, মঞ্চটিকে মনে হচ্ছিল, সাঁওতাল পাড়ার এক পরিপাটি উঠোন। স্যার বললেন, মঞ্চের দু’পাশে আগুন জ্বালাতে, আমি দুটো মাটির বড়ো আখা বানালাম। কাঠের আগুন জ্বলল।

সাঁওতালি নৃত্যশৈলী বিশদে জানার, এবং লিখিত রূপে একটি রিপোর্ট পেশ করার দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম-সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষ্য করে উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ‘রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতী এবং সাঁওতাল জনজাতি’ এই বিষয়ে তথ্য দিয়ে সাহায্য করলেন, পল্লী সংগঠন বিভাগ, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যক্ষ শ্রী দীক্ষিত সিংহ মহাশয়। আমি রামকিঙ্করের সাঁওতাল পরিবারের উল্লেখ করলাম। সংগীত নাটক অ্যাকাডেমির পক্ষে সাঁওতাল পরিবারের স্থিরচিত্র দিয়ে তৈরি হল ব্রোশিওরের কভার। মোট ৩১টি সাঁওতাল দল অংশ গ্রহন করল উৎসবে। বীরভূমের ২৬টি, পুরুলিয়ার দু’টি, বাঁকুড়ার দু’টি এবং উত্তরবঙ্গের একটি দল। সাঁওতাল পরম্পরার মোট ছ’টি নৃত্যধারা দিয়ে সাজানো হল উৎসব। সহরাই, বাহা, লাগড়ে, দং, কারাম এবং দাঁসাই। খয়েরডাঙা গ্রামের প্রবীণা নৃত্যশিল্পী সুকদি সরেন শালপাতার প্রদীপ জ্বালিয়ে উৎসবের সূচনা করেছিলেন।

রতন থিয়াম অঙ্কিত থিয়েটার কটেজের রেখালিপি

কয়েক হাজার দর্শক, কয়েকশো শিল্পী, আগুন, আলো, মাটির মঞ্চ আর খোলা আকাশ, পৌষের শীত। আমাকে ডেকে পাঠালেন, অদূরে মৃদু অন্ধকারে তিনি বসে অছেন, এককাপ চা, দুটো শিঙাড়া টেবিলের উপর রাখা।

আগস্ট ২০২১, আমাকে ফোনে বললেন বেশ কিছুদিন শান্তিনিকেতনে তোর কাছে থাকব। ছবি আঁকব আর কবিতা লিখব। রবীন্দ্রনাথ আর রামকিঙ্কর নিয়ে সেদিন দীর্ঘ আলোচনা হয়েছিল। বেশ কয়েক বছর আগে আমাকে বলেছিলেন— ‘জানিস, শান্তিনিকেতনে আমার পড়তে আসার খুব ইচ্ছে ছিল, কিন্তু হয়ে ওঠেনি’। আমি খুব গুরুত্ব দিয়ে স্যারের শান্তিনিকেতনে থাকার বিষয়টি পরিকল্পনা করেছিলাম। শান্তিনিকেতন, এখনকার ছাত্রছাত্রী ও বিশিষ্টজনেদের সঙ্গে তার সাংস্কৃতিক আলাপ হোক এইটাই চেয়েছিলাম। এই ব্যাপারে আমাকে বিশেষ সাহায্য করে ছিলেন শিল্পী রাধাকৃষ্ণন (রাধা দা)।

কোভিড পরবর্তী সময়ে নানা শারীরিক সমস্যাকে সঙ্গী করেই বাদল সরকারের ‘এবং ইন্দ্রজিৎ’ অনুবাদের কাজটি সম্পূর্ণ করলেন। ছোট কবিতা লিখলেন, ছবি আঁকলেন। থিয়েটার কটেজে আগামীতে আমি কী করতে চাই, আমাদের প্রযোজনা ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হল। স্যারের সামগ্রিক কর্মজীবন নিয়ে থিয়েটার কটেজে একটি আর্কাইভ করার অনুমতি নিলাম। শান্তিনিকেতন ও আশপাশ ঘুরে দেখালাম। কলাভবন, নন্দন, রবীন্দ্রভবন, কোকোরো, অর্থশিলা, স্বাদ, সাঁওতাল গ্রাম।

শান্তিনিকেতনের একটি ভাড়া বাড়িতে একটানা একুশ দিন থাকলাম আমরা। এই সময় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার পিএইচডি-র প্রিসাবমিশন প্রজেক্ট অ্যাপ্রুভ হল, যার শিরোনাম ‘ভারতীয় অধুনিক থিয়েটারে রতন থিয়াম’।

কয়েকমাস পর আমি গ্রামে আমার ‘আনাগোনা’ বাড়িটিকে তাঁর থাকার উপযুক্ত করে তুললাম এবং তিনি নিয়মিত সেখানে থাকতে শুরু করলেন। তাঁর ইচ্ছে ছিল শান্তিনিকেতনে নিজের ছবির একটি প্রদর্শনী করার। ‘আনাগোনা’ বাড়িতে ছবি আঁকতেন, রান্না করতেন, গান শুনতেন। আমাকে গেয়ে শোনালেন তাঁর প্রিয়—  

এত সুর আর এত গান
যদি কোনোদিন থেমে যায়..
.’