
চোখ-কান খোলা: পর্ব ১৭
‘‘আন্দোলন বা অভ্যুত্থানের সঙ্গে গণহিংস্রতার তফাত ছিল, আছে এবং থাকবে। বাংলাদেশ যা প্রত্যক্ষ করছে, তা ভাবনাহীন, আদর্শহীন ‘মব জাস্টিস’।’’

‘‘আন্দোলন বা অভ্যুত্থানের সঙ্গে গণহিংস্রতার তফাত ছিল, আছে এবং থাকবে। বাংলাদেশ যা প্রত্যক্ষ করছে, তা ভাবনাহীন, আদর্শহীন ‘মব জাস্টিস’।’’

“প্রীতিলতা মারা যাওয়ার পর ‘দ্য ইংলিশম্যান’ পত্রিকায় তাঁকে ‘সাহসী (courageous)’ এবং ‘নির্ভীক (bold)’ বলা হয়। অদ্ভুত বিষয় হল, বাংলা ভাষার নাম করা এক পত্রিকা, যার দ্যুতি প্রায় শতক পার করবে, সেখানে কিন্তু এই অভিযানের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ থাকলেও কোনওরকম অভিমত প্রকাশ করা হয়নি প্রীতিলতার পক্ষে।”

‘পুলিশের নজর এড়িয়ে বাংলার বিপ্লবীরা অবশ্য নাম-না-জানা প্রেস থেকে ‘পথের দাবী’ প্রকাশ করতে থাকেন এবং গোপনে তা বিক্রিও হতে থাকে।’
‘পথের দাবী’-র শতবর্ষে বিশেষ নিবন্ধ…

‘সম্পূর্ণ থিয়েটার উড়ে যায় দু’টি বিস্ফোরণে। তারান্তিনো এ-ছবি তৈরি করেছেন ২০০৯ সালে। কী প্রয়োজন ছিল? আসলে ইহুদিদের নিপীড়নের ইতিহাস, যদি বলি অপরায়নের ইতিহাস, তারান্তিনো পড়তে চেয়েছেন দুর্দান্ত এক রেভোলিউশনারি কায়দায়।’ বিশেষ সংখ্যা ‘বোমা’…

‘লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা বা ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির কাছে কাস্ত্রো কিন্তু সবসময় প্রবল অনুপ্রেরণার। যদিও এই ‘তৃতীয় বিশ্ব’ শব্দটি নিয়ে ফিদেলের প্রবল আপত্তি ছিল। ১৯৭৩-এর জোটনিরপেক্ষ সম্মেলনে এসে তিনি তৃতীয় বিশ্বের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।’ ফিদেল কাস্ত্রোর জন্মদিনে বিশেষ নিবন্ধ…

পেটো কি আর আছে? না কি সবটাই এখন পিস্তল-বন্দুক খেয়ে দিয়েছে, কে জানে। একসময় কিছু লোক বেশ খানিকটা উপার্জন করে নিয়েছে এই কারবারে নেমে। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বদল ঘটেছে যেরকম, তাতে কেউ-ই আর কারও দিকে তাক করে পেটো চার্জ করতে পারছে না নিশ্চিত হয়ে— কাল হয়তো প্রতিপক্ষের সঙ্গে একই মঞ্চ ভাগাভাগি করে নিতে হয়। ‘বোমা’ সংখ্যায় বিশেষ নিবন্ধ…

থিয়েটারকে নাগরিক বৃত্তের বেড়াজাল থেকে বের করে আনার যে লড়াই লড়েছিলেন বাদল সরকার, তা, বলা যায়, একরকমের মুক্তিযুদ্ধই। সেই লড়াইয়ে বাদল সরকার কিন্তু সফলও হয়েছিলেন।

‘কলেজে পড়াশোনার থেকেও দীনেশের তৎকালীন যাপনের প্রধান অঙ্গ হয়ে ওঠে, যে-দায়িত্ব নিয়ে তিনি ঢাকা থেকে মেদিনীপুরে এসেছেন— সেই কর্মী গড়ার কাজ। মেদিনীপুর তখন অগ্নিগর্ভ। সেই অগ্নিগর্ভ পরিবেশে দীনেশের মতন একটি দীপ্ত স্ফুলিঙ্গ এসে পড়েছিল। ফল— বিস্ফোরণ।’

‘ পশ্চিমবঙ্গে নকশালপন্থী আন্দোলন স্তিমিত হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু বিহারে ছড়িয়ে গিয়েছিল সে-ঢেউ। তৎকালে, উত্তর বিহারের ঢেউখেলানো ভূমির ওপর দিয়েই দুলতে-দুলতে গিয়েছিল আমাদের ওই টয়ট্রেন।’

‘আজকে যে শত-শত ছেলেমেয়েরা গিটার হাতে নিজেদের গান খোঁজার চেষ্টা করে, তারা বলে, ভাগ্যিস আপনারা গান লিখেছিলেন, গেয়েছিলেন— সমাজ বদলানোর হাতিয়ার স্বরূপ ভাগ্যিস অস্ত্রের বদলে গৌতম চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জনপ্রসাদ হাতে তুলে নিয়েছিল গিটার।’

টানা অর্ধ শতাব্দীর অধিককাল ক্ষমতায় থাকলেও পতিতাবৃত্তি নির্মূল করতে পারেননি ফিদেল কাস্ত্রো। বলা ভাল, এখনও তা সম্ভাবনাময় ও বিকাশমুখীন। এই টিকে থাকা এবং বিকাশের নেপথ্যে রয়েছে মানুষের প্রবৃত্তি ও যৌনক্ষুধা।

‘উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যে নকশালবাড়ি সেই সময়ে উল্লেখযোগ্য। এই সময়েই বাদল সরকার মঞ্চের ঘেরাটোপ থেকে দর্শকদের মধ্যে নেমে আসছেন— ২৪ অক্টোবর, ১৯৭১। থার্ড থিয়েটারের ভিত্তিভূমি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। শুধু ফর্মের পরিবর্তন নয়। রাজনৈতিক-দার্শনিক পরিবর্তন।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.