গানে-নাচে মান্না দে
বাঙালি রবীন্দ্রনাথের গানের সঙ্গে নাচের সম্মিলন দেখেছে, দেখেছে নজরুল-এর গানের সঙ্গেও। ‘মান্না দে-র গানের সঙ্গে নাচ!’— প্রাথমিকভাবে শুনে বিস্ময়কর মনে হলেও, সম্প্রতি কলকাতা শহর সাক্ষী থাকল এক বিরল শিল্পভাবনার।
বাঙালি রবীন্দ্রনাথের গানের সঙ্গে নাচের সম্মিলন দেখেছে, দেখেছে নজরুল-এর গানের সঙ্গেও। ‘মান্না দে-র গানের সঙ্গে নাচ!’— প্রাথমিকভাবে শুনে বিস্ময়কর মনে হলেও, সম্প্রতি কলকাতা শহর সাক্ষী থাকল এক বিরল শিল্পভাবনার।

কেবল শব্দবাজি নয়, ডিজে বাজানো থেকে সাইলেন্সার খুলে রাস্তায় বাইক হাঁকানো, অন্যের অসুবিধে হবে জেনেও আরও যা যা করা সম্ভব, কোনওকিছুতেই বাঙালি আর ক্ষমাপ্রার্থী নয়। অন্যায়ের পক্ষে অপযুক্তি আছে, তাও না থাকলে রয়েছে সরাসরি কাঁধ ঝাঁকিয়ে উপেক্ষা বা ‘বেশ করেছি’-র অহং।

‘পুজো বাঙালির নস্টালজিয়া, এই হুজুগে মাততে বাঙালি ভালবাসে। আর সেই সুযোগে বইপাড়ায় হু-হু করে বিকোয় পুজো বিষয়ক ভাল-মাঝারি-মন্দ সবরকমের বই, সোশ্যাল মিডিয়ায় থিকথিক করে মিথ্যে বা অর্ধ সত্য পোস্ট। উক্ত বইটিও লেখকের কলকাতার পুজোকে ঘিরে আপ্লুত আবেগের অসংলগ্ন প্রকাশ।’

প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত ‘জলপাই কাঠের এসরাজ’ বইটির কবিতাগুলি নিয়ে বেশ বুঝিয়েছিলেন, আমাকে আপন পথটি বেছে নিতে হবে। নানা ধরনের ব্যাপারে আমাকে সতর্কই করেছিলেন তিনি। তাঁর এসব কথা আমার দারুণ লেগেছিল। সে-সময়ে বিস্তর ভেবেছি।
সংবাদ মূলত কাব্য। পর্ব ২০

‘যে-বিষয় নিয়ে বইটা লেখা, যে-সময়ের কথা বলা, সে-সময়ে কিংবা তার আগে-পরে কি এ-বিষয়— নেশা বা রান্না-খাওয়া ইত্যাদি নিয়ে কেউ লিখেছেন? কেউ লেখেননি। যাঁর যেটা ইচ্ছে হয়, সেটা নিয়ে তিনি চর্চা করেন। এখন সেটা ধ্রুপদী ইতিহাসের তকমা পাবে কি না, সে-তো পাঠক বলবেন!’
সাক্ষাৎকার। অরুণ নাগ

‘বেচাকেনার এই হাটে ছিল কিছু স্বতন্ত্র স্থানমাহাত্ম্যও। যেমন ‘বটতলা’, ‘চায়ের দোকান’, ‘গাছতলা’, ‘রেলনীড়’ ‘এটিএম’ নাম উচ্চারণের সঙ্গে-সঙ্গে হাটে নিয়মিত আগত মানুষটি বুঝে যেতেন সুনির্দিষ্টভাবে কোন জায়গার কথা বলতে চাইছেন বক্তা। এগুলো ছিল কোডনেমের মতন।’
বিশ্ব ডাক দিবসে বিশেষ নিবন্ধ…

‘ছবিটি উল্লম্বভাবে তিনটি স্তরকে স্পর্শ করে আছে। প্রথমটি মাটি বা জমি। তারই সম্প্রসারণে জনতা এবং দেবীমূর্তি। অন্ধকার থেকে আলোর বৃত্ত এবং অবয়বের স্পষ্টতা। তারপর, আধো আলো-আঁধারিতে দ্বিতল-ত্রিতল বাড়ি এবং বারান্দায় দাঁড়ানো নারীমূর্তি। তারপর, তৃতীয় স্তরে চাঁদ-সহ আকাশ।’

আমাদের একটু অন্যরকম ইচ্ছে ছিল। এখন ভাবলে হয়তো ছেলেমানুষিই মনে হয়। তখন ক্লাস টেন হবে, সে-বয়সে হয়তো এমন হয়। আমাদের ইচ্ছে ছিল, আমরা একটু উল্টোদিকে উৎসব কাটাব। এমন জায়গায় যাব, যেখানে পুজোর চিহ্নমাত্র নেই। সেটা কোথায়? গ্রাম? না, তা মোটেই নয়। গ্রামের পুজোও তো দ্রষ্টব্য। আমরা কলকাতার মধ্যেই এমন জায়গায় যাব, যেখানে পুজোর নামগন্ধ থাকবে না।

‘জানা গেল মাটির তলা দিয়ে ট্রেন যাবে, তারই প্রস্তুতি শুরু হবে। বলে কী! আমার ছোট্ট ব্রেনে নানারকম প্রশ্ন উদিত হতে থাকল। দিব্যি মাটির ওপর দিয়ে লোকজন যাচ্ছে, বাস-ট্রাম দৌড়চ্ছে, বাবা অফিস যাচ্ছে সেইসব চড়ে, তা হলে খামখা মাটির তলা দিয়ে ট্রেন যাবে কেন? কী করেই-বা?’

‘মনে পড়ছে এখনও টেরাকোটার কাজ করেন এমনই শিল্পী পরিবারগুলিতে গিয়েছিলাম মাস্টারমশাইয়ের সঙ্গে। দু-এক বছর ঘুরতে, মাস্টারমশাই লাজুক ভঙ্গিতে দিয়েছিলেন তাঁর একমাত্র কবিতার পুস্তিকাটি। ছাত্র বয়সে লিখতেন কবিতা। তখন আমি সদ্যতরুণ, সে-পুস্তিকা পড়েছিলাম। কিচ্ছুটি হয়নি।’

‘ক্রীড়া থেকে বিনোদন, রাজনীতি থেকে সমাজ— চায়ের পর চায়ে সেখানে ভেসে উঠছে তীক্ষ্ণ, তির্যক টিপ্পনীমালা। নামেই ‘রেস্টুরেন্ট’, পাওয়া যায় মেরেকেটে টোস্ট-অমলেট-চা। যে-ছেলেটি বা মেয়েটি বার্গার বা স্যান্ডউইচ চায়, সে কি আসবে এই রং-চটা ‘ঐতিহ্য’ সামলাতে?’

‘১৮৫৬ সালের মে মাসে কলকাতার নদীতীরে নোঙর করল জেনারেল ম্যাকলিওড নামে এক বিলাসবহুল তরী। আরোহী অওয়াধের শেষ নবাব ওয়াজিদ আলী শাহ্। ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসির ঔপনিবেশিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার বলি হয়ে প্রায় ৯ বছরের রাজ্যপাট চুকিয়ে বিদ্ধস্ত সম্রাট এসে পৌঁছলেন গঙ্গাতীরে।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.